নিউজ ডেস্ক: 'ইউনাইটেড কিংডম' এর কোড সম্বলিত একটি নাম্বার থেকে হত্যার হুমকি দেয়া হয়েছে অভিযোগ করেছেন গণজাগরণ মঞ্চের মুখপাত্র ইমরান এইচ সরকার । এই অভিযোগটি তার অফিসিয়াল ফেইসবুক পেইজে এক পোষ্টে এই দাবি করেন তিনি।নিচে তার পোষ্টটি হুবহু তুলে ধরা হলো..
আজ সন্ধ্যা ৭টা ১২ মিনিটে 'ইউনাইটেড কিংডম' এর কোড সম্বলিত একটি নাম্বার থেকে আমাকে হত্যার হুমকি দেয়া হয়েছে। বলা হয়েছে আমাকে খুব শীঘ্রই হত্যা করা হবে। আমি জানতে চাইলাম কে বলছেন, কোথা থেকে বলছেন কোন উত্তর দেয়া হয়নি। বারবার শুধু বলা হলো হত্যা করা হবে। কোথায়, কিভাবে খুন করবেন জানতে চাইলে কল কেটে দিয়েছে।
আমি জানি এটা জানানো কিংবা না জানানোতে তেমন কিছু আসে যায় না। তারপরও মনে হলো সবাইকে জানিয়ে রাখা দরকার। আর হুমকি-ধামকি দিয়ে আমাকে থামানো যাবে ভাবাটাও অবান্তর।
যে দেশে খুন-ধর্ষণেরই বিচার হয়না সেদেশে হুমকি তেমন বড় কোনো ঘটনা না। তাছাড়া কয়েকদিন আগে কিছু পথভ্রষ্ট রাজনীতিক তো আমাকে প্রকাশ্যেই হত্যার হুমকি দিয়েছিল, তার কি বিচার হয়েছে?
প্রকাশ্যে হত্যার হুমকির পর আমার এক পুরনো বন্ধু জানতে চেয়েছিল, হত্যার ষড়যন্ত্রের বিচার হলে প্রকাশ্যে হুমকির বিচার হবে কিনা? আমি উত্তর দিয়েছি, আমি কৃষকের সন্তান, প্রধানমন্ত্রীর সন্তান হলে নিশ্চয়ই হতো।
রোববার সন্ধ্যায় যুক্তরাজ্যের একটি নম্বর থেকে কল করে ‘হত্যা করা হবে’ বলে হুমকি দেওয়া হয় বলে নিজের ফেইসবুক পাতায় লিখেছেন তিনি।
তবে এই হুমকিতে ভয় না পেয়ে নিজের কাজে অবিচল থাকার ঘোষণাও দিয়েছেন গণজাগরণের মুখপাত্র।
যুদ্ধাপরাধীদের সর্বোচ্চ শাস্তির দাবিতে আন্দোলনে নেমে নিয়মিত হুমকি পেয়ে আসা ইমরান ইদানীং সরকারের সমালোচনামুখর।
তার মধ্যে হুমকি পাওয়ার পর প্রতিক্রিয়া কী হয়েছে, তাও লিখেছেন তিনি।
“প্রকাশ্যে হত্যার হুমকির পর আমার এক পুরনো বন্ধু জানতে চেয়েছিল, হত্যার ষড়যন্ত্রের বিচার হলে প্রকাশ্যে হুমকির বিচার হবে কি না? আমি উত্তর দিয়েছি, আমি কৃষকের সন্তান, প্রধানমন্ত্রীর সন্তান হলে নিশ্চয়ই হত।”
ইমরান লিখেছেন, সন্ধ্যা ৭টা ১২ মিনিটে ‘ইউনাইটেড কিংডম’ এর কোড সম্বলিত একটি নম্বার থেকে তার কাছে ফোনে আসে।
“বলা হয়েছে আমাকে খুব শিগগিরই হত্যা করা হবে। আমি জানতে চাইলাম কে বলছেন, কোথা থেকে বলছেন? কোনো উত্তর দেওয়া হয়নি। বারবার শুধু বলা হল- হত্যা করা হবে। কোথায়, কীভাবে খুন করবেন- জানতে চাইলে কল কেটে দিয়েছে।”
“আমি জানি এটা জানানো কিংবা না জানানোতে তেমন কিছু আসে যায় না। তারপরও মনে হল, সবাইকে জানিয়ে রাখা দরকার। আর হুমকি-ধমকি দিয়ে আমাকে থামানো যাবে, ভাবাটাও অবান্তর,” লিখেছেন ইমরান।
রংপুর মেডিকেল কলেজের ছাত্র ইমরান ২০১৩ সালে ব্লগার অ্যান্ড অনলাইন অ্যাকটিভিস্ট নেটওয়ার্কের আহ্বায়ক হিসেবে গণজাগরণ মঞ্চের মুখপাত্রের দায়িত্বে আসেন। তারপর থেকে সারাদেশে পরিচিত মুখ তিনি।
যুদ্ধাপরাধী মীর কাসেম আলীর আপিলের রায় ঘোষণার আগে মঙ্গলবার সকালে শাহবাগে গণজাগরণ মঞ্চের কর্মীদের অবস্থানে বক্তব্য দেন মুখপাত্র ইমরান এইচ সরকার।
সম্প্রতি শফিক রেহমানকে গ্রেপ্তারের নিন্দা জানিয়ে ইমরান ফেইসবুকে স্ট্যাটাস দেওয়ার পর গত তিন বছরে চিত্র উল্টে দিয়ে তার সমালোচনায় মুখর হন আওয়ামী লীগ নেতারা।
ইমরানকে ‘সুবিধাবাদী’ আখ্যায়িত করে তাকে বর্জনের আহ্বান জানান প্রধানমন্ত্রীপুত্র সজীব ওয়াজেদ জয়। তার জবাব দিয়েও ফেইসবুকে লেখেন এক সময় ছাত্রলীগে যুক্ত ইমরান।
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষক এ এফ এম রেজাউল করিম সিদ্দিকীকে কুপিয়ে হত্যার ঘটনায় ক্ষোভ প্রকাশ করে একদিন আগে আবার সরকারের সমালোচনা করে ফেইসবুক লেখেন তিনি।
“এদেশে শুধুমাত্র ক্ষমতাসীন দলের নেতারা বাদে (কর্মীরাও খুন হচ্ছে) সবাই খুন হচ্ছে। এমনকি ক্ষমতাসীন নেতা-নেত্রী ও তাদের পরিবার, আত্মীয়-স্বজনদের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রের বাইরে অন্য কোনো ঘটনার বিচারও হচ্ছে না।
২৫ এপ্রিল,২০১৬/এমটিনিউজ২৪/সবুজ/এসএ