শুক্রবার, ২০ মে, ২০১৬, ০৩:১৭:৪৯

সৌদিতে নির্যাতনের শিকার তরুণী লোমহর্ষক বর্ণনা, ‘গরম ইস্ত্রি আমার হাতে চেপে ধরত’

সৌদিতে নির্যাতনের শিকার তরুণী লোমহর্ষক বর্ণনা, ‘গরম ইস্ত্রি আমার হাতে চেপে ধরত’

নিউজ ডেস্ক : সোমা আক্তার। বয়স ২২ বছর। বিদেশে চাকরির প্রলোভন দেখিয়ে সৌদি আরবে পাঠানো হয়েছিল তাকে। ঢাকা জেলা পুলিশ সুপার ও এডিশনাল ডিআইজি হাবিবুর রহমানের প্রচেষ্টায় প্রায় ৩ মাস পর তাকে সোমবার রাতে দেশে ফিরিয়ে আনা হয়।

সাভারের বেদে পল্লীতে অমরপুর মহল্লার বাসিন্দা তিনি। দিনমজুর বাবা শহর আলীর অভাবের সংসার। ৪ বোনের মধ্যে তৃতীয় সোমা। বাবাকে একটু সহায়তা দিতে স্থানীয় কামাল গার্মেন্টের অপারেটরের চাকরি ছেড়ে তিনি দালালের মাধ্যমে লাখ টাকা খরচ করে সৌদি আরবে গিয়েছিলেন।

কিন্তু সেখানে যাওয়ার পর তিনি এক কঠিন পরীক্ষার মুখোমুখি হন। সৌদি শেখদের ৫ সদস্যের বিশাল বাড়িতে একা গৃহকর্মী হওয়ায় তাকে প্রচণ্ড পরিশ্রম করতে হতো প্রায় প্রতিদিনই।

রান্নাসহ সব কাজ তাকে দিয়েই করানো হতো। কোনো ভুলত্রুটি হলেই তাকে পেটানো হতো। নির্যাতনের শিকার হয়েছেন তিনি।

সোমা বলেন, ত্রুটি পেলে গরম ইস্ত্রি আমার হাতে চেপে ধরত। খাবার দেয়া হতো খুব সামান্য। ঢাকার জেলা পুলিশ সুপার হাবিবুর রহমানের নজরে বিষয়টি এলে তার সহযোগিতায় সোমবার রাতে তাকে দেশে ফিরিয়ে আনা হয়।

বৃহস্পতিবার বিকালে সোমার সঙ্গে কথা বললে তিনি জানান, ১৬ হাজার টাকা বেতনে পোশাক কারখানায় চাকরি দেয়ার কথা বলে রাজধানীর আজিজ ট্রেডিং কর্পোরেশন নামের একটি প্রতিষ্ঠানের মালিক বিল্লাল হোসেন ৭ ফেব্রুয়ারি তাকে সৌদি আরবে পাঠিয়েছিলেন। এ জন্য তার কাছ থেকে এক লাখ টাকা নেয় দালালরা।

কিন্তু সেখানে পোশাক কারখানায় না দিয়ে পাঠিয়ে দেয়া হয় এক বাসায়। দিনরাতে এক থেকে দুই ঘণ্টার বেশি ঘুমাতে দেয়া হতো না। সোমা বলেন, ওরা আমাকে এক-দুইদিন পর পর সামান্য খাবার খেতে দিত। আর গৃহকর্ত্রী প্রায়ই মারধর করতেন। -যুগান্তর
২০ মে, ২০১৬/এমটিনিউজ২৪.কম/সৈকত/এমএম

Follow করুন এমটিনিউজ২৪ গুগল নিউজ, টুইটার , ফেসবুক এবং সাবস্ক্রাইব করুন এমটিনিউজ২৪ ইউটিউব চ্যানেলে