নিউজ ডেস্ক : বুধাবর সন্ধ্যা ৭টা ৫৫ মিনিটে ৭ দশমিক ২ স্কেলের শক্তিশালী এক কম্পণে কেঁপে উঠে রাজধানীসহ সারাদেশ। মানুষ আতঙ্কগ্রস্থ হয়ে যতদ্রুত সম্ভব ভবন থেকে বের হয়ে নিরাপদ স্থানে গিয়ে আশ্রয় নেওয়ার চেষ্টা।
আশ্রয়ের পরের কাজ হলো, মোবাইল ফোনের মাধ্যমে প্রিয়জনের খোঁজ নেওয়ার চেষ্টা। নিজেতো নিরাপদে বের হয়ে বিপদমুক্ত হয়েছেন কিন্তু প্রিয়জনের অবস্থা কি? তখনই বিপত্তি বাধে। দেখা যায় কল যাচ্ছে না, নয়তো নেটওয়ার্কই পাওয়া যাচ্ছে না। ফলে মানুষের ভেতর উদ্বেগ বেড়েই চলে।
বুধবার সন্ধ্যায় এমন উদ্বেগজনক পরিস্থিতির শিকার হয়েছেন অনেকেই। মোবাইলে কলের পর কল দিচ্ছেন কিন্তু প্রিয়জনের মোবাইলে কিছুতেই সংযোগ পাচ্ছেন না। এমন অভিজ্ঞতার কথা ফেসবুকে জানিয়েছেন অনেকেই। কিন্তু এমন হওয়ার কারণ কী?
অনেকে বলছেন, এর যৌক্তিক কারণ হতে পারে একই সময় সবার কল করার চেষ্টা। এতে নেটওয়ার্ক জ্যাম তৈরি হয়েছিল কিছুক্ষণের জন্য। আর এ কারণেই কল আদান-প্রদানের সমস্যা দেখা দেয়। কিন্তু কিছুক্ষণ পর সমস্যাটি কেটে যায় এবং সবাই কাঙ্ক্ষিত যোগাযোগ করতে সক্ষম হন।
কিন্তু তারপরও কথা থেকে যায়, জরুরি পরিস্থিতিতে লাখো মানুষ উদ্বিগ্ন হতেই পারেন। ভূমিকম্প বা যে কোনো দুর্যোগে মোবাইল ফোনই যোগাযোগের তাৎক্ষণিক উপায়। এমন অবস্থায় মোবাইল অপারেটররা বিকল্প কোনো ব্যবস্থা কি নিয়ে থাকে?
দুর্যোগ পরিস্থিতি সামাল দিতে তাদের গৃহীত বিকল্প পন্থা কী? এ প্রশ্ন কিন্তু থেকেই যাচ্ছে। সবচেয়ে বড় কথা, জরুরি অবস্থায় মোবাইল ফোন নেটওয়ার্ক ক্ষতিগ্রস্ত হলে কোনো বিকল্পের কথা কি টেলকোগুলো কি আদৌ মাথায় রাখে?
তবে রাত সাড়ে ৮টার দিকে সারাদেশে স্বাভাবিক হয় সকল মোবাইল নেটওয়ার্ক।
১৪ এপ্রিল ২০১৬/এমটি নিউজ২৪/এসবি/এসএস