বুধবার, ১৮ মে, ২০১৬, ০৩:৩৭:৪২

এবার মীর কাসেম আলীর পালা

 এবার মীর কাসেম আলীর পালা

ঢাকা : এবার জামায়াত নেতা মীর কাসেম আলীর পালা।  মানবতাবিরোধী অপরাধের দায়ে জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় নেতা মীর কাসেম আলীর পূর্ণাঙ্গ রায় আজ বা আগামীকাল প্রকাশ পেতে পারে।

মৃত্যুদণ্ড বহাল রেখে আপিল বিভাগের রায় লেখার কাজ প্রায় শেষ পর্যায়ে বলে জানা গেছে।

এর আগে গত ৮ মার্চ মীর কাসেম আলীকে ফাঁসিতে ঝুলিয়ে মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করার নির্দেশ দেন আপিল বিভাগ।  আপিল বিভাগের পাঁচ সদস্যের একটি নির্দিষ্ট বেঞ্চের পক্ষে এ মামলার রায় ঘোষণা করেছিলেন প্রধান বিচারপতি সুরেন্দ্র কুমার সিনহা।

রায়ে মীর কাসেমের আপিল আংশিক মঞ্জুর করেছেন আদালত।

জামায়াতে ইসলামীর আর্থিক খাতের কোষাধ্যক্ষ মীর কাসেম আলী ১৯৭১ সালে ছিলেন স্বাধীনতাবিরোধী ঘাতক সংগঠন আলবদর বাহিনীর চট্টগ্রাম অঞ্চলের প্রধান।  

পরে ইসলামী ছাত্রশিবিরের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতির দায়িত্ব পালন করেন তিনি।  আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের দেয়া মৃত্যুদণ্ড বহাল রাখেন আপিল বিভাগ।

মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগে ২০১২ সালের ১৭ জুন মীর কাসেম আলীকে গ্রেফতার করা হয়। পরে ট্রাইব্যুনালের নির্দেশে কারাগারে পাঠানো হয় তাকে।

২০১৩ সালের ১৬ মে ট্রাইব্যুনালে আনুষ্ঠানিক অভিযোগ দাখিল করে প্রসিকিউশন।  অভিযোগ গঠনের মধ্যদিয়ে বিচার শুরু হয় ওই বছরের ৫ সেপ্টেম্বর।  

৩০ সেপ্টেম্বর ট্রাইব্যুনাল-১ থেকে মামলাটি স্থানান্তর করা হয় ট্রাইব্যুনাল-২-এ।  ২০১৪ সালের ২৭ এপ্রিল যুক্তিতর্ক শুরু করে প্রসিকিউশন।

মামলাটি ট্রাইব্যুনালে রায়ের অপেক্ষায় রাখা হয় ওই বছরের ৪ মে।  ২০১৪ সালের ২ নভেম্বর তাকে মৃত্যুদণ্ড দেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল।  

রায়ের বিরুদ্ধে ৩০ নভেম্বর আপিল করেন তিনি।  গত ৯ ফেব্রুয়ারি আপিলের শুনানি শুরু হয়।  শুনানি শেষ হয় ২৪ ফেব্রুয়ারি।  মামলাটি তদন্ত করেন তদন্ত কর্মকর্তা এএসপি নুরুল ইসলাম।

১৯৫২ সালের ৩১ ডিসেম্বর মানিকগঞ্জের হরিরামপুর উপজেলার চালা গ্রামে মীর কাসেম আলীর জন্ম। তার ডাকনাম পিয়ারু ওরফে মিন্টু।  

বাবার চাকরির সুবাদে তিনি চট্টগ্রামেই থাকতেন। সেখানে জড়িয়ে পড়েন ইসলামী ছাত্রসংঘের রাজনীতিতে।  ১৯৭১ সালের ৭ নভেম্বর পূর্ব পাকিস্তান ইসলামী ছাত্রসংঘের সাধারণ সম্পাদক হন তিনি।

১৯৭৭ সালে নাম বদল করে তার নেতৃত্বে ইসলামী ছাত্রশিবির হিসেবে আত্মপ্রকাশ পায়।  তিনি হন প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি।  পরবর্তীতে তিনি জামায়াতে ইসলামীতে যোগ দেন।  স্বাধীনতার পর জামায়াতে ইসলামীকে আর্থিকভাবে শক্তিশালী করতে কাজ করেন তিনি।  
১৮ মে, ২০১৬/এমটিনিউজ২৪/এমআর/এসএম

Follow করুন এমটিনিউজ২৪ গুগল নিউজ, টুইটার , ফেসবুক এবং সাবস্ক্রাইব করুন এমটিনিউজ২৪ ইউটিউব চ্যানেলে