বৃহস্পতিবার, ০৫ মে, ২০১৬, ০২:৪৩:১২

দৃষ্টি এখন সুপ্রিম কোর্টের দিকে

দৃষ্টি এখন সুপ্রিম কোর্টের দিকে

নিউজ ডেস্ক: সবার দৃষ্টি আজ সুপ্রিম কোর্টের দিকে। দুটি গুরুত্বপূর্ণ মামলায় আজ রায় ঘোষণা করবে দেশের সর্বোচ্চ আদালত। জামায়াতের আমীর মাওলানা মতিউর রহমান নিজামীর মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় রিভিউর রায় ঘোষণা করবে সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগ। অন্যদিকে সংবিধানের ১৬তম সংশোধনীর বৈধতা প্রশ্নে রায় ঘোষণা করবে সুপ্রিম কোর্টের হাইকোর্ট বিভাগ।


মতিউর রহমান নিজামীর মামলায় চূড়ান্ত রায় ঘোষণা করবে প্রধান বিচারপতি এস কে সিনহার নেতৃত্বাধীন আপিল বিভাগের চার বিচারপতির বেঞ্চ। বেঞ্চের অন্য সদস্যরা হলেন- বিচারপতি নাজমুন আরা সুলতানা, বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেন ও বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকী। মঙ্গলবার শুনানি শেষে ৫ই মে এ বিষয়ে রায় ঘোষণার দিন ধার্য করেন আপিল বিভাগ। রিভিউয়ের রায়ে মৃত্যুদণ্ড বহাল থাকলে শেষ সুযোগ হিসেবে প্রেসিডেন্টের কাছে প্রাণভিক্ষার আবেদনের সুযোগ পাবেন নিজামী। যদি তিনি প্রাণভিক্ষার আবেদন না করেন কিংবা আবেদন করার পর তা নাকচ হয়ে যায়, তবে মৃত্যুদণ্ড কার্যকরে আর কোনো বাধা থাকবে না বলে জানিয়েছেন রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবীরা।

ষোড়শ সংশোধনীর বৈধতার রায় আজ। জাতীয় সংসদের মাধ্যমে বিচারপতিদের অপসারণ ক্ষমতা সংক্রান্ত সংবিধানের ষোড়শ সংশোধনী বৈধ কিনা তা জানা যাবে আজ। দেশের সর্বোচ্চ আদালতের ৯ জন আইনজীবীর দাখিল করা একটি রিট আবেদনের প্রেক্ষিতে দেয়া রুলের চূড়ান্ত শুনানি শেষে ১০ই মার্চ রায়ের জন্য এ দিন (৫ই মে) নির্ধারণ করেন বিচারপতি মইনুল ইসলাম চৌধুরী, বিচারপতি কাজী রেজা-উল হক ও বিচারপতি মো. আশরাফুল কামালের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্টের বিশেষ বেঞ্চ। ওই দিন এ বিষয়ে সপ্তদশ দিবসের শুনানিতে রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম।

অন্যদিকে রিট আবেদনকারীর পক্ষে ছিলেন আইনজীবী মনজিল মোরসেদ। উচ্চ আদালতের বিচারপতিদের অপসারণের ক্ষমতা জাতীয় সংসদের কাছে ফিরিয়ে নিতে ২০১৪ সালের ১৭ই সেপ্টেম্বর সংবিধানের ষোড়শ সংশোধনী আনা হয়। বিলটি পাসের পর একই বছরের ২২শে সেপ্টেম্বর তা গেজেট আকারে প্রকাশিত হয়। ওই সংশোধনীর বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে ৫ই নভেম্বর একটি রিট আবেদন দাখিল হয়। ৯ই নভেম্বর প্রাথমিক শুনানির পর ষোড়শ সংশোধনী কেন অসাংবিধানিক ঘোষণা করা হবে না তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেন হাইকোর্টের সংশ্লিষ্ট বেঞ্চ। মন্ত্রিপরিষদ সচিব, প্রেসিডেন্ট কার্যালয়ের সচিব, প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের সচিব ও সংসদ সচিবালয়ের সচিবকে দুই সপ্তাহের মধ্যে রুলের জবাব দিতে বলা হয়।

এরপর গতবছর ২১শে মে রুলের শুনানি শুরু হয়। এ বিষয়ে আদালতের আহ্বানে বিভিন্ন সময়ে অ্যামিকাস কিউরি হিসেবে মতামত দেন পাঁচ জ্যেষ্ঠ আইনজীবী।-মানবজমিন

৫মে, ২০১৬/এমটিনিউজ২৪/সবুজ/এসএ

Follow করুন এমটিনিউজ২৪ গুগল নিউজ, টুইটার , ফেসবুক এবং সাবস্ক্রাইব করুন এমটিনিউজ২৪ ইউটিউব চ্যানেলে