শুক্রবার, ০৬ মে, ২০১৬, ০১:৩৬:৪৪

নিজামীর ফাঁসি প্রক্রিয়া নিয়ে যা বললেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী

নিজামীর ফাঁসি প্রক্রিয়া নিয়ে যা বললেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী

নিউজ ডেস্ক : একাত্তরে মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত জামায়াতে ইসলামী আমির মাওলানা মতিউর রহমান নিজামীর ফাঁসি কার্যকরে সরকার তাড়াহুড়ো করবে না বলে জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল। তিনি বলেছেন,। সব আইনি প্রক্রিয়া সম্পন্ন হওয়ার পর নিজামীর ফাঁসি কার্যকর করা হবে।’

শুক্রবার বেলা ১১টায় ধানমন্ডির বাসভবনে এ কথা বলেন তিনি। গতকাল বৃহস্পতিবার প্রধান বিচারপতি এসকে সিনহার নেতৃত্বাধীন আপিল বিভাগের চার সদস্যের বেঞ্চ মৃত্যুদণ্ডের বিরুদ্ধে নিজামীর করা রিভিউ আবেদন খারিজ করে দেন।

আপিল বেঞ্চের অপর সদস্যরা হলেন- বিচারপতি নাজমুন আরা সুলতানা, বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেন ও বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকী।

শুক্রবার বেলা ১১টার দিকে নিজামীর পরিবারের ৬ সদস্য কাশিমপুর কারাগারে তার সঙ্গে দেখা করেন। পরিবারের সদস্যদের মধ্যে ছিলেন- নিজামীর স্ত্রী সামছুন্নাহার, দুই ছেলে ব্যারিস্টার নাজিবুর রহমান ও ডা. নাঈমুর রহমান, পুত্রবধূ রায়য়ান ও ফালুয়া এবং মেয়ে মহসিনা ফাতেমা।

কাশিমপুর কারাগার পাট-২ এর জেল সুপার প্রশান্ত কুমার জানান, ‘শুক্রবার সকালে মতিউর রহমান নিজামীর পরিবারের ৬ সদস্য কাশিমপুর কারাগারে আসেন। পরে তারা আবেদন করলে বেলা ১১টার দিকে তাদের দেখা করার সুযোগ দেওয়া হয়।’

বাকি শুধু প্রাণভিক্ষার আবেদন
রিভিউ আবেদন খারিজের মধ্য দিয়ে মাওলানা নিজামীর আইনি লড়াইয়ের পরিসমাপ্তি হয়েছে। এখন সংবিধানের ৪৯ অনু্চ্ছেদ অনুসারে শেষ সুযোগে দণ্ডাদেশ পাওয়া আসামি প্রাণভিক্ষা চাইতে পারেন।

আসামি তা না চাইলে বা রাষ্ট্রপতির ক্ষমা না পেলে সরকার দিনক্ষণ ঠিক করে কারা কর্তৃপক্ষকে ফাঁসি কার্যকরের নির্দেশ দেবে।

একাত্তরের যুদ্ধাপরাধে অভিযুক্ত প্রথম ব্যক্তি হিসেবে ২০১৩ সালের ১২ ডিসেম্বর ফাঁসি কার্যকর হয় জামায়াতের সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল কাদের মোল্লাকে।

আর ২০১৫ সালের ১১ এপ্রিল জামায়াতের আরেক সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল মুহাম্মদ কামারুজ্জামানের মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করে কারা কর্তৃপক্ষ।

তাদের দুজনের রিভিউ আবেদন একদিনের মধ্যে শুনানি শেষে খারিজ হয়ে গিয়েছিল। তারা রাষ্ট্রপতির ক্ষমা চাননি।

এরপর জামায়াত নেতা আলী আহসান মোহাম্মদ মুজাহিদ ও বিএনপির সালাউদ্দিন কাদের চৌধুরীর মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করা হয় গতবছরের ২১ নভেম্বর।

এর বাইরে যুদ্ধাপরাধ মামলার আসামিদের মধ্যে কেবল জামায়াতে ইসলামীর নায়েবে আমির দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদীর রায় এসেছে আপিল বিভাগে। ট্রাইব্যুনালে তাকে দেওয়া সর্বোচ্চ সাজার রায় কমিয়ে আপিল বিভাগ আমৃত্যু কারাদণ্ডের যে রায় দিয়েছে, তার রিভিউ চেয়েছে দুই পক্ষই।
০৬ মে, ২০১৬/এমটিনিউজ২৪.কম/সৈকত/এমএম

Follow করুন এমটিনিউজ২৪ গুগল নিউজ, টুইটার , ফেসবুক এবং সাবস্ক্রাইব করুন এমটিনিউজ২৪ ইউটিউব চ্যানেলে