শনিবার, ১৪ মে, ২০১৬, ০৩:২৫:৩৫

বাংলাদেশের সোশ্যাল মিডিয়ায় এরদোগান ঝড়

বাংলাদেশের সোশ্যাল মিডিয়ায় এরদোগান ঝড়

নিউজ ডেস্ক : জামায়াতে ইসলামীর আমির মাওলানা মতিউর রহমান নিজামীর ফাঁসি কার্যকর করার পর তুরস্ক বাংলাদেশ থেকে তাদের রাষ্ট্রদূতকে ফেরত নিয়েছে। তুর্কি প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়্যেব এরদোগানও নিজামীর ফাঁসি কার্যকরের কড়া সমালোচনা করেছেন।

এ নিয়ে বাংলাদেশে সামাজিক গণমাধ্যমে বইছে আলোচনার ঝড়। অনেকে তুরস্ক সরকারের পক্ষে জোরালো সমর্থন জানালেও কেউ কেউ আবার নিন্দায় সরব হয়েছেন।

মাওলানা নিজামীর ফাঁসি কার্যকর করার পরদিন আঙ্কারায় এক রাজনৈতিক কনফারেন্সে চরম দুঃখ প্রকাশ করে তুরস্কের প্রেসিডেন্ট এরদোগান বলেন, ‘এটা মনযোগ আকর্ষণ না করে পারে না যে এমন একটি দেশে একজন ইসলামি নেতাকে ফাঁসি দেয়া হয়েছে যে দেশটি মূলত মুসলিম অধ্যুষিত এবং (সেখানে) মুসলিমরাই নিপীড়িত।’

তিনি বলেন, ‘আমরা নিপীড়িতের কণ্ঠস্বর হতে চাই। ’

এরদোগান নিজামীর জন্য আল্লাহর কাছে দোয়া ও রহমত কামনা করেন এবং বিশ্বের সকল মুসলমানদেরকে ধৈর্য্য ধরার আহবান জানান। বক্তব্যের শেষ প্রান্তে এরদোগান নিজামীর মৃত্যু পূর্ব ওসিয়ত পড়ে শোনান এবং বাংলাদেশে নিযুক্ত টার্কিশ দূতকে প্রত্যাবর্তনের নির্দেশ দিয়েছেন বলে অবহিত করেন।

এর আগে গত শুক্রবার এক অনুষ্ঠানে এরদোগান বলেছিলেন, ‘মাওলানা নিজামী কোনো অন্যায় করতে পারেন বলে তিনি বিশ্বাস করেন না’।

তুরস্কের প্রেসিডেন্টের এ ভূমিকার কারণে বাংলাদেশের গণমাধ্যম ও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমগুলোতে প্রেসিডেন্ট এরদোগান এখন সবচেয়ে আলোচিত নাম।

মুসলিম বিশ্বের প্রধান সংগঠন ওআইসির সভাপতি ও তুরস্কের মত প্রভাবশালী একটি দেশের প্রেসিডেন্ট হওয়ায় এরদোগানের বক্তব্য আন্তর্জাতিক অঙ্গনে বেশ গুরুত্ব সহকারে স্থান পেয়েছে। রয়টার্স, বিবিসি, এপি, এএফপির মতো মিডিয়া গুরুত্ব সহকারে রাষ্ট্রদূত প্রত্যাহারের খবরটি প্রকাশ করেছে। তবে পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলম দাবি করেছেন, তুরস্কের রাষ্ট্রদূত প্রত্যাহারের খবর সঠিক নয়।

ফেসবুক, টুইটারের মতো সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে এরদোগানকে ধন্যবাদ জানিয়ে লাখ লাখ পোস্ট ও টুইট করেছে বাংলাদেশিরা।

ফেসবুক এখন এরদোগানময়। তুরস্ক ও এরদোগানের ভূমিকার কারণে তাকে অভিনন্দন জানিয়ে ফেসবুকে প্রতিনিয়ত হাজার হাজার পোস্ট দিচ্ছেন বাংলাদেশিরা। আর টুইটারে চালু হয়েছে #weloveErdogan হ্যাশট্যাগ।

রেজাউল করিম নামক একজন ফেসবুকে পোস্ট দিয়েছেন, ‘এরদোগান ইসলামের নতুন খালিদ বিন ওয়ালিদ। ধন্যবাদ প্রেসিডেন্ট’।

খায়রুল কবির নামক একটি আইডির পোস্ট, ‘প্রেসিডেন্ট এরদোগান আপনাকে হাজার সালাম। আপনি প্রকৃত বীর। মজলুমের কণ্ঠস্বর’।

মাহবুব আলম নামক একটি আইডির পোস্ট, ‘আল্লাহ তুমি এরদোগানের হায়াত বাড়িয়ে দাও। জালিমের হাত থেকে ইসলামকে রক্ষা কর’।

অন্যদিকে টুইটারেও সমানভাবে চলছে এরদোগান বন্দনা। গত দুই দিন বাংলাদেশ ও আশেপাশের অঞ্চলে টুইটারের প্রধান ট্রেন্ডিং ছিল #WeloveErdogan ও #WeareNizami ।

এসব পোস্ট ও টুইটে বাংলাদেশি জনগণের বক্তব্য, ‘এরদোগান তাদের মনের মাঝে জমিয়ে রাখা আবেগগুলো আন্তর্জাতিকভাবে প্রকাশ করেছেন’।

তবে এরদোগানের বিপক্ষেও কিছু পোস্ট দেখা গিয়েছে ফেসবুকে। তারা তুরস্কের রাষ্ট্রদূত প্রত্যাহারের ঘটনাকে বাড়াবাড়ি বলছেন এবং এরদোগানকে ‘ফ্যাসিস্ট’ বলে অভিহিত করেছেন।

ফেসবুকে ডিসগাস্টিং বয় নামের একটি আইডি থেকে পোস্ট দেয়া হয়েছে, ‘এরদোগানের লম্বা নাক এখন বাংলাদেশের ভূখণ্ডে এসে ঠেকেছে। তুরস্কের সাথে আমাদের কূটনৈতিক সম্পর্ক রাখার কি কোনো প্রয়োজন আছে?’ -ইন্টারনেট
১৪ মে, ২০১৬/এমটিনিউজ২৪.কম/সৈকত/এমএম

Follow করুন এমটিনিউজ২৪ গুগল নিউজ, টুইটার , ফেসবুক এবং সাবস্ক্রাইব করুন এমটিনিউজ২৪ ইউটিউব চ্যানেলে