‘খালেদা জিয়ার হাতে বিষের পেয়ালা’!

ঢাকা : বিএনপির কাউন্সিল অধিবেশনে কমিটি গঠনে কাউন্সিলরদের দেয়া ক্ষমতা হাতে নিয়ে ‘বিষপাত্র’ হাতে নিয়েছেন চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া বলে মন্তব্য করেছেন গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের প্রতিষ্ঠাতা ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী।

৬ মে শুক্রবার দুপুরে রাজধানীর পুরানা পল্টনে বাংলাদেশ ফটো জার্নালিস্ট অ্যাসোসিয়েশন মিলনায়তনে এক প্রতিবাদী সংহতি সম্মেলনে তিনি এ কথা বলেন।  

দিগন্ত টেলিভিশনের সম্প্রচার বন্ধের ৩ বছর পূর্তি উপলক্ষে এ সম্মেলনের আয়োজন করে ‘দিগন্ত টিভি পরিবার’।

ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী বলেন, জানতে পারলাম, বিকল্পধারা বাংলাদেশের সভাপতি অধ্যাপক ডা. এ কিউ এম বদরুদ্দোজা চৌধুরী ও এলডিপির সভাপতি কর্নেল (অব.) ড. অলি আহমদ পুনরায় বিএনপিতে ফিরে আসছেন।  এটি হলে খুবই ভালো হয়।

তিনি বলেন, বর্তমান রাজনৈতিক পরিস্থিতিতে যত বিরোধী দল একত্রিত হয়ে সম্মিলিত আন্দোলন করবে, ততই মঙ্গল।  তবে এর আগে তাদের নিজেদের পার্টির সঙ্গে আলোচনা করে আসতে হবে। তা না হলে বেগম খালেদা জিয়ার মতো তারা বিপদে পড়বেন।

ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী বলেন, বিএনপির কাউন্সিল অধিবেশনে কমিটি গঠনে বেগম খালেদা জিয়াকে ক্ষমতা প্রদান করেন কাউন্সিলররা।  কাউন্সিলরদের চাটুকারিতায় মুগ্ধ হয়ে তিনি খুব খুশি মনে নিয়েও নেন।  

তিনি বলেন, কিন্তু আজকে তিনি বুঝতে পারছেন, বিষপাত্র হাতে নিয়েছেন তিনি।  সেখানে কত তাঁবেদার আর কত দিকে তদবির।  সবাই দাবি করছে, তারা মাঠে ছিল।  নেতারা মাঠে থাকলে সরকার আসলে কী করে?

ডা. জাফরুল্লাহ বলেন, বিএনপি কি এখনো আশায় বসে আছে, বিদেশি শক্তি তাকে রাষ্ট্রীয় ক্ষমতায় বসিয়ে দেবে? কেউ তাকে ক্ষমতায় বসিয়ে দেবে না। এ জন্য সবাইকে নিয়ে মাঠে নামতে হবে।

সিপিবি নেতাদের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, আপনারা আওয়ামী লীগের লেজুড় আর কতদিন ধরে থাকবেন? বিএনপির থেকে আওয়ামী লীগ একটু ভালো, এ ধারনা ছাড়ুন।  তারা দুজন একই রকম।

তবে বিএনপিকে সবচেয়ে বড় রাজনৈতিক দল উল্লেখ করে এ বুদ্ধিজীবী বলেন, রাজনীতিতে পরিবর্তন আনতে হলে বেগম খালেদা জিয়াকে একটি পরিষ্কার ঘোষণা দিয়ে আসতে হবে।  তিনি দিগন্তের মতো একাত্তর টিভিকেও বন্ধ করে দেবেন না।  

তিনি বলেন, আমরা চাই, শত ফুল ফুটুক।  আওয়ামী লীগের সময়ে মুক্তিযোদ্ধার সংখ্যা এক লাখ থেকে ছয় লাখ করা হয়েছে।  বিএনপি ক্ষমতায় এসে কি দুই লাখ বাড়িয়ে আট লাখ করবে, না কি ছয় লাখ থেকে সংখ্যা কমিয়ে দেবে, না কি সব বাদ দিয়ে বলবে সমগ্র দেশবাসীই তো মুক্তিযোদ্ধা।  

দিগন্ত টিভির নির্বাহী পরিচালক মাহমুদুল আলমের সভাপতিত্বে অন্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন লেখক ও কলামিস্ট ফরহাদ মজহার, দৈনিক নয়া দিগন্তের সম্পাদক আলমগীর মহিউদ্দীন, নির্বাহী সম্পাদক মাসুদ মজুমদার, সম্মিলিত পেশাজীবী পরিষদের ভারপ্রাপ্ত আহ্বায়ক সাংবাদিক রুহুল আমিন গাজী, বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়নের (বিএফইউজে, একাংশ) মহাসচিব এম আব্দুল্লাহ, সাবেক মহাসচিব এম এ আজিজ, ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়নের (ডিইউজে, একাংশ) সভাপতি কবি আব্দুল হাই শিকদার, মহাসচিব জাহাঙ্গীর আলম প্রধান, কল্যাণ পার্টির ভাইস চেয়ারম্যান সাহিদুর রহমান তামান্না, বিএনপির সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক শহীদুল ইসলাম বাবুল প্রমুখ।
৬ মে,২০১৬/এমটিনিউজ২৪/এমআর/এসএম