রবিবার, ১৫ মে, ২০১৬, ০৪:০০:৩৬

তনু হত্যার তদন্ত নিয়ে যে আশঙ্কার কথা জানালেন ড. মিজানুর

তনু হত্যার তদন্ত নিয়ে যে আশঙ্কার কথা জানালেন ড. মিজানুর

নিউজ ডেস্ক : কুমিল্লায় কলেজ ছাত্রী ও নাট্যকর্মী সোহাগী জাহান তনু হত্যার তদন্ত নিয়ে জনমনে সন্দেহ দেখা দিয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের চেয়ারম্যান ড. মিজানুর রহমান।

রবিবার সকালে রাজধানীর একটি হোটেলে এক আন্তর্জাতিক সম্মেলনের উদ্বোধনী অনুষ্ঠান শেষে সাংবাদিকদের তিনি এ কথা বলেন। ‘বাংলাদেশে মানবাধিকার ও ফৌজদারি ন্যায়বিচার প্রশাসন’ শীর্ষক এই সেমিনারের আয়োজন করে জাতীয় মানবাধিকার কমিশন।

ড. মিজানুর রহমান বলেন, তনু হত্যার তদন্তপ্রক্রিয়া ভিন্ন খাতে প্রবাহিত হবে কি না, সেটা নিয়েও সন্দেহ তৈরি হয়েছে। শুধু তনু নয়, যে কোনো হত্যাকাণ্ডের বিষয়ে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী প্রতিমুহূর্তে বলে যাচ্ছে, ‘আমরা অতি কাছে চলে এসেছি। প্রমাণ হাতে পেয়েছি।’ এ ধরনের আশ্বাসবাণী বারবার দেওয়া হয়। কিন্তু এসব কথার বাস্তবায়ন হচ্ছে খুব কম। কথা ও কাজের সঙ্গে মিল হচ্ছে না অনেক ক্ষেত্রেই।

তিনি আরো বলেন, কেউ যদি থানায় সাধারণ ডায়েরি করতে যান, সেটি নেওয়া হয় না। সাধারণ মানুষ তাহলে যাবে কোথায়?

গত ২০ মার্চ কুমিল্লা সেনানিবাস এলাকা থেকে তনুর মৃতদেহ পাওয়ার পর সারাদেশে ব্যাপক আলোড়ন তৈরি হয়। ভিক্টোরিয়া কলেজের অর্নাসের ছাত্রী তনু কুমিল্লা ময়নামতি সেনানিবাসের ভেতরে অলিপুর এলাকায় সপরিবারে থাকতেন। তার বাবা ইয়ার হোসেন ক্যান্টনমেন্ট বোর্ডের চতুর্থ শ্রেণির কর্মচারী। তনু হত্যায় সেনাবাহিনীর দুই সদস্য জড়িত বলে দাবি করেছে তার পরিবার।

সম্মেলনে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ভারতের আইন কমিশনের সাবেক সদস্য পদ্মশ্রী এন আর মাধব মেনন। তিনি বলেন, পুলিশের গ্রেপ্তারের ক্ষমতা যদি কমানো যায়, তবে মানবাধিকার লঙ্ঘনের ঘটনা অর্ধেকে নেমে আসবে। দেখা গেছে, ভারতে পুলিশের গ্রেপ্তারি ক্ষমতা কমালে ৬২ শতাংশ গ্রেপ্তার এড়ানো যেত।

কাঠমান্ডু স্কুল অব ল’র অধ্যাপক যুবরাজ স্যাংরোলা বলেন, পুলিশের সঙ্গে সরকারি প্রসিকিউশনের যদি সমন্বয় না থাকে, তবে সুষ্ঠু বিচার হওয়া খুবই কঠিন।
১৫ মে, ২০১৬/এমটিনিউজ২৪.কম/সৈকত/এমএম

Follow করুন এমটিনিউজ২৪ গুগল নিউজ, টুইটার , ফেসবুক এবং সাবস্ক্রাইব করুন এমটিনিউজ২৪ ইউটিউব চ্যানেলে