মঙ্গলবার, ২৪ মে, ২০১৬, ০৫:০৫:১১

একাদশ শ্রেণিতে ভর্তির আরো ১০টি সুযোগ

একাদশ শ্রেণিতে ভর্তির আরো  ১০টি সুযোগ

ঢাকা : একাদশ শ্রেণিতে ভর্তির জন্য ১০টি নয়, ২০ কলেজে আবেদন করা যাবে।  এ সুযোগ করে দিয়েছে শিক্ষামন্ত্রণালয়।  ভর্তির হয়রানি রোধে এ উদ্যোগ নেয়া হয়েছে।  আগামী বৃহস্পতিবার থেকে কলেজে ভর্তি কার্যক্রম শুরু হবে।

ঢাকা শিক্ষা বোর্ডের কলেজ পরিদর্শক ড. আশফাকুস সালেহীন রোববার গণমাধ্যমকে বিষয়টি নিশ্চিত করেন।

তিনি বলেন, ২০ কলেজের মধ্যে ১০টিতে অনলাইনে আবেদন করা যাবে।  বাকি ১০টিতে এসএমএসের মাধ্যমে আবেদন করতে হবে।

প্রতি কলেজের জন্য আলাদা এসএমএসে আবেদন করতে হবে।  মোট ১০ এসএমএসে ১০ কলেজে আবেদন করতে পারবে।  

তবে অনলাইনে এক আবেদনেই পছন্দের ১০ কলেজের নাম দেয়া যাবে।  এবার সারা দেশে প্রায় ৪ হাজার কলেজে ১০ বোর্ডের ১৪ লাখ ৫২ হাজার ৬০৫ শিক্ষার্থী ভর্তি  হবে।

ঢাকা শিক্ষা বোর্ড সূত্রে জানা গেছে, সব বোর্ডের উত্তীর্ণ শিক্ষার্থী নিয়ে একটি জাতীয় মেধাতালিকা তৈরি হচ্ছে।  ঢাকার একটি কলেজে যাতে দেশের যে কোনো বোর্ডের শিক্ষার্থী আবেদন করতে পারে সেজন্য এ সুযোগ তৈরি হচ্ছে।  

একটি কলেজে যখন বিভিন্ন বোর্ডের শিক্ষার্থীরা আবেদন করবে, তখন  প্রয়োজন হবে জাতীয় মেধাতালিকার।  অন্যথায় ভর্তির ক্ষেত্রে মেধার ক্রম নির্ধারণ করা যাবে না।  এ কারণে সোমবার থেকে এ তালিকা তৈরির কাজ শুরু হয়েছে।

এবার ভর্তির জন্য দুটি তালিকা প্রকাশ করা হবে। একটি মেধাতালিকা, অপরটি অপেক্ষমাণ।  দুটি তালিকাই একসঙ্গে প্রকাশিত হবে।

একটি কলেজে ২০০০ আসন আছে।  এ কলেজে আবেদন পড়েছে ৫ হাজার।  এর মধ্যে প্রথম ২০০০ মেধাতালিকায় স্থান পাবে।  বাকি ৩০০০ অপেক্ষমাণ তালিকায় থাকবে।

একজন ছাত্র ২০ কলেজে আবেদন করলে ২০ কলেজেই তার অবস্থান একই সময়ে জানতে পারবে। এতে করে কলেজ এবং শিক্ষার্থী উভয়ের ভোগান্তি কমবে।  যদি কোনো কলেজ ভর্তিতে মেধাক্রম উপেক্ষা করে, তাহলে কলেজের এমপিও, স্বীকৃতি ও অনুমোদন বন্ধ করার মতো শাস্তি দেয়া হবে।

প্রসঙ্গত, একাদশ শেণিতে ভর্তি নীতিমালা এরই মধ্যে প্রকাশ করা হয়েছে।  নীতিমালা অনুযায়ী অনলাইনে নির্দিষ্ট ওয়েবসাইটে www.xiclassadmission.gov.bd গিয়ে আবেদন করতে হবে।

অনলাইনে ১০ প্রতিষ্ঠানের জন্য ১৫০ টাকা আর মোবাইল ফোনে এসএমএসে ১২০ টাকা ফি নেয়া হবে।  

আগামী ৯ জুন পর্যন্ত আবেদন করা যাবে।  পরে ১৮ থেকে ৩০ জুন পর্যন্ত ভর্তি হওয়া যাবে।

ঢাকা শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান অধ্যাপক মাহবুবুর রহমান বলেন, ভর্তির আবেদন প্রক্রিয়া গত বছরের মতোই আছে।  এবারের নতুনত্ব হচ্ছে, আবেদনের আগে টেলিটক মোবাইলের মাধ্যমে ভর্তি ফি জমা দিতে হবে।  পরে অনলাইনে আবেদন ফরম পূরণ বা এসএমএস করতে হবে।  টাকা জমা হলে একটি ট্রানজেকশন নম্বর দেয়া হবে।  

তিনি বলেন, ফরম পূরণে এ নম্বর লাগবে।  ভর্তির মেধা তালিকা প্রকাশের সময় ছাত্রছাত্রীর মোবাইলে একটি পিন নম্বর যাবে।  সেই পিন নম্বর নিয়ে শিক্ষার্থী ভর্তি হবে।  

মাহবুবুর রহমান বলেন, ভুয়াদের ঠেকাতে আবেদন প্রক্রিয়ায় নতুনত্ব আনায় ওয়েবসাইটেও কিছুটা পরিবর্তন আসছে।  এবার ভর্তি বদলি বা মাইগ্রেশনের ব্যবস্থা থাকবে না।
২৪ মে, ২০১৬/এমটিনিউজ২৪/এমআর/এসএম

Follow করুন এমটিনিউজ২৪ গুগল নিউজ, টুইটার , ফেসবুক এবং সাবস্ক্রাইব করুন এমটিনিউজ২৪ ইউটিউব চ্যানেলে