নিউজ ডেস্ক : রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের ইংরেজি বিভাগের শিক্ষক এ এফ এম রেজাউল করিম সিদ্দিকীর গ্রামের বাড়ির মসজিদের ইমাম ও স্থানীয় এক মাদ্রাসার শিক্ষককে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর পরিচয় দিয়ে ধরে নিয়ে যাওয়ার অভিযোগ করেছেন স্বজনরা। মঙ্গলবার ভোররাতে তাঁদের নিয়ে যাওয়া হয় বলে পরিবার জানায়। তবে পুলিশ বলছে, তাঁদের আটক করা হয়নি।
দরগামাড়িয়া গ্রামের জামে মসজিদের ইমাম ও স্থানীয় ফোরকানিয়া হাফেজিয়া মাদ্রাসার শিক্ষক রায়হান আলীর স্ত্রী শাহারা খাতুনের বলেন, ভোররাতে পাঁচ থেকে ছয়জন সাদাপোশাকের লোক আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্য পরিচয়ে বাড়িতে ঢুকে স্বামীকে ধরে নিয়ে যান। কী কারণে নিয়ে যাওয়া হয়, তা তিনি জানেন না।
খাজাপাড়া গ্রামের মাদ্রাসার শিক্ষক মুনসুর রহমানের স্ত্রী ফজিলাতুন্নেসা বলেন, তাঁর স্বামীকেও একই কায়দায় ভোররাতে নিয়ে যাওয়া হয়েছে।
ইমাম ও মাদ্রাসাশিক্ষকের দুই স্ত্রীর ভাষ্য, সকালে তাঁরা থানা ও স্থানীয় র্যাব ক্যাম্পে খোঁজ নিয়েছেন। কোনো হদিস পাননি।
দরগামাড়িয়া গ্রামের বাসিন্দারা জানান, রায়হান আলীর বাড়ি বাগমারা উপজেলার তালঘড়িয়া গ্রামে। তিনি দরগামাড়িয়া জামে মসজিদের ইমাম ও স্থানীয় ফোরকানিয়া হাফেজিয়া মাদ্রাসার শিক্ষক। ওই গ্রামেই বিয়ে করে বাস করছেন। রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক রেজাউল করিম সিদ্দিকী গ্রামে এলে ওই মসজিদে জুমার নামাজ আদায় করতেন। তাঁর হত্যার ঘটনায় জিজ্ঞাসাবাদের জন্য রায়হানকে কোনো বাহিনী ধরে নিয়ে যেতে পারে বলে তাঁদের ধারণা।
মুনসুর রহমান উপজেলার গোপালপুর ইসলামিয়া আলিম মাদ্রাসার শিক্ষক। তিনি দরগামাড়িয়ার পাশের গ্রাম চানপাড়ার এক মসজিদের জুমা নামাজের ইমামতি করে আসছিলেন।
বাগমারা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মতিয়ার রহমানের ভাষ্য, পুলিশ তাঁদের আটক করেনি। তাঁরা এ বিষয়ে কিছু জানে না।
গত শনিবার সকালে রাজশাহী নগরের শালবাগান এলাকায় নিজ বাড়ির সামনে দুর্বৃত্তরা শিক্ষক এ এফ এম রেজাউল করিম সিদ্দিকীকে কুপিয়ে হত্যা করে।
২৬ এপ্রিল, ২০১৬/এমটিনিউজ২৪.কম/সৈকত/এমএস