বুধবার, ২৭ এপ্রিল, ২০১৬, ১১:৩৯:০৪

তোমার বেলায় শতভাগ আমার বেলায়!

তোমার বেলায় শতভাগ আমার বেলায়!

মুহাম্মদ জাহাঙ্গীর আলম বাবু: যেদিন নিজের ভুল গুলো নিজে বুঝতে পারবো সে দিন বুঝবো, আমি মানুষ। নিজের ভুল নির্ভুল, আর অন্যে যা করবে তা সব ভুল, আমি ঠিক বাকি সব বেঠিক যত দিন ভাববো, স্বার্থপর থেকেই যাবো । নিজে হবো নির্লজ্জ, মানুষকে করবো বিব্রত। এই কথা গুলি বুঝেও না বুঝার ভান করে বেঁচে থাকার নাম কলঙ্কিত জীবন। যে নিজে পিতা মাতার সেবা করলাম না, নিজের বউ বাচ্চা কে নিয়ে দূরে সরে থেকে সম্পত্তির ভাগ বাটোয়ারায় সমান। আর নিজেকে আস্তিক প্রমান, সাচ্চা আস্তিক প্রমান করি, কপাল দাগ ফেলি পান্জেগানায়, নিজের দিল পরিস্কার যদি নাই করি, আর যাই হোক পাবলিকের চোখে অন্তত নাফরমান। মরণের পরে কি হবে, তার হিসাব তো আর করি না, তা করবে সৃষ্টি কর্তা। চোখে দেখা মানুষ গুলি যখন জ্ঞান দেয়, এখনও তার ময়লা পরিস্কার করেনি, করলেও এখনো দুর্গন্ধ আসছে, পশ্চাৎ থেকে, আর মানুষকে বলে  বলে পরিস্কার করো, তখন কিছু বললেই অপ্রিয় হতে হয়। নিজে বিয়ের পর অন্যের সাথে ফষ্টি নষ্টি কত জন সোজা কথায় পরকীয়া করে বেড়াচ্ছে, আমি  যদি বলি কাজের কথা, ব্যবাসার কিংবা বন্ধু সুলভ আচরন করি বিপরীত লিঙ্গের সাথে, ঘরের মানুষ মনের মানুষের কাছেই মিলবে  ঝাঁটার বাড়ি। তালাক নামা ও চলে আসতে পারে। নারী নির্যাতনের কেইস হতে পারে। যৌতুকের মামলা হওয়া অস্বাভাবিক নয়। ঘরে মানুষের স্বাধীনতা চাই দিতে হবে শতভাগ। তোমার বেলায় শতভাগ আমার বেলায়!

চুপ একদম চুপ, নারী পুরুষ সমান। এ দেশে নব্বই শতাংশ যদি নারী নির্যাতনের ঘটনা পুরুষ ঘটায় (পরিবার সহ) তাহলে শতকরা আশি ভাগ পুরুষ নির্যাতিত নারীর কাছে, পরকিয়া, অর্থনৈতিক চাপ, পরিবার থকে মা বাবাকে দূরে থাকার চাপ, সন্তানদের রেখে চলে যাবার ভয় দেখানো। অনি ধনী পুরুষদের সাথে তুলনা করা, সকাল বিকাল ঘ্যানর ঘ্যানর  কি মানসিক নির্যাতনে পড়ে না! বিচার ব্যাবস্থার লেজুর বৃত্তি, বা ক্ষমতার কাছে পরাজয়ের কারণে বিচার পাওয়া যায় না। আন্দোলন করতে হয়। নারীদের আন্দোলনে বিবেকবান ছাত্র সমাজ পেশাজীবী সবার সহ মর্মিতা থাকা সত্বেও বিচার না পাওয়া আমাদর ভাগ্যের নির্মম পরিহাস! যৌতুকের বলি হচ্ছে নারী। পথে ঘাটে পরে থাকছে কন্যা জায়া জননীর লাশ। নারীদের পাশাপাশি পুরুষরাই এগিয়ে আসছে তাদের বিচারের দাবিতে। আসা উচিত, আসতে হবে। কিন্তু একটা বিষয়, এই বিদেশেও দেখছি অনেক পুরুষরা নারী কর্তিক লাঞ্চিত হোন, পথে ঘাটে জন সম্মুখে ধবল ধলাই ও হয়। তেমনি পুরুষ আমাদের দেশেও মার খাচ্ছে পরছে, লুট হচ্ছে, এই খবর গুলি থেকে যায় আড়ালে। এই অত্যাচারের ক্ষেত্রে বিচারের দাবিও করতে পারে না অনেকে, যারা বিচার পাবার হোক রাখে, যারা নির্দোষ। তাদের অনেকেই ফাসিয়ে দেয়া হয় নারী নির্যাতনের কেইসে, যা অনেক ভয়ঙ্কর। নারী নির্যাতনের বিচার, তনু হত্যার বিচার না পাওয়া গেলেও অনেকে বিনা অপরাধে জেলের ঘানি টানেন। আদালতে বারান্দায় এতিম এর মত সন্তান আত্বিয় স্বজন কষ্ট পান। প্রবাসীরদের  স্ত্রী  সবচেয়ে নিগৃহিত হন স্বামীর বাড়িতে। আবার প্রতারণার স্বীকার হচ্ছেন এই প্রবাসীরাই। কর্মক্ষত্রে দুর্ঘটনার একটি মূল কারণ মানসিক যন্ত্রণা। সুচ্চ ইমারতের উপর নিরাপত্তা বাধন থাকার পর ও মনোযোগের অভাবে অকালে মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়েন, এই একুশ বছরে মধ্য প্রাচ্যের অনেকের মৃত্যু সংবাদ পাঠিয়েছি বিভিন্ন পত্রিকায়, সিঙ্গাপুর থেকেও অনেক গুলি হয়েছে সংবাদ, সংবাদের আড়ালে অনেকের দাম্পত্য কলহ, পারিবারিক কোন্দল, অর্থনীতিক সমস্যা, লাখ টাকা খরচ করে আসা সহ নানা কারণ থাকে। আজকের এই লেখায় আমার নারী কতৃক পুরুষ নির্যাতন ইঙ্গিত করছি। হাতের পাঁচ আঙ্গুল এক সমান নয়, তেমনি মানুষ ও এক নয়। যেমন সলিম উদ্দিন  তার স্ত্রীকে যে পরিমান টাকা পাঠান বছর শেষে অবাক হয়ে যান, সে টাকা থেকে কি করে সম্পত্তি , গহনা, ক্রোকারিজ ইত্যাদি সংসারের জন্য   গড়েছেন তার স্ত্রী রহিমা বানু, এ দিকে কলিম উদ্দিন যাই পাঠান তার স্ত্রীর দেনা থেকেই যায়, এটাও তো এক ধরনের নির্যাতন, বর্তমান দেশের প্রেক্ষাপটে প্রচুর অর্থ ঋণ করে বিদেশে আসতে হয়, সেখানে যদি পরকীয়ায় লিপ্ত হন বিদেশীর বউ, কিংবা পরিবারের তোয়াক্কা না করে টেলিফোনে চ্যাটিং ব্যস্ত হয়ে পরেন, প্রবাসী ফোন করলেই হায়, হায় করেন তখন প্রবাসে থাকা মানুষটির মাথা কি ঠিক থাকে? মানুষের ভাগ্যের নিয়ন্ত্রণ কিন্তু সৃষ্টি কর্তার হাতে। অনেক কিছু মেনে নিতে হয়। তাই সবার ধৈর্য্য ও থাকতে হয়। পরকীয়ার কত খবরই তো দেখি। কত প্রবাসী নিঃস্ব হয়েছে শ্বশুর বাড়ি কর্তৃক, নিজের আপনা পরিবার কর্তৃক আজ পর্যন্ত ফিরে কি পেয়েছেন কিছু। এখানেও তো পুরুষ নির্যাতন এর স্বীকার হলেন! এই পর্যন্ত কত মানব বন্ধন, কত আন্দোলন, হয়েছে পুরুষ অধিকারের জন্য?

ও আমাদের দেশেতো আবার পুরুষরাই পশু বৃত্তির অধিকারী। অস্বিকার যে করবো তার কি কোন উপায় আছে. গুটি কয়েক পশুর জন্য নির্যাতিত পুরুষরাও পাচ্ছে না বিচার। যারা সাধারণ ভালো মানের পুরুষ তারাও পুরুষ জাতি হিসাবে দায়ভার নিচ্ছে মাথায়। আসলে লেখাটা শুরু করেছিলাম ভিন্ন ভাবে ,একটা স্টেটাস  ছিলো, মনের কিছু কষ্ট নিয়ে। সে যাই হোক, এই সমাজে জ্ঞান দেবার লোকের অভাব নেই , কিন্তু নিজে যে জ্ঞান দিচ্ছে ,তার বৃতান্ত যদি এই লোকটি জানে তাহলে মনে মনে কি ভাববে, দুই দিন আগে ড্রেনের উপর পড়ে থাকত চাই পাশ গিলে , সে যদি বলে ধুম্র পান স্বাস্থ্যের জনই হানি কারক। কেমন লাগবে,আরে বাবা নিজে তো শুধরাও।  সে দিন নিজের পকেটের টাকা খরচ করে এক দল নিয়ে গেলে, রাত গুজরান  করবে মসজিদে,দুই দিন পর মোবাইলে দেখি সে ব্যক্তি উল্টা পাল্টা ছবি দেখে! বাপু নিজে ঠিক হও, পরে জ্ঞান দাও, কাজে লাগবে।
২৭ এপ্রিল,২০১৬/এমটিনিউজ২৪/এইচএস/কেএস

Follow করুন এমটিনিউজ২৪ গুগল নিউজ, টুইটার , ফেসবুক এবং সাবস্ক্রাইব করুন এমটিনিউজ২৪ ইউটিউব চ্যানেলে