শনিবার, ০৭ মে, ২০১৬, ০৯:০০:৫৩

চতুর্থধাপে চলছে ৭০৩ ইউপিতে ভোটগ্রহণ

চতুর্থধাপে চলছে ৭০৩ ইউপিতে ভোটগ্রহণ

নিউজ ডেস্ক : চতুর্থ ধাপে ইউপি নির্বাচনে ভোট গ্রহণ চলছে। এ ধাপে ৪৭ জেলার ৮৮ উপজেলার ৭০৩ ইউনিয়ন পরিষদের ভোট গ্রহণ শুরু হয়েছে আজ শনিবার সকাল থেকে। সকাল ৮ থেকে শুরু হওয়া এই ভোট গ্রহণ বিরতিহীনভাবে চলবে বিকেল ৪টা পর্যন্ত।

এদিকে ভোট শুরুর আগে বিভিন্ন স্থানে সহিংসতা, হামলা-ভাঙচুর বৃদ্ধি পাওয়ায় ভোটাদের মধ্যেও বিরাজ করছে নানা শঙ্কা। সরকার দলীয় হুইপ-এমপি ও প্রভাবশালীদের অচরণবিধি লঙ্ঘনের হিড়িক পড়ায় শেষ মুহূর্তে নড়েচড়ে বসেছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। বিধি লঙ্ঘনের দায়ে সংসদ সদস্যকে শোকজসহ কয়েকটি পদক্ষেপ নিয়েছে ইসি।

এদিকে প্রথম তিন ধাপের ইউপি নির্বাচনে ব্যাপক সহিংসতা ও কারচুপির ঘটনায় ৪র্থ ধাপের ভোট নিয়েও শঙ্কিত বিরোধী মতের প্রার্থী ও তাদের সমর্থকেরা। শেষ মুহূর্তে প্রতিপক্ষের কেন্দ্র দখলের হুমকি-ধমকিসহ নানান অভিযোগ ইসিতে এসেছে।

নির্বাচন কমিশনার মোহাম্মদ আবু হাফিজ বলেন, ‘উত্তরোত্তর নির্বাচনী পরিবেশ ভালো হচ্ছে। আগের অভিজ্ঞতা নিয়ে সতর্ক করা হয়েছে আইন শৃঙ্খলাবাহিনী ও ভোটগ্রহণ কর্মকর্তাদের।’

প্রার্থী ও দল ও ভোটার চতুর্থ ধাপের ভোটে মোট ৩ হাজার ২৪৫ জন প্রার্থী চেয়ারম্যান পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছে। সংরক্ষিত নারী সদস্য পদে ৭ হাজার ১৫৯ জন, সাধারণ সদস্য পদে ২৪ হাজার ১৮৭ জন প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। ১৪টি রাজনৈতিক দল এ নির্বাচনে অংশ নিচ্ছে। ইতোমধ্যে বিনাপ্রতিদ্বন্দ্বিতায় চেয়াম্যান পদে আওয়ামী লীগের ৩৩ জন নির্বাচিত হয়েছেন। এছাড়া সংরক্ষিত নারী সদস্য ৯৮ জন ও সাধারণ সদস্য ২৮৭ জন বিনাপ্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হয়েছেন। এ ধাপে মোট ভোটার ১ কোটি ১০ লাখ।

মাঠে টহলে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী সব মিলিয়ে এ নির্বাচনে সাড়ে ৭ হাজারেরও বেশি ভোট কেন্দ্রে লক্ষাধিক ভোট গ্রহণ কর্মকর্তা ও ২ লাখের মতো আইন শৃঙ্খলাবাহিনীর সদস্য নিয়োজিত রয়েছে। নির্বাচনকে ঘিরে বৃহস্পতিবার সকাল থেকেই আইনশৃঙ্খলা রক্ষার্থে মাঠে নেমেছে বিভিন্ন বাহিনীর সদস্যরা। একইসঙ্গে নির্বাচনী অনিয়ম ঠেকাতে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের পাশাপাশি জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেটরাও অপরাধ তদারকিতে মাঠে নেমেছে। ইসি সচিবালয়ের উপসচিব সামসুল আলম জানান, ভোটের দুই দিন আগে থেকে মাঠে নেমেছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। এবারের নির্বোচনে সবাইকে সর্বোচ্চ সতর্কতা অবলম্বনের পাশাপাশি অনাকাঙ্খিত পরিস্থিতি মোকাবেলায় আরও কঠোর হওয়ার নির্দেশনা দেয়া হয়েছে।

ইসি কর্মকর্তারা জানান, পুলিশ, এপিবিএন ও ব্যাটেলিয়ন আনসারের সমন্বয়ে প্রতি ইউনিয়নে একটি করে মোবাইল ফোর্স ও প্রতি তিন ইউপির জন্য স্ট্রাইকিং ফোর্স রাখা হয়েছে। অন্যদিকে প্রতি উপজেলায় ২টি করে র‌্যাবের মোবাইল টিম ও ১টি স্ট্রাইকিং টিম এবং প্রতি উপজেলায় ২ প্লাটুন বিজিবি মোবাইল ও ১ প্লাটুন স্ট্রাইকিং ফোর্স হিসেবে থাকছে।
৭ মে, ২০১৬/এমটিনিউজ২৪/এসপি/এমএন

Follow করুন এমটিনিউজ২৪ গুগল নিউজ, টুইটার , ফেসবুক এবং সাবস্ক্রাইব করুন এমটিনিউজ২৪ ইউটিউব চ্যানেলে