শনিবার, ২১ মে, ২০১৬, ০৬:১০:১১

ডিগ্রী ছাড়া ডাক্তার সাহেবরা কোটি পতি!

ডিগ্রী ছাড়া ডাক্তার সাহেবরা কোটি পতি!

রেজাউল কারিম রেজা: আমরা যারা গ্রামে বাস করি তাদের অসুখ হলে যাই সেই গ্রামের তথা কথিত গ্রাম্য ওষুধের দোকানে, ডিগ্রী ছাড়া  ডাক্তারদের কাছে। তারাই তাদের কাছে ডাক্তার  নামে সু পরিচিত আর সেই ডাক্তারই রুগির একমাত্র ভরসা । আর এই সুযোগ টাই  নিচ্ছে ডিগ্রী ছাড়া  ডাক্তার সাহেবেরা। তাদের কাছে কোন  রুগী আসলেই ৫০০ টাকার নিচে বিল হয় না। সামান্য কোমরের বাথা, তার জন্য হাই পাওয়ার ব্যথা নিরামক ইনজেকশন আর সাথে দেয় এন্টিবায়োটিক, খাবারের বড়ি , ভিটামিন আর দামি অম্ল নাসক বড়ি। সব মিলিয়ে ৫০০-১০০০ টাকার বিল, যা পরিশোধ করতে গ্রামের গরীব মানুষের অনেকের হিমসিম খেতে হয়। এই রকম যে কোন সাধারন অসুখেও তারা এন্টিবায়োটিক ওষুধ দিয়ে থাকে আর বেশীর ভাগ রুগীদের একটি কমন  ইনজেকশন দিয়ে থাকে। দ্রুত রোগ নিরাময় করে তারা রাতা রাতি হিরো বনে যায় যে ওই ডাক্তার খুব ভাল চিকিৎসা করে একদিনে আমার ব্যথা ভাল করে দিয়েছে। এই ভাবে প্রতারণা করছে সহজ সরল গ্রামের মানুষের সাথে।

সাধারন মানুষের অভিযোগ গ্রাম্য এই ডাক্তাররা যে ওষুধ একবার বিক্রয় করে তা আর ফেরত/বদল করে দেয় না । বেশি বিক্রয় করার জন্যই তারা এমনটা  করে থাকে। সাধারন একটি ওষুধ এর দোকান করে কোটি টাকার সম্পত্তির মালিক হয়ে গেছে অনেকেই । প্রয়োজনের অতিরিক্ত আর ব্রান্ড হীন কম্পানির  ওষুধ  দিয়ে মানুষের দেহের কার্য ক্ষমতা নষ্ট করে দিচ্ছে যার ফলে ঐসব রুগী আরও ওষুধ নির্ভর হয়ে যায় আর আস্তে আস্তে বড় ধরনের অসুখে জরিয়ে পরেন। আর ঐ ডাক্তারদের  ওষুধ  বিক্রির মহা উৎসব চলছে। কিন্তু ব্যাকটেরিয়া সংক্রমণ প্রতিরোধের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ওষুধ এন্টিবায়োটিক। কিন্তু এ ওষুধটিই যদি সংক্রমণের ঝুঁকি বাড়িয়ে দেয় তাহলে চিন্তর কারণ । সম্প্রতি গবেষকরা এমন উদ্বেগজনক তথ্যই জানাচ্ছেন। এক প্রতিবেদনে বিষয়টি জানিয়েছে এনডিটিভি।

এন্টিবায়োটিক ব্যাকটেরিয়াজনিত সংক্রমণ প্রতিরোধে চিকিৎসকদের সবচেয়ে শক্তিশালী হাতিয়ার। কিন্তু এন্টিবায়োটিক গ্রহণের পরবর্তী সময়ে তা ব্যাকটেরিয়া সংক্রমণের ঝুঁকি বাড়িয়ে দেয়। এতে পরবর্তীকালে ঘন ঘন ওষুধটি গ্রহণের প্রয়োজনীয়তা দেখা দেয়।

সম্প্রতি এন্টিবায়োটিকের  ক্ষতিকর বিষয়টি অনুসন্ধান করা হয়েছে ইঁদুরের ওপরে গবেষণায়। এতে গবেষকরা দেখেন এন্টিবায়োটিক প্রয়োগের পর একসারি কার্যক্রম চলে, যা পেটের ভেতর ক্ষতিকর ব্যাকটেরিয়া বৃদ্ধির কারণ হয়। এ কার্যক্রমের প্রথম ধাপে অ্যান্টিবায়োটিক পেটের ‘ভালো’ ব্যাকটেরিয়ার সংখ্যা কমিয়ে দেয়। এক্ষেত্রে ফাইবার ভাংতে কার্যকর ব্যাকটেরিয়াগুলোও কমে যায় এবং বিপাক ক্রিয়ায় ব্যাঘাত ঘটে।
২১ মে ২০১৬/এমটি নিউজ২৪/প্রতিনিধি/এইচএস/কেএস

Follow করুন এমটিনিউজ২৪ গুগল নিউজ, টুইটার , ফেসবুক এবং সাবস্ক্রাইব করুন এমটিনিউজ২৪ ইউটিউব চ্যানেলে