রবিবার, ১৭ এপ্রিল, ২০১৬, ০৬:০২:০৮

হাতিরঝিলের বাড়তি নিরাপত্তায় ওয়াটার বাইক

 হাতিরঝিলের বাড়তি নিরাপত্তায় ওয়াটার বাইক

আল-আমিন :  হাতে ওয়াকিটকি। সতর্ক নৌ পুলিশ। আশপাশে শ্যেন দৃষ্টি। ছুটে চলছে ওয়াটার বাইক। হাতিরঝিলে আসা লোকজনও চলছে নিয়ম মেনে। একদিনেই যেন বদলে গেছে দৃশ্যপট। হাতিরঝিলের নিরাপত্তায় ওয়াটার বাইক যুক্ত হওয়ার পর গতকাল সেখানকার পরিবেশ ছিল এমনই। হাতিরঝিলের রাস্তা সব মিলিয়ে ১৬ কিলোমিটার। আর এখানকার নিরাপত্তা ব্যবস্থায় পুলিশের ফাঁড়ি রয়েছে ১টি। যা মগবাজার পুলিশ ফাঁড়ি নামে পরিচিত।

চার থানার সমন্বয়ে হাতিরঝিলে পুলিশি টহলের জন্য গাড়ি রয়েছে তিনটি। যা নিরাপত্তা ব্যবস্থার জন্য ছিল অপ্রতুল। আর তাই সেখানে প্রতিদিনই ঘটছে নানা অপরাধ। ছিনতাই, চুরি, ইভটিজিংসহ নানা ঘটনায় ত্যক্ত বিরক্ত এখানে ঘুরতে আসা লোকজন। এ অবস্থায় নিরাপত্তা ব্যবস্থাকে শক্তিশালী করতে পুলিশের রমনা জোন থেকে এখানে ওয়াটার বাইক দিতে নৌ-পুলিশের কাছে আবেদন করে। এ আবেদনে সাড়া দিয়ে মঙ্গলবার হাতিরঝিলের লেকে একটি ওয়াটার বাইক নামানো হয়। যার নিয়ন্ত্রণে রয়েছে নৌ পুলিশ।

এ ব্যাপারে পুলিশের রমনা জোনের ডিসি আবদুুল বাতেন বলেন, নিরাপত্তার জন্য পুলিশ লেকে ওই ওয়াটার বাইক নিয়ে টহল দেবে। এতে এলাকার অপরাধের মাত্রা কমবে বলে তিনি আশা ব্যক্ত করেন।  

গতকাল সকালে সরেজমিন হাতিরঝিলে গিয়ে দেখা যায়, এফডিসি মোড়ের ফ্লাইওভারের পাশের লেকে ইয়ামাহা ৩২৫ সিসি ওয়াটার বাইকটি রাখা হয়েছে। ওই বাইকে অপেক্ষা করছেন দুই জন নৌপুলিশ। ১ ঘণ্টা পর পর ওই বাইকটি হাতিরঝিলের লেকে টহল দেয়। এফডিসি’র লেক থেকে রামপুরা লেকে যেতে মাত্র ৭ মিনিট সময় লাগে বলে জানিয়েছেন সেখানে অবস্থানরত এক নৌ-পুলিশ সদস্য।  ওয়াটার বাইকে থাকা পুলিশের কনস্টেবল নুরুল ইসলাম বলেন, এই প্রথম পুলিশের পক্ষ থেকে লেকে ওয়াটার বাইক নামানো হয়েছে। দীর্ঘ ওই লম্বা লেকে একস্থান থেকে অন্যস্থানে দ্রুত যাওয়া যাচ্ছে।

রমনা থানা সূত্র জানায়, হাতিরঝিল এলাকা ৪ থানার মধ্যে অন্তর্ভুক্ত। যা পুলিশের মতিঝিল ও রমনা জোনের মধ্যে পড়ে। রাত হলে লেকের পাশে বসে বখাটেরা মাদক সেবন করে। অনেক ছিনতাইকারী ও সন্ত্রাসী গভীর রাতে পথচারী কিংবা চলন্ত গাড়ির গতিরোধ করে ছিনতাইকাজে লিপ্ত হয়। লেকের পাশে অধিক নিরাপত্তা ও দুর্ঘটনাস্থলে দ্রুত যাওয়ার জন্য রমনা জোনের পুলিশের পক্ষ থেকে গত ফেব্রুয়ারিতে ঢাকা নৌ-পুলিশের কাছে ওয়াটার বাইক চেয়ে একটি আবেদন করা হয়। চলতি এপ্রিল মাসে ওই আবেদন প্রেক্ষিতে নৌ পুলিশের পক্ষ থেকে ওই ওয়াটার বাইক দেয়া হয়েছে। রমনা থানার কয়েকজন কনস্টেবল আপাতত ওই ওয়াটার বাইক চালাবেন। ওয়াটার বাইকের সঙ্গে থাকবে অধিক আলোর বড় টর্চলাইট।

কিছুদিন পর ওই বাইকটি নৌ-পুলিশের সদস্যরা নিয়মিত ডিউটির অংশ হিসেবে ব্যবহার শুরু করবেন। পর্যায়ক্রমে আরও দুটি ওয়াটার বাইক নামানো হবে। একটি থাকবে মগবাজার লেকের পাশে। অন্যটি থাকবে হাতিরঝিলের শেষ মাথা রামপুরা ব্রিজের কাছে। মগবাজারের বাসিন্দা মো: আসাদুজ্জামান বলেন, রাত হলে স্থানীয় কিছু বখাটে জোট বেঁধে মাদক সেবন করে। এছাড়া ঝিলের লেকে গোসল নিষেধ হলেও অনেকেই তা মানছেন না।

পুলিশ জানিয়েছে, দুইমাস পর আরো দু’টি ওয়াটার বাইক নামানো হবে। সংশ্লিষ্ট থানা ওয়াকিটকির মাধ্যমে তাদের লিয়াজোঁ করবে ওয়াটার বাইকে দায়িত্ব পালন করা সদস্যদের সঙ্গে।-এমজমিন
১৭এপ্রিল২০১৬/এমটিনিউজ২৪.কম/এএম

 

Follow করুন এমটিনিউজ২৪ গুগল নিউজ, টুইটার , ফেসবুক এবং সাবস্ক্রাইব করুন এমটিনিউজ২৪ ইউটিউব চ্যানেলে