নিউজ ডেস্ক : ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ও অর্থনীতিবিদ অধ্যাপক আবুল বারকাতের বিরুদ্ধে আদালত অবমাননার অভিযোগে শাস্তি দেয়ার নির্দেশনা চেয়ে উচ্চ আদালতে একটি আবেদন করা হয়েছে। সোমবার সুপ্রিমকোর্টের সংশ্লিষ্ট শাখায় এ আবেদনটি দাখিল করেন অ্যাডভোকেট ইউনুছ আলী আকন্দ। এর আগে গত ৬ এপ্রিল এ বিষয়ে এ আইনজীবী একটি উকিল নোটিশ পাঠান।
২৪ ঘণ্টার মধ্যে আদালত অবমাননার অভিযোগে পাঠানো নোটিশের জবাব দিতে বলেছিলেন এই আইনজীবী। যথাসময়ে লিগ্যাল নোটিশের জবাব না পেয়ে তিনি সোমবার উচ্চ আদালতে আদালত অবমাননার মামলা করলেন।
ইউনুছ আলী আকন্দ বলেন, যে মন্ত্রীকে আদালত অবমাননার অভিযোগ শাস্তি হিসেবে অর্থদণ্ড দেয়া হয়েছে তার চেয়ে বেশি গুরুতর আদালত অবমাননা করেছেন আবুল বারকাত। প্রধান বিচারপতি এস কে সিনহার সামনেই তিনি বিচার বিভাগ নিয়ে মন্তব্য করেছেন। তার অপরাধ আমার দেশ সম্পাদক মাহমুদুর রহমানের চেয়েও মারাত্মক। কারণ মাহমুদুর রহমান শুধু বলেছিল ‘চেম্বার কোর্ট মানেই স্টে’। তিনি তার চেয়ে কঠিন কথা বলেছেন। তাই তাকে ২৪ ঘণ্টার মধ্যে এই আদালত অবমাননার জবাব দিতে বলা হয়েছিল। আমি এর জবাব না পেয়ে উচ্চ আদালতে আজ মামলা করলাম।
গত ২ এপ্রিল (শনিবার) ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সিনেট ভবনে একটি বইয়ের মোড়ক উন্মোচন অনুষ্ঠানে আলোচনার এক পর্যায়ে অর্থনীতিবিদ আবুল বারাকাত গবেষণার তথ্য তুলে ধরে বলেন, ‘আমার বলতে দ্বিধা নেই, গবেষণাভিত্তিক কথা এটা, লোয়ার কোর্ট থেকে শুরু করে হাইকোর্ট পর্যন্ত আইনের রায় বেচাকেনা হয়।’
আবুল বারকাতের এমন তথ্য দিয়ে বক্তৃতার পরে তার জবাবে প্রধান বিচারপতি বলেন, ‘আমি সদর্পে বলতে পারি আমার বিচার বিভাগে কোনো মামলায় রায় বিক্রি হয় না। হ্যাঁ, এখানে হচ্ছে, আমি অস্বীকার করছি না। বড়জোড় এটা পাঁচ থেকে দশ শতাংশ হতে পারে।’
২৫ এপ্রিল, ২০১৬/এমটিনিউজ২৪.কম/সৈকত/এমএস