ঢাকা : বহুল আলোচিত কুমিল্লা ভিক্টোরিয়া কলেজছাত্রী সোহাগী জাহান তনু হত্যায় জড়িতদের গ্রেফতার ও বিচার বিভাগীয় তদন্ত চেয়ে করা রিট আবেদন অবশেষে নিয়মিত বেঞ্চে উপস্থাপন করতে বলেছেন হাইকোর্ট।
বিচারপতি সালমা মাসুদ চৌধুরী ও বিচারপতি মো. সেলিমের অবকাশকালীন হাইকোর্ট বেঞ্চ সোমবার এ আদেশ দেন। আদালতে বিষয়টি উপস্থাপন করেন রিটকারী আইনজীবী ইউনুছ আলী আকন্দ।
ইউনুছ আলী আকন্দ বলেন, আদালত রিট আবেদনটি হাইকোর্টের নিয়মিত বেঞ্চে উপস্থাপন করতে বলেছেন। অবকাশ শেষে আগামী সোমবার নিয়মিত বেঞ্চ বসবে। সেদিন নিয়মিত বেঞ্চে আবেদনটি উপস্থাপন করা হবে।
এর আগে গত ২০ এপ্রিল রিট আবেদনকারী আইনজীবী আদালতে উপস্থিত না থাকায় আবেদনটি তালিকা থেকে বাদ দেন একই বেঞ্চ।
গত ৩ এপ্রিল তনু হত্যায় জড়িতদের গ্রেফতার এবং বিচার বিভাগীয় তদন্ত চেয়ে হাইকোর্টে রিট আবেদনটি করেন আইনজীবী ইউনুছ আলী আকন্দ।
রিট আবেদনে তনু হত্যাকাণ্ডে জড়িতদের ২৪ ঘণ্টার মধ্যে গ্রেফতার, ওই ঘটনায় বিচারিক তদন্তের নির্দেশনা এবং তনুর পরিবারকে ৩০ লাখ টাকা ক্ষতিপূরণ দেয়ার নির্দেশনা চাওয়া হয়েছিল।
প্রথমে ১২ এপ্রিল রিট আবেদনটি বিচারপতি সৈয়দ মোহাম্মদ দস্তগীর হোসেন ও বিচারপতি এ কে এম সাহিদুল হকের হাইকোর্ট বেঞ্চের তালিকায় ছিল। ইউনুছ আলী আকন্দ বলেন, ১২ এপ্রিল আবেদনটি ওই বেঞ্চের তালিকায় ছিল। সেদিন আমি উপস্থিত থাকতে না পারায় আদালত তা তালিকা থেকে বাদ দেন।
পরে বিচারপতি নাঈমা হায়দার ও বিচারপতি বিচারপতি রাজিক আল জলিলের অবকাশকালীন হাইকোর্ট বেঞ্চে আবেদনটি নিয়ে যান ইউনুছ আলী আকন্দ।
১৮ এপ্রিল বিচারপতি নাঈমা হায়দারের নেতৃত্বাধীন হাইকোর্ট বেঞ্চ তনু হত্যার বিষয়ে দায়ের করা মামলার তদন্ত চলমান এ যুক্তি দেখিয়ে আবেদনটি আউট অব লিস্ট করে আদেশ দেন।
গত ২০ মার্চ রোববার রাতে কুমিল্লা সেনানিবাস এলাকায় টিউশন শেষে ফেরার পথে নিখোঁজ হন তনু। রাতেই অলিপুরের একটি ঝোঁপের মধ্যে তনুর লাশ পাওয়া যায়। পাশেই ছিল তার জুতা, ছেঁড়া চুল ও ছেঁড়া ওড়না।
কুমিল্লা ময়নামতি সেনানিবাসের ভেতরে অলিপুর এলাকায় সপরিবারে থাকতেন তনু। তার বাবা ইয়ার হোসেন ক্যান্টনমেন্ট বোর্ডের চতুর্থ শ্রেণির কর্মচারী।
২৫ এপ্রিল,২০১৬/এমটিনিউজ২৪/প্রতিনিধি/এমআর/এসএম