বৃহস্পতিবার, ০৫ মে, ২০১৬, ০৯:০৯:১৯

ষোড়শ সংশোধনীর বৈধতা প্রশ্নে রিটের রায় আজ

ষোড়শ সংশোধনীর বৈধতা প্রশ্নে রিটের রায় আজ

নিউজ ডেস্ক : বিচারকদের অপসারণের ক্ষমতা সংসদের হাতে ন্যস্ত করে আনা সংবিধানের ষোড়শ সংশোধনীর বৈধতা প্রশ্নে একটি রিটের উপর আগামীকাল বৃহস্পতিবার রায় দেবেন হাইকোর্ট। সুপ্রিম কোর্টের নয় আইনজীবীর করা এ রিট আবেদনের প্রেক্ষিতে জারিকৃত রুলের চূড়ান্ত শুনানি শেষে রায়ের এই দিন ধার্য করেন বিচারপতি মইনুল ইসলাম চৌধুরী, বিচারপতি কাজী রেজা-উল হক ও বিচারপতি মো. আশরাফুল কামালের একটি বিশেষ বেঞ্চ।

অসদাচরণের দায়ে সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতিদের অপসারণের ক্ষমতা সংসদের কাছে ফিরিয়ে নিতে ২০১৪ সালের ১৭ সেপ্টেম্বর সংবিধানের ষোড়শ সংশোধনী আনা হয়। বিলটি পাসের পর একই বছরের ২২ সেপ্টেম্বর তা গেজেট আকারে প্রকাশিত হয়।

ওই সংশোধনীর বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে একই বছরের ৫ নভেম্বর হাইকোর্টে এই রিট আবেদন দায়ের করা হয়। প্রাথমিক শুনানির পর হাইকোর্ট ২০১৪ সালের ৯ নভম্বর রুল জারি করেন। রুলে ওই সংশোধনী কেন অসাংবিধানিক ঘোষণা করা হবে না, তা জানতে চাওয়া হয়।

মন্ত্রিপরিষদ সচিব, রাষ্ট্রপতির কার্যালয়ের সচিব, প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের সচিব, আইন সচিব, সংসদ সচিবালয়ের সচিবকে দুই সপ্তাহের মধ্যে রুলের জবাব দিতে বলা হয়।

এই রুলের উপর গত বছর ২১ মে শুনানি শুরু হয় এবং ১৭ কার্যদিবস শুনানি চলে। গত ১০ মার্চ শুনানি শেষে আদালত রায়ের তারিখ ঘোষণা করেন।

শুনানির প্রথম দিনেই আদালত মতামত দিতে অ্যামিকাস কিউরি হিসেবে সিনিয়র পাঁচ আইনজীবীর নাম ঘোষণা করেন। তাদের মধ্যে ড. কামাল হোসেন, ব্যারিস্টার এম আমীর-উল ইসলাম, ব্যারিস্টার রোকনউদ্দিন মাহমুদ ও আজমালুল হোসেন কিউসি এই শুনানিতে অ্যামিকাস কিউরি হিসেবে নিজেদের মতামত তুলে ধরেন।

১৯৭২ সালের সংবিধানে উচ্চ আদালতের বিচারপতিদের অপসারণের ক্ষমতা জাতীয় সংসদের উপর ন্যস্ত ছিল। ১৯৭৫ সালের ২৪ জানুয়ারি সংবিধানের চতুর্থ সংশোধনীর মাধ্যমে এই ক্ষমতা রাষ্ট্রপতির হাতে ন্যস্ত হয়। পরে প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের আমলে সংবিধানের পঞ্চম সংশোধনীর মাধ্যমে বিচারকদের অপসারণের ক্ষমতা সুপ্রিম জুডিশিয়াল কাউন্সিলের কাছে ন্যস্ত হয়।

ষোড়শ সংশোধনীর মাধ্যমে ৯৬ অনুচ্ছেদে অন্তর্ভুক্ত ২ উপঅনুচ্ছেদে বলা হয়, ‘প্রমাণিত অসদাচরণ বা অসামর্থ্যরে কারণে সংসদের মোট সদস্য-সংখ্যার অন্যূন দুই-তৃতীয়াংশ গরিষ্ঠতার দ্বারা সমর্থিত সংসদের প্রস্তাবক্রমে প্রদত্ত রাষ্ট্রপতির আদেশ ব্যতীত কোন বিচারককে অপসারিত করা যাইবে না।’ ৩ উপঅনুচ্ছেদ অনুসারে, ‘এই অনুচ্ছেদের ২ দফার অধীন প্রস্তাব সম্পর্কিত পদ্ধতি এবং কোন বিচারকের অসদাচরণ বা অসামর্থ্য সম্পর্কে তদন্ত ও প্রমাণের পদ্ধতি সংসদ আইনের দ্বারা নিয়ন্ত্রণ করিতে পারিবেন।’
৫ মে, ২০১৬/এমটিনিউজ২৪.কম/সৈকত/এমএম

Follow করুন এমটিনিউজ২৪ গুগল নিউজ, টুইটার , ফেসবুক এবং সাবস্ক্রাইব করুন এমটিনিউজ২৪ ইউটিউব চ্যানেলে