আলী আজম : বাংলাদেশের স্বাধীনতাবিরোধী ও জামায়াতের আমির মাওলানা মতিউর রহমান নিজামীর জীবনের শেষ দিন ছিল গতকাল। সর্বোচ্চ আদালতে তার মৃত্যুদণ্ডের আদেশের বিরুদ্ধে করা রিভিউ পিটিশন খারিজ হওয়ার পর থেকে অনেকটা অস্থির সময় কাটান এক সময়ের প্রভাবশালী এই মন্ত্রী।
কারাগারের একটি সূত্র জানায়, গতকাল খুব ভোরে তিনি ঘুম থেকে ওঠেন। ফজরের নামাজ আদায় করেন। পরে কোরআন তেলাওয়াত ও তসবিহ পাঠ করেন। এরপরই তাকে সকালের নাস্তা দেওয়া হয়। নাস্তা ছিল দুটি রুটি ও এক বাটি ভাজি। তবে ডিম, চা লাগবে কিনা, এমন প্রশ্ন করলে তিনি ‘না’ বলেন। তবে নাস্তা শেষে তিনি পরিবারের সঙ্গে শেষ সাক্ষাতের আগ্রহ প্রকাশ করেন।
কারা কর্তৃপক্ষ সূত্র এ তথ্য দিয়ে আরও বলেছেন, গতকাল তিনি ছিলেন অন্য দিনের চেয়ে একটু বেশি অস্থির ও বিচলিত। দিনের বেশির ভাগ সময় কাটান পায়চারি করে। আগে কখনো এমন দেখা যায়নি। দুপুরে তিনি খাবার খেয়ে আবার কোরআন তেলাওয়াত ও তসবিহ পাঠ শুরু করেন। দুপুরের পর তিনি বিশ্রামে যান। কিছু সময় তিনি ঘুমিয়ে কাটান।
বিকালে আসরের নামাজ আদায়ের পর তাকে হাল্কা নাস্তা করতে দেওয়া হয়। নাস্তা শেষে তিনি আবারও ইবাদত-বন্দেগী শুরু করেন। সন্ধ্যায় মাগরিবের নামাজ আদায় করে ইবাদত-বন্দেগী শুরু করেন। রাতের খাবারের আগে তিনি এশার নামাজ আদায় করেন। পরে রাতের খাবার দেওয়া হয়। তার খাবারের মেন্যুতে ছিল ভাত, ডাল ও মাছ।
তিনি রাতের খাবার শেষ করে পরিবারের সঙ্গে দেখা করেন। পরিবারের পক্ষ থেকে তার প্রিয় কিছু খাবার সঙ্গে করে নিয়ে যাওয়া হয়। তিনি সে খাবারও খেয়েছেন। এ সময় পরিবারের সদস্যরা কান্নায় ভেঙে পড়েন। ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারের সিনিয়র জেল সুপার জাহাঙ্গীর কবির বলেন, একজন আসামি জেলে থাকাকালীন যেসব সুযোগ-সুবিধা পাওয়ার কথা, তার সব কিছুই নিজামীকে দেওয়া হয়েছে। - বিডি প্রতিদিন
১১ মে ২০১৬/এমটি নিউজ২৪/এসবি/এসএস