শনিবার, ২৩ এপ্রিল, ২০১৬, ০৩:০৬:০৮

সহিংসতা অনিয়ম ঠেকাতে বাড়তি পদক্ষেপ নেই

সহিংসতা অনিয়ম ঠেকাতে বাড়তি পদক্ষেপ নেই

কাজী হাফিজ: আজ শনিবার তৃতীয় ধাপে ৪৮ জেলার ৮৭ উপজেলায় ৬১৪টি ইউনিয়ন পরিষদে ভোটগ্রহণ হতে যাচ্ছে। ভোটগ্রহণ চলবে সকাল ৮টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত। এ উপলক্ষে নির্বাচনী এলাকাগুলোয় সাধারণ ছুটি ঘোষণা করা হয়েছে। নির্বাচন কমিশন (ইসি) এ  ধাপে বাড়তি কোনো ব্যবস্থা না নিলেও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে আরো তৎপর হতে নির্দেশ দিয়েছে। এ ছাড়া এ নির্বাচন সুষ্ঠুভাবে অনুষ্ঠানের জন্য কঠোর হতে নির্বাচন কমিশনের প্রতি প্রধানমন্ত্রীর যে বার্তা রয়েছে তাতে ইতিবাচক প্রভাব পড়তে পারে বলে আশা করা হচ্ছে। তার পরও প্রার্থী ও ভোটারদের মধ্যে বিরাজ করছে উৎকণ্ঠা।

গত ১৫ মার্চ তৃতীয় ধাপে ৬৮৫টি ইউপির তফসিল ঘোষণা করা হলেও ভোট হতে যাচ্ছে ৬১৪টি ইউপিতে। গতকাল শুক্রবার আদালতের নির্দেশে শরীয়তপুর সদরের পালং, সিরাজগঞ্জের বেলকুচি উপজেলার বড়ধুল ও রংপুরের মিঠাপুকুরের এমাদপুর ইউপির ভোট স্থগিত করা হয়েছে। এ ছাড়া লক্ষ্মীপুরের উত্তর চরবংশী ও চরমোহনাতে সব পদের প্রার্থীরা বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হওয়া ওই দুই ইউপিতে ভোট হচ্ছে না।

এ ধাপের জন্য তালিকাভুক্ত ইউপিগুলোর মধ্যে বিভিন্ন কারণে ১১ ইউপির নির্বাচনী কার্যক্রম স্থগিত করা হয় রিটার্নিং অফিসারদের কাছে সম্ভাব্য প্রার্থীদের মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার আগেই। আর ৫৩টির নির্বাচন স্থগিত করা হয় গত ২৭ মার্চ মনোনয়নপত্র দাখিলের শেষ সময় পার হওয়ার পর। এর মধ্যে পাহাড়ি জনপদের স্থানীয় কয়েকটি সংগঠনের সশস্ত্র সন্ত্রাসী তৎপরতা ও হুমকির কারণে রাঙামাটি জেলার ১০টি উপজেলার ৪৯টি ইউপি ভোট স্থগিত করে নির্বাচন কমিশন। এ ছাড়া বান্দরবানের আলীকদমের চারটি ইউপির নির্বাচন স্থগিত করা হয় ভোটার তালিকাসংক্রান্ত জটিলতায়। 

এ ধাপের নির্বাচন সম্পর্কে নির্বাচন কমিশন সচিব মো. সিরাজুল ইসলাম গতকাল বিকেলে কালের কণ্ঠকে বলেন, এ ধাপে বাড়তি কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে না। নির্বাচনে নিরাপত্তাব্যবস্থা আগের দুই ধাপে যেমন ছিল, এবারেও তা-ই থাকছে। তবে আগের দুই ধাপের অভিজ্ঞতা কাজে লাগিয়ে এবার নির্বাচনী পরিবেশ সুষ্ঠু রাখার জন্য আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী সতর্কতার সঙ্গে দায়িত্ব পালন করবে। গত ১৩ এপ্রিল নির্বাচন কমিশন বিভিন্ন বাহিনীর প্রধানদের সঙ্গে বৈঠক করে মেধা ও পরিশ্রমের মাধ্যমে নিরপেক্ষ নির্বাচনের ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ দিয়েছে।

গত বৃহস্পতিবার আওয়ামী লীগের একটি প্রতিনিধিদল নির্বাচন কমিশনের সঙ্গে দেখা করে জানায়, প্রধানমন্ত্রী ইউপি নির্বাচনে বিশৃঙ্খল পরিবেশ দেখতে চান না। প্রধানমন্ত্রী নির্বাচন কমিশনকে কঠোর হতে বলেছেন এই বার্তা কি এ ধাপের নির্বাচনে কোনো প্রভাব ফেলতে পারে? এ প্রশ্নে সচিব বলেন, নির্বাচন সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষভাবে অনুষ্ঠানের দায়িত্ব নির্বাচন কমিশনের। তবে প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্য নির্বাচন কমিশনের কাজকে আরো সুসংহত করবে।

নির্বাচন কমিশন সচিবালয়ের তথ্য অনুসারে এ ধাপের নির্বাচনে ৬১৪ ইউপির মধ্যে ৮০টি ইউপিতে বিএনপির প্রার্থী নেই। এ ছাড়া সংরক্ষিত নারী সদস্য পদে ৭৯ জন এবং সাধারণ সদস্য পদে ১৭৪ জন বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হয়েছেন।

তৃতীয় ধাপের এ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে দুই হাজার ৬৭২ জন, সংরক্ষিত সদস্য পদে ছয় হাজার ২৯৮ এবং সাধারণ সদস্য পদে ২০ হাজার ৯৪৮ জন প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। চেয়ারম্যান পদে দলীয় প্রার্থী মোট এক হাজার ৪৮৭ জন এবং স্বতন্ত্র প্রার্থী এক হাজার ১৮৫ জন ছিলেন। তবে গতকাল তিনটি ইউপির নির্বাচন স্থগিত এবং দুটি ইউপিতে সব পদেই বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হওয়ার কারণে প্রার্থী সংখ্যায় সামান্য পরিবর্তন আসতে পারে।

২৩ এপ্রিল,২০১৬/এমটিনিউজ২৪/সবুজ/এসএ

Follow করুন এমটিনিউজ২৪ গুগল নিউজ, টুইটার , ফেসবুক এবং সাবস্ক্রাইব করুন এমটিনিউজ২৪ ইউটিউব চ্যানেলে