সোমবার, ০৯ মে, ২০১৬, ০৩:২৬:৪১

শুধু টাকাই নয়, নেতাদের সাথে লবিং হলো যোগ্যতা

শুধু টাকাই নয়, নেতাদের সাথে লবিং হলো যোগ্যতা

মজুমদার ইমরান ও কামরুল হাসান: চলমান ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে যোগ্যতা, জনপ্রিয়তা বা তৃণমূল নেতাকর্মীদের সুপারিশের ভিত্তিতে চেয়ারম্যান পদে দলীয় মনোনয়ন পাচ্ছেন না বিএনপির নেতাকর্মীরা। চেয়ারম্যান পদে যাদের মনোনয়ন দেয়া হচ্ছে, তাদের প্রধানত যোগ্যতা হলো তারা সংশ্লিষ্ট এলাকার হয় সাবেক এমপি অথবা জেলা-উপজেলা বা কেন্দ্রীয় প্রভাবশালী নেতাদের পছন্দের লোক। এটাই এখন মনোনয়ন পাওয়ার ক্ষেত্রে যোগ্যতার মাপকাঠি হয়ে দাঁড়িয়েছে। এর সঙ্গে যুক্ত হয়েছে মনোনয়ন বাণিজ্য। বিএনপির ইউনিয়নসহ স্থানীয় সরকার নির্বাচনগুলো মনিটরিং করছেন এমন নেতাদের বিরুদ্ধে প্রকাশ্যে আর্থিক লেনদেনের ব্যাপক অভিযোগ ওঠে।

কয়েকদিন আগে নির্বাচনী কর্মকাণ্ডের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট বিএনপির একজন সহদফতর সম্পাদকের একটি ব্যাংক হিসাবে প্রায় সাড়ে চার কোটি টাকার লেনদেনের খবরও গণমাধ্যমে প্রকাশ হয়েছে। এ নিয়ে তোলপাড় হওয়ার পর ওই নেতাকে গুলশান কার্যালয়ের দায়িত্ব থেকেও সরিয়ে দেয়া হয়। কিন্তু গুলশান কার্যালয়ে মনোনয়ন বাণিজ্য বন্ধ হয়নি। বিএনপির একাধিক কেন্দ্রীয় নেতা কাছে এমন কথা স্বীকারও করেছেন। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক স্থায়ী কমিটির এক সদস্য বলেছেন, চলমান ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে নেতিবাচক ফলাফলের জন্য শুধু ক্ষমতাসীনদের ব্যাপক কারচুপি আর নির্বাচন কমিশনের পক্ষপাতমূলক আচরণই দায়ী নয়। সঠিক প্রার্থীকে মনোনয়ন দিতে না পারা এবং নেতাকর্মীদের অভ্যন্তরীণ কোন্দল নিরসন করতে না পারাও ভূমিকা রেখেছে।


খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, মনোনয়ন বাণিজ্যের সঙ্গে শুধু একজন সহদফতর সম্পাদক নন অনেক রাঘব বোয়ালও জড়িত। বিএনপির নির্বাহী কমিটির নতুন এক সাংগঠনিক সম্পাদকও মনোনয়ন বাণিজ্যের সঙ্গে জড়িত। ওই নেতার কাছেই তৃণমূল থেকে মনোনয়নের সুপারিশের ফাইল আসে। ওই নেতার নেতৃত্বে একটি সিন্ডিকেট গুলশান কার্যালয় কেন্দ্রীয় ইউপি মনোনয়ন বাণিজ্য করছে। প্রার্থীদের জনপ্রিয়তা, প্রার্থীদের যোগ্য না দেখেই প্রভাবশালী নেতাদের পরামর্শে মনোনয়নের চিঠি দিচ্ছেন।


চলমান ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনের ষষ্ঠ ধাপে প্রায় সাড়ে ছয় শতাধিক ইউনিয়নের মনোনয়ন দেয়ার প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। আজ ৯ মে ষষ্ঠ ধাপের এই নির্বাচনের মনোনয়নপত্র জমা দেয়ার শেষ দিন।  গত শুক্র ও শনিবার গুলশান কার্যালয়ে গিয়ে দেখা গেছে, ষষ্ঠ ধাপের নির্বাচনে অংশ নিতে বিএনপির মনোনয়ন প্রত্যাশীরা ভিড় করছেন। আগত মনোনয়ন প্রত্যাশীদের অনেককেই ক্ষোভ প্রকাশ করতে দেখা গেছে। গুলশান কার্যালয়ে কেন্দ্রীয় নেতাদের উপস্থিতিতে হাতাহাতি ও কেন্দ্রীয় নেতাদের টাকা খেয়ে মনোনয়ন দেয়ারও প্রকাশ্যে অভিযোগ এসেছে। গুলশান কার্যালয়ে নেতাকর্মীদের প্রবেশেও আরোপ করা হয়েছে কড়াকড়ি।

ষষ্ঠ ধাপে মোহাম্মদ শাহজাহানের পরিবর্তে দলীয় প্রার্থীদের মনোনয়নের চিঠি দিচ্ছেন দলটির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। মোহাম্মদ শাহজাহান ষষ্ঠ ধাপের প্রার্থীদের প্রাথমিক তালিকা তৈরি করে মহাসচিবের কাছে দিয়ে গেছেন। চিকিৎসার জন্য মোহাম্মদ শাহজাহান ব্যাংকক গেছেন।
ইতিমধ্যে চার ধাপে দুই হাজারেরও বেশি ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছে। শনিবার চতুর্থ ধাপে ৮২৮টি ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচন হয়েছে, ২৮ মে পঞ্চম ধাপে ৭১৪টি ও ৪ জুন ষষ্ঠ ধাপে ৬৬০টি ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে। ক্ষমতাসীন দল আওয়ামী লীগ ও নির্বাচন কমিশনের বিরুদ্ধে চলমান ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে কারচুপি, প্রভাব বিস্তার ও পক্ষপাতমূলক আচরণের অভিযোগ তুললেও বিএনপি নির্বাচনে অংশগ্রহণ অব্যাহত রেখেছে।

ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে এ পর্যন্ত ফলাফল বিশ্লেষণে দেখা গেছে, ক্ষমতাসীন দলের প্রার্থীদের জয়জয়কার। বিএনপির প্রার্থীদের জয়ের হার খুব কম। বিএনপির এমন ফলাফল বিপর্যয়কে শুধু ক্ষমতাসীনদের দাপটের কারণে হয়েছে তা মানতে নারাজ দলটির সাধারণ নেতাকর্মীরা। তাদের অভিযোগ, নেতাদের পকেট লোকদের মনোনয়ন দেয়ার কারণে ভালো প্রার্থীরা নির্বাচন করতে পারেননি। না হলে ফলাফল আরো ভালো হতে পারত।


খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, তৃতীয় ধাপে ফরিদপুর জেলায় কয়েকটি ইউনিয়ন পরিষদের নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছে। যেখানে দলের কেন্দ্রীয় ভাইস চেয়ারম্যান সাবেক মন্ত্রী চৌধুরী কামাল ইবনে ইউসুফ তার নির্বাচনী এলাকায় তৃণমূল নেতাকর্মীদের মতামতের ভিত্তিতে প্রার্থী তালিকা কেন্দ্রে দিলেও সব কটিতে তার প্রার্থীদের মনোনয়ন দেয়া হয়নি। সেখানে স্থানীয় বিএনপির এক প্রভাবশালী নেতাকে ছয়টি ইউনিয়নে প্রার্থী দেয়ার সুযোগ দেয়া হয়। যার সব কটিতেই বিএনপির প্রার্থীরা ব্যাপক ভোটে পরাজিত হয়েছেন।

আগামী ষষ্ঠ ধাপে ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে ধর্মপাশা সদর ইউনিয়ন থেকে বিএনপির মনোনয়ন চান জেলা ছাত্রদলের বর্তমান সাংগঠনিক সম্পাদক ও যুবদলের যুগ্ম আহ্বায়ক সাইফুর রহমান কাঞ্চন। কিন্তু তিনি দলীয় প্রার্থী হিসেবে বিবেচিত হচ্ছেন না। কারণ ধর্মপাশা উপজেলায় দলের মনোনয়ন চূড়ান্ত করছেন প্রভাবশালী দুই নেতা। তাদের সঙ্গে রয়েছেন সিলেট বিভাগের সাংগঠনিক সম্পাদক ডা. জীবন ও সহসাংগঠনিক সম্পাদক কলিম আহমেদ মিলন। প্রতিটি ইউনিয়ন থেকে তিন থেকে চারজন করে প্রার্থীকে ঢাকায় এনে একটি হোটেলে সাক্ষাতকার নিয়েছেন। তাদের কথা মতোই মনোনয়ন দেয়ার সুপারিশ করেছেন। বিপুল পরিমাণ আর্থিক লেনদেনের মাধ্যমে প্রার্থীদের নাম চূড়ান্ত করেছেন বলে অভিযোগ রয়েছে। একই অবস্থা দেশের অন্যান্য স্থানেও।


এর মধ্যে পাবনা জেলার চাটমোহর উপজেলার ১নং হান্ডিয়াল ইউনিয়ন বিএনপির ৫১ সদস্যের মধ্যে ৪৬ জন সদস্য ইউনিয়ন সভাপতি মো. আবু হানিফকে সমর্থন দেন। বিগত দিনের আন্দোলন কিংবা কর্মসূচিতে সরব ভূমিকা পালনকারী তৃণমূল এ নেতার বাবাও ছিলেন প্রতিষ্ঠাকালীন সভাপতি ও তিনবারের নির্বাচিত চেয়ারম্যান। এর আগের নির্বাচনে তিনি প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ভোটও পান। কিন্তু এবার তাকে মনোনয়ন না দেয়ার জন্য জেলা কমিটি হানিফকে ডেকে ভয়ভীতি দেখিয়েছেন বলে জেলা বিএনপির এক নেতা জানান। তিনি আরো বলেন, এই উপজেলা বিএনপির সভাপতি কেএম আনোয়ারুল ইসলামের পছন্দ অনুযায়ী সোহেল হোসেন নামের একজন প্রবাসীকে শুক্রবার রাতে দলের পক্ষ থেকে মনোনয়ন দেয়া হয়েছে।

এর আগেও ২০১১ সালের নির্বাচনে তিনি মো. ইয়াহিয়া নামের একজনকে মনোনয়ন দিয়েছিলেন। যিনি সর্বনিম্ন ভোট পেয়েছিলেন। সেখানেও ১০ লাখ টাকার লেনদেন নিয়ে এলাকায় গুঞ্জন ছিল। এখন সেই ইয়াহিয়া আওয়ামী লীগে যোগদান করে নৌকা প্রতীকে ভোটযুদ্ধে অবতীর্ণ হয়েছেন।
মাদারীপুর জেলার শিবচর উপজেলা বিএনপির নেতা জামাল কামাল নুরুদ্দিন মোল্লা আলাদাভাবে চেয়ারম্যানের তালিকা কেন্দ্রে পাঠান। চূড়ান্ত তালিকা করার আগে এই এলাকার প্রভাবসালী দুই গ্রুপের দু’জনকে নিয়ে দায়িত্বপ্রাপ্ত নেতা মো. শাহজাহান কয়েক দফা বৈঠক করেন।

শিবচরের ১৬ ইউনিয়নের মধ্যে প্রথমে দুই গ্রুপকে সমানভাবে দেয়ার প্রস্তাব করা হয়। কিন্তু নুরুদ্দিন মোল্লা তা মানেননি। কেন্দ্রের মনিটরিং টিমের কয়েক সদস্যকে ম্যানেজ করে ১০টি ইউপিতে তার সমর্থকদের মনোনয়ন নিশ্চিত করেন। নুরুদ্দিন মোল্লাকে ১০টি ও মিঠু চৌধুরীকে ৬টি চেয়ারম্যান পদ দেয়া হয়। তাদের প্রত্যেককে প্রত্যয়নপত্রও দেয়া হয়। ১০টি চেয়ারম্যান মনোনয়ন পাওয়ার পরও থেমে থাকেননি নুরুদ্দিন মোল্লা। বিপুল পরিমাণ অর্থের বিনিময়ে কেন্দ্রের দায়িত্বপ্রাপ্ত নেতাদের ম্যানেজ করেন তিনি। মিঠু চৌধুরী গ্রুপের পাওয়া ছয়টি চেয়ারম্যান পদ থেকে দুটি নুরুদ্দিন মোল্লার সমর্থকদের দেয়া হবে বলে ওই দুই নেতা নিশ্চিত করেন। ওই দুই নেতা যোগসাজশ করে আলাদাভাবে তাদের প্রত্যয়নপত্রে দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের স্বাক্ষর করিয়ে নেন।
শিবচরের বাঁশকান্দি ইউপিতে মো. শাহিন মিয়া ও কাঁঠালবাড়িতে আবদুস সালাম শেখকে প্রথমে প্রত্যয়নপত্র দেয়া হয়। তারা মিঠু চৌধুরীর সমর্থক। পরে ওই সিন্ডিকেটটি নুরুদ্দিন মোল্লার সমর্থক কাঁঠালবাড়িতে আলতাফ হোসেন বেপারি ও বাঁশকান্দিতে শহীদকে প্রত্যয়ন দেন। দুই ইউপিতে বিএনপির দু’জন করে মনোনয়নপত্র জমা দেন। ওই সিন্ডিকেটটি প্রত্যয়নের সঙ্গে একটি সংশোধনী চিঠিও রিটার্নিং কর্মকর্তার বরাবর দেন। কিন্তু নির্বাচনে কোনো ইউপিতেই বিএনপির প্রার্থীরা দাঁড়াতে পর্যন্ত পারেননি। খুলনার ডুমুরিয়া উপজেলার ৬ নম্বর মাগুরাগোনা ও ৭ নম্বর শোভনা ইউনিয়নেও মনোনয়ন বাণিজ্যের অভিযোগ উঠেছে। তৃণমূলের নেতারা যে প্রার্থীর নাম সুপারিশ করেছিলেন জেলা নেতারা তা পাল্টে ফেলেন।

সেখানে আর্থিক অনিয়ম হয়। উপজেলা ও ইউনিয়ন কমিটির নেতারা আবুল কালাম শামসুদ্দিনের নাম সুপারিশ করে জেলায় পাঠান। শামসুদ্দিন ওই ইউনিয়নের বর্তমান চেয়ারম্যান। তিনি খুলনার শ্রেষ্ঠ চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন। কিন্তু জেলার নেতারা তা পাল্টে নজরুল ইসলামের নাম সুপারিশ করেন।


আবার কেন্দ্রের সঙ্গে দফারফা করে মনোনয়ন নিশ্চিত করে এলাকায় গিয়ে অনেক ভুঁইফোড় আর হাইব্রিড নেতা সরকারি দলের প্রার্থীর সঙ্গে মোটা অঙ্কের লেনদেন করে লিয়াজোঁ করার ঘটনাও রয়েছে। এ রকমভাবেই  মুন্সীগঞ্জ জেলার শ্রীনগরে ইউপি নির্বাচনে বিএনপি মনোনীত প্রার্থীর বিরুদ্ধে ৬০ লাখ টাকায় আওয়ামী লীগ প্রার্থীর সঙ্গে লিয়াজোঁ করার অভিযোগ ওঠে। ওই ইউনিয়নে বিএনপি মনোনীত প্রার্থী ইতালি প্রবাসী মো. জুলহাস উদ্দিন নির্বাচনী প্রার্থিতা প্রত্যাহারের সুযোগে তার মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার করেন। ফলে ওই ইউনিয়নে আর কোনো প্রার্থী না থাকায় আওয়ামী লীগ প্রার্থী আজিজুল ইসলাম চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন।

ষোলঘর ইউনিয়ন বিএনপির একাধিক নেতা জানান, জুলহাস উদ্দিন মূলত ইতালি প্রবাসী। তিনি ইউনিয়ন বিএনপির সদস্য মাত্র। ৫-৬ বছর পর পর দেশে আসায় তার পরিচিতিও কম। তারপরও টাকার জোরে তিনি বিএনপির মনোনয়ন নিশ্চিত করেছিলেন। ময়মনসিংহের ফুলপুর উপজেলার ১০টি ইউনিয়ন পরিষদেই দলীয় সাবেক এমপি ও স্থানীয় উপজেলা বিএনপির সভাপতি শাহ শহীদ সারোয়ারের বিরুদ্ধে মনোনয়ন বাণিজ্যের অভিযোগ তুলেছেন দলটির তৃণমূল নেতাকর্মীরা।

এ নির্বাচনে পাঁচ লাখ থেকে অর্ধকোটি টাকা পর্যন্ত এ সাবেক এমপি মনোনয়ন বাণিজ্য করেছেন বলে অভিযোগ তাদের। এ ঘটনার প্রতিবাদে একটি ইউনিয়নে দলটির নেতাকর্মীরা গণপদত্যাগ করেছেন। জানা যায়, ৫নং ফুলপুর ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে বিএনপির মনোনয়ন পেয়েছেন মাদিউর রহমান মাহাদি। অথচ স্থানীয় ইউনিয়ন বিএনপি মনোনীত করেছিল তিনবারের সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান মোস্তাফিজুর রহমান খোকাকে। মনোনয়ন বঞ্চিত মোস্তাফিজুর রহমান খোকা বলেন, জাতীয় পার্ট থেকে আসা সারোয়ার টাকা নিয়ে আওয়ামী লীগ নেত্রীর ছেলের কাছে বিএনপির মনোনয়ন বিক্রি করেছেন।

প্রায় সব ইউনিয়নেই তিনি মনোনয়ন বাণিজ্য করেছেন। ৬নং পয়ারী ইউনিয়নে বিএনপির মনোনয়ন বঞ্চিত হয়েছেন বর্তমান চেয়ারম্যান দেলোয়ার হোসেন। তার বদলে মনোনয়ন পেয়েছেন গত নির্বাচনে তৃতীয় হওয়া মফিদুল ইসলাম। এখানে মোটা অংকের লেনদেন হয়েছে অভিযোগ দেলোয়ারের।
এ বিষয়ে ময়মনসিংহ উত্তর জেলা বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক ও তারাকান্দা উপজেলা চেয়ারম্যান সাবেক ছাত্রনেতা মোতাহার হোসেন তালুকদার বলেন, ১০টি ইউনিয়নেই টাকা নিয়ে দলীয় মনোনয়ন দিয়েছেন সারোয়ার। আর এ কারণে দলের যোগ্য, নিবেদিতপ্রাণ নেতাকর্মীরা বঞ্চিত হয়েছেন।


বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবীর রিজভী আহমেদ সার্বিক নির্বাচনী পরিবেশ তুলে ধরে বলেছেন, যাচাই-বাছাই করেই যোগ্য প্রার্থীদের দলের মনোনয়ন দেয়া হচ্ছে। প্রার্থী মনোনয়নে তৃণমূলের মতামত ও সংশ্লিষ্ট এলাকার নেতাদেরও মতামত নেয়া হচ্ছে। আর্থিক অনিয়মের কথা তিনি অস্বীকার করেছেন।-মানবকন্ঠ

৯ মে, ২০১৬/এমটিনিউজ২৪/সবুজ/এসএ

Follow করুন এমটিনিউজ২৪ গুগল নিউজ, টুইটার , ফেসবুক এবং সাবস্ক্রাইব করুন এমটিনিউজ২৪ ইউটিউব চ্যানেলে