নিউজ ডেস্ক: নির্দলীয় নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে নির্বাচনের দাবি এখন কবরে চলে গেছে। এ নিয়ে কেউ কোনো কথাই বলছেন না। বিএনপির উচিত এ দাবি পুনরুজ্জীবিত করা। শিগগিরই দলের পূর্ণাঙ্গ নির্বাহী কমিটি ঘোষণা করাও জরুরি বলে মনে করেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য অধ্যাপক এমাজউদ্দীন আহমদ। তিনি আরও বলেন, দলের নেতা-কর্মীদের মধ্যে সব ভুল বোঝাবুঝি দূর করে সাংগঠনিকভাবে ঐক্যবদ্ধ হতে হবে। এরপরই সবার অংশগ্রহণে নির্বাচনের দাবি আদায়ে সরকারের সঙ্গে সংলাপে বসতে হবে। সরকার বসতে না চাইলে বিএনপিকে আবারও শান্তিপূর্ণ কর্মসূচিতে যাওয়া উচিত বলে আমি মনে করি।
গতকাল আলাপচারিতায় এসব কথা বলেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রবীণ এই শিক্ষক। বিশিষ্ট এই রাষ্ট্রবিজ্ঞানী বলেন, এপ্রিলের মধ্যেই বিএনপির কমিটি দেওয়া উচিত ছিল। কমিটি নিয়ে বিলম্ব হলে নানা সংকটের সৃষ্টি হয়। আশা করছি, শিগগিরই কমিটি দেবে বিএনপি। এরপর নেতা-কর্মীদের মধ্যে সব সন্দেহ অবিশ্বাস দূর করে সবাইকে ঐক্যবদ্ধ হতে হবে। বিএনপির এক নেতার সঙ্গে ইসরায়েলের গোয়েন্দা সংস্থা মোসাদের যোগাযোগ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, এটা খুবই হাস্যকর ঘটনা বলে মনে হয়। বিবিসি বাংলায় এ নিয়ে বিশেষ প্রতিবেদন প্রকাশ হয়েছে। বাংলাদেশের গণমাধ্যমগুলোর এ নিয়ে আরও সঠিক তথ্য দেওয়া উচিত ছিল। গণমাধ্যমের উচিত হবে, বিএনপিকে নিয়ে এখন আর বেশি ঘাঁটাঘাঁটি না করে সরকারের দুর্নীতি ও দুঃশাসনের বিরুদ্ধে প্রতিবেদন করা।
আমার মনে হয়, গণমাধ্যম তা করতে পারছে না। অবশ্য এক্ষেত্রে তাদের নানা সীমাবদ্ধতাও রয়েছে। তিনি বলেন, দেশে প্রতিদিনই নতুন নতুন ঘটনা ঘটছে। গণতান্ত্রিক কোনো সরকার থাকলে দেশে এসব ঘটনা ঘটতে পারে না। দেশে এখন সুষ্ঠু রাজনৈতিক চর্চা নেই। সেই পরিবেশও নেই। বাংলাদেশ ব্যাংকের রিজার্ভ চুরি হয়ে গেছে। এটা পৃথিবীতে বিরল ঘটনা। অন্য কোনো দেশে এর কোনো নজির নেই। বিশিষ্ট এই রাষ্ট্রবিজ্ঞানী বলেন, দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে জনগণ ভোটাধিকার প্রয়োগ করতে পারেনি। এরপর স্থানীয় সরকারের সব নির্বাচনেও নিকৃষ্ট উদাহরণ সৃষ্টি করেছে সরকার। এখন সাধারণ মানুষ ভোট নিয়ে আগ্রহ হারিয়ে ফেলেছে। আমি মনে করি, এ মুহূর্তে সবার অংশগ্রহণে একটি অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন জরুরি।-বিডি প্রতিদিন
১৯ মে, ২০১৬/এমটিনিউজ২৪/সবুজ/এসএ