নিউজ ডেস্ক : চলমান ইউপি নির্বাচনে সহিংসতায় এ পর্যন্ত নিহত হয়েছেন ৭১ জন এবং আহত হয়েছেন ৬ শতাধিক বলে জানিয়েছেন সুশাসনের জন্য নাগরিক (সুজন)। নিহতদের ৩৬ জনই আওয়ামী লীগের বলে জানিয়েছে তারা।
বৃহস্পতিবার দুপুরে রাজধানীর রিপোটার্স ইউনিটির সাগর রুনি মিলনায়তনে সুশাসনের জন্য নাগরিক সুজন ‘চলমান ইউপি পরিষদ নির্বাচনের চালচিত্র’ তুলে ধরে সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়। এতে লিখিত বক্তব্য উপস্থাপন করেন সুজনের সম্বয়ক দিলীপ কুমার সরকার।
দিলীপ কুমার সরকার বলেন, ‘চলমান ইউপি নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার পর থেকে এ পর্যন্ত নির্বাচন পূর্ব, নির্বাচনকালীন ও নির্বাচন পরবর্তী সংঘর্ষ এবং নির্বাচনকেন্দ্রীক বিরোধের জেরে এখন পর্যন্ত নিহত হয়েছেন ৭১ জন এবং আহত হয়েছেন ৬ শতাধিক।
প্রাণহানীর তথ্য পর্যালোচনা করে দেখা যায়, প্রথম ধাপের নির্বাচনের পূর্বে ১০ জন, প্রথম ধাপের নির্বাচনের দিন ১১ জন এবং প্রথম ধাপের নির্বাচনের পর থেকে দ্বিতীয় ধাপের নির্বাচনের পূর্ব পর্যন্ত ১১ জন নিহত হয়েছেন।
দ্বিতীয় ধাপের নির্বাচনের দিন ৯ জন, নির্বাচনের পর থেকে তৃতীয় ধাপের নির্বাচনের পূর্ব পর্যন্ত ১৭ জন, তৃতীয় ধাপের নির্বাচনের দিন ৫ জন এবং তৃতীয় ধাপের নির্বাচনের পর থেকে এ পর্যন্ত ৮ জনের মৃত্যু হয়েছে।
তিনি বলেন, দলগত পরিচয়ে চলমান ইউপি নির্বাচনের সহিংসতায় নিহত হয়েছে আওয়ামী লীগের ২৯ জন বিএনপির ২ জন, আওয়ামী বিদ্রোহী ৭ জন, জাতীয় পার্টির ১ জন, জাতীয় পার্টি জেপি ১ জন, জনসংহতি সম্মেলনের ১ জন, মেম্বার প্রার্থীর কর্মী বা সমর্থক ১৫ জন এবং ১৬ জন সাধারণ মানুষ নিহত হয়েছেন।
চেয়ারম্যান পদে বিনা প্রতিদ্বন্দিতায় নির্বাচিত হওয়ার বিষয়টি ইতিমধ্যে সর্বকালের রেকর্ড ছাড়িয়েছে জানিয়ে সুজনের এই সমন্বয়ক বলেন, প্রথম ধাপ থেকে শুরু করে চতুর্থ ধাপের মনোনয়নপত্র যাচাই-বাছাই ও প্রত্যাহারের পর এই সংখ্যা ১৫০-এ দাঁড়িয়েছে। প্রথম ধাপে ৫৪জন, দ্বিতীয় ধাপে ৩৪জন, তৃতীয় ধাপে ২৯জন এবং চতুর্থ ধাপে ৩৩ জন চেয়াম্যান প্রার্থী বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হয়েছে। এরা সবাই আওয়ামী লীগের।
তিনি বলেন, চার ধাপে অনুষ্ঠিত ইউপি নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের (বিএনপি) প্রার্থী শূন্য ছিল বা আছে ৩৮৮ টি ইউনিয়নে। প্রথম ধাপে ১১৯ ইউনিয়ন, দ্বিতীয় ধাপে ৭৯ ইউনিয়ন এবং তৃতীয় ধাপে ৮১ ইউনিয়নে বিএনপির প্রার্থী শূন্য ছিল। চতুর্থ ধাপেও ১০৯ টি ইউনিয়নে দলটির কোনো প্রার্থী নেই।
কারণ হিসেবে উল্লেখ করা হয় বিএনপির প্রার্থীদের অনেক স্থানে ভয়ভীতি প্রদর্শন মনোয়নপত্র জমাদানে বাধা মনোয়ন পত্র কেড়ে নেওয়া বা ছিড়ে ফেলার কারণে তারা জমা দিতে পারেনি।
এসময় আরো উপস্থিত ছিলেন সুজন সভাপতি হাফিজ উদ্দীন আহমেদ, সাধারণ সম্পাদক বদিউল আলম মজুমদার সুজনের জাতীয় কমিটির সদস্য মোহাম্মাদ জাহাঙ্গীর হোসেন প্রমুখ।
৫ মে, ২০১৬/এমটিনিউজ২৪.কম/সৈকত/এমএম