নিউজ ডেস্ক : রাজধানীর কলাবাগানে দুই জনকে হত্যার ঘটনায় অজ্ঞাতপরিচয় আসামিদের বিরুদ্ধে কলাবাগান থানায় মামলা দায়ের করেন নিহত জুলহাজ মান্নানের বড় ভাই মিনহাজ মান্নান ইমন।
নিহত জুলহাজ মান্নানের বড় ভাই মিনহাজ মান্নান ইমন সোমবার গভীর রাতে কলাবাগান থানায় এই মামলা করেন বলে এএসআই শ্যামল চন্দ্র হালদার জানান। তিনি বলেন, এজাহারে অজ্ঞাতপরিচয় ৫-৬ জনকে আসামি করা হয়েছে। এখনও কাউকে আটক করা হয়নি।
সোমবার বিকালে কলাবাগানের লেক সার্কাস এলাকায় পার্সেল দেওয়ার কথা বলে বাসায় ঢুকে কুপিয়ে খুন করা হয় ইউএসএআইডির কর্মসূচি কর্মকর্তা জুলহাজ (৩৫) ও তার বন্ধু নাট্যকর্মী মাহবুব রাব্বী তনয়কে (২৬)।
ঢাকায় যুক্তরাষ্ট্র দূতাবাসের সাবেক প্রটোকল অ্যাসিসটেন্ট জুলহাজ সাবেক পররাষ্ট্রমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের যুগ্মসাধারণ সম্পাদক দীপু মনির খালাত ভাই। তিনি (প্রকাশের অযোগ্য)দের অধিকার প্রতিষ্ঠার সাময়িকী ‘রূপবান’ সম্পাদনায় যুক্ত ছিলেন।
আর তনয় ছিলেন লোকনাট্য দলের কর্মী। পিটিএ নামে একটি প্রতিষ্ঠানে ‘শিশু নাট্য প্রশিক্ষক’ হিসেবেও কাজ করতেন তিনি। মলাকারীদের অস্ত্রাঘাতে ওই বাড়ির দারোয়ান পারভেজ মোল্লা আহত হয়েছেন। বাধা দিতে গিয়ে আহত হয়েছেন মমতাজ নামে এক এএসআই।
খুনিদের পালিয়ে যেতে দেখেছেন- এমন এক নারী জানিয়েছেন, টি শার্ট ও জিন্স প্যান্ট পরিহিত পাঁচ থেকে সাতজনকে ‘আল্লাহু আকবার’ বলতে বলতে আগ্নেয়াস্ত্র থেকে গুলি ছুড়ে চলে যেতে দেখেছেন তিনি।
ডিএমপির জ্যেষ্ঠ সহকারী কমিশনার শিবলী নোমান রাতে জানিয়েছিলেন, এএসআই মমতাজ হামলাকারীদের একজনের কাছ থেকে একটি ব্যাগ ছিনিয়ে রাখেন, যাতে ‘গুরুত্বপূর্ণ কিছু আলামত’ পাওয়া গেছে।
কারা এই হত্যাকাণ্ড ঘটিয়েছে, সে বিষয়ে তাৎক্ষণিকভাবে কোনো ধারণা দিতে পারেনি পুলিশ। তবে গত কয়েক বছরে ব্লগার, অনলাইন অ্যাকটিভিস্ট খুন যেভাবে হয়েছিল, জুলহাজ হত্যাকাণ্ডও ঘটেছে একইভাবে।
ঢাকার পুলিশ কমিশনার মো. আছাদুজ্জামান মিয়া বলেছেন, জুলহাজকে হত্যার জন্যই খুনিরা গিয়েছিল বলে ঘটনাপ্রবাহে তাদের মনে হচ্ছে। র্যাবের ইন্টিলিজেন্স ইউনিটের পরিচালক আবুল কালাম আজাদও মনে করছেন, “ঘটনা পরিকল্পিত।”
২৬ এপ্রিল, ২০১৬/এমটিনিউজ২৪.কম/সৈকত/এমএস