রবিবার, ০১ মে, ২০১৬, ০৫:৫৬:০৫

বিদ্যুৎ বিভ্রাট : অজুহাত বনাম বাস্তবতা

বিদ্যুৎ বিভ্রাট : অজুহাত বনাম বাস্তবতা

গোলাম মোর্তোজা: আমদানি করা তেল দিয়ে জেনারেটরে বিদ্যুৎ উৎপাদন করে ব্যক্তি সাময়িক চাহিদা মেটাতে পারেন, রাষ্ট্র জনগণের চাহিদা মেটাতে পারে না। শুরু থেকেই হিসেব এবং তথ্য -প্রমাণ দিয়ে দেখিয়েছি।
বর্তমানে বিদ্যুৎ উৎপাদন সক্ষমতা প্রায় ১৪ হাজার মেগাওয়াট। চাহিদা সর্বোচ্চ ৮ হাজার ৫০০ মেগাওয়াট। উৎপাদন হচ্ছে ৬/৭ হাজার মেগাওয়াট।
কারণ কী?
অজুহাত -১ : শ্রমিক ধর্মঘটে তেল পরিবহনে সমস্যা।
অজুহাত -২ : সঞ্চালন লাইনের দূর্বলতা।

বাস্তবতা -১ : রেন্টাল -কুইক রেন্টাল জেনারেটর ভিত্তিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র প্রায় কখনও ক্ষমতার পুরোটা উৎপাদন করতে পারে না। বারবার জেনারেটর বিকল হয়। জেনারেটরগুলো পুরনো হওয়ায় বিকল বেশি হচ্ছে।
বাস্তবতা - ২ : সঞ্চালন লাইনে সমস্যা আছে, সত্যি। তবে ৮ হাজার ৫০০ মেগাওয়াট সঞ্চালনে সমস্যা নেই।
বাস্তবতা - ৩ : রেন্টাল -কুইক রেন্টাল সর্বোচ্চ এক বছরের সাময়িক ব্যবস্থা হতে পারত। সাময়িক প্রকল্প স্থায়ী করা হয়েছে। রাষ্ট্রের জনগণের হাজার হাজার কোটি টাকা লুটপাট স্থায়ী রূপ পেয়েছে। সক্ষমতার যে ৭/৮  হাজার মেগাওয়াট উৎপাদন হচ্ছে না, তার জন্যে মালিকরা ৩০% ক্যাপাসিটি ট্যাক্স পাচ্ছে। জনগণ বিদ্যুৎ পাচ্ছে না, টাকা ঠিকই খরচ করতে হচ্ছে।-ফেসবুক থেকে

১ মে,২০১৬/এমটিনিউজ২৪/সুবজ/এসএ

Follow করুন এমটিনিউজ২৪ গুগল নিউজ, টুইটার , ফেসবুক এবং সাবস্ক্রাইব করুন এমটিনিউজ২৪ ইউটিউব চ্যানেলে