বৃহস্পতিবার, ১৪ এপ্রিল, ২০১৬, ০৩:২০:২৫

বাংলাদেশ পরিস্থিতি নিয়ে যা বলা হয়েছে মার্কিন প্রতিবেদনে

বাংলাদেশ পরিস্থিতি নিয়ে যা বলা হয়েছে মার্কিন প্রতিবেদনে

নিউজ ডেস্ক : ২০১৫ সালের বার্ষিক মানবাধিকার প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে মার্কিন পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। এটি দেশটির ৪০তম বার্ষিক মানবাধিকার প্রতিবেদন। বিচারবহির্ভূত হত্যা, গুম, ব্লগার, অনলাইন ও গণমাধ্যমের ওপর হস্তক্ষেপ, বাল্যবিবাহ ও জোরপূর্বক বিবাহ, নিম্নমানের কর্মপরিবেশ ও শ্রমিকদের অধিকারহীনতাকে বাংলাদেশের প্রধান মানবাধিকার সঙ্কট হিসেবে চিহ্নিত করে উদ্বেগ জানিয়েছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র।

স্থানীয় সময় বুধবার ওয়াশিংটনে মার্কিন পররাষ্ট্র দফতরে প্রতিবেদনটি প্রকাশ করেন মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী জন কেরি। এতে বাংলাদেশের আইনশৃংখলা রক্ষাকারী বাহিনীর নির্যাতনের প্রতিবাদসহ এ উদ্বেগ জানানো হয়।

প্রতিবেদনে বাংলাদেশ অংশে সাতটি অনুচ্ছেদে মানবাধিকার সমস্যার বিভিন্ন পরিস্থিতি তুলে ধরা হয়েছে।

এতে নিরাপত্তা বাহিনী কর্তৃক নির্যাতন ও হয়রানি, গণগ্রেফতার ও কারাবন্দিত্ব, বিচার বিভাগের সামর্থহীনতা ও অপর্যাপ্ত স্বাধীনতা, বিচার বহির্ভূত দীর্ঘ আটকাদেশ, কর্তৃপক্ষ কর্তৃক নাগরিকের ব্যক্তিগত অধিকার লঙ্ঘনকেও মানবাধিকার সঙ্কট হিসেবে তুলে ধরা হয়।

এতে বিএনপির সাবেক যুগ্ম-মহাসচিব সালাহউদ্দিন আহমেদ নিখোঁজ এবং ভারতের মেঘালয় রাজ্যের শিলংয়ে রহস্যজনকভাবে তার হদিস মেলার বিবরণও দেয়া হয়েছে।

এছাড়াও এতে বাংলাদেশে দুর্নীতি এবং সরকারের কাজকর্মের অস্বচ্ছতাকে মানবাধিকারের সমস্যা হিসেবে চিহ্নিত করা হয়।

প্রতিবেদনে বিশ্ব মানবাধিকার পরিস্থিতির ব্যাপারে যুক্তরাষ্ট্র বলেছে, বিশ্বব্যাপী যেসব দেশে স্বৈরশাসন রয়েছে সেসব দেশে ক্ষমতার জন্যে হুমকি যেকোনো শক্তিকে অবদমিত করতে নাগরিকদের নির্যাতন করা হচ্ছে।

এতে আরও বলা হয়, ২০১৫ সালে বিশ্বময় বাক স্বাধীনতা বন্ধের প্রয়াস বেড়েছে, সুস্থ রাজনৈতিক চর্চা কমেছে এবং শান্তিপূর্ন পরিবর্তনের চেষ্টা সংকুচিত হয়েছে।

উত্তর কোরিয়া, কিউবা, চীন, ইরান, সুদান ও উজবেকিস্তানসহ বিভিন্ন সরকারের সমালোচনা করা হয় প্রতিবেদনে।

সন্ত্রাসী গোষ্ঠি ইসলামিক ষ্টেট-আইএস সাধারণ নাগরিকদেরকে হত্যা করছে উল্লেখ করে প্রতিবেদনে তাদের কড়া সমালোচনা করা হয়।

মানবাধিকার প্রতিবেদনের ব্যাপারে পররাষ্ট্রমন্ত্রী জন কেরি বলেন, প্রতিবেদনে প্রকাশিত বিষয়গুলো যুক্তরাষ্ট্রের বানানো নয়। যুক্তরাষ্ট্র মানবাধিকারের কোনো মানদণ্ডও নির্ধারণ করে দিতে চায় না। কারও ওপর আরোপও করতে চায় না। মানবাধিকারের বিষয়গুলো আন্তর্জাতিক এবং বিশ্বের বেশির ভাগ দেশ এসব মেনে চলতে অঙ্গীকারবদ্ধ।

তিনি বলেন, মানবাধিকার পরিস্থিতি উন্নয়নে সব দেশের, এমনকি যুক্তরাষ্ট্র সরকারেরও করণীয় রয়েছে। -যুগান্তর
১৪ এপ্রিল, ২০১৬/এমটিনিউজ২৪.কম/সৈকত/এমএস

Follow করুন এমটিনিউজ২৪ গুগল নিউজ, টুইটার , ফেসবুক এবং সাবস্ক্রাইব করুন এমটিনিউজ২৪ ইউটিউব চ্যানেলে