নিউজ ডেস্ক : জঙ্গিবাদবিরোধী আন্দোলনের সাথে শরিক থাকবে বলে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সাথে বাংলাদেশ সরকার চুক্তিবদ্ধ হয়েছে। পাশাপাশি ভারতও এ বিষয়ে যুক্তরাষ্ট্রের সাথে চুক্তিবদ্ধ হয়েছে।
বুধবার রাতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগের অধ্যাপক আবুল কাসেম ফজলুল হক এসব কথা বলেন।
ইন্ডিপেন্ডেন্ট টেলিভিশনে ‘আজকের বাংলাদেশ’ অনুষ্ঠানে আবুল কাসেম ফজলুল হক বলেন, এ চুক্তি তৎকালীন ভারত সরকার মনমোহন সিংয়ের আমলে এবং বাংলাদেশে বর্তমান সরকারের আমলে করা হয়েছে। আমি মনে করি, এ চুক্তি কোনো দেশের জন্যই শুভ নয়।
তিনি বলেন, চুক্তিটি আমেরিকা চাপ দিয়ে করিয়েছে। কারণ সুযোগ খুঁজছে আমেরিকা। যেভাবেই হোক জঙ্গি দমন করতে বাংলাদেশে মার্কিন সেনাবাহিনী এবং গোয়েন্দা বাহিনী পাঠাবে আমেরিকা।
আবুল কাসেম ফজলুল হক বলেন, যেটা বাংলাদেশ সরকার ভয় পাচ্ছে। কারণ মার্কিন বাহিনী যদি বাংলাদেশে প্রবেশ করে তাহলে বাংলাদেশে ও ভারতের জনগণের অবস্থা সিরিয়ার জনগণের মতই হবে।
তিনি বলেন, শেখ হাসিনাসহ আওয়ামী লীগের অনেক নেতাই বলছেন যে, বাংলাদেশে আইএস নেই। যেটা আমাদের মেনে নেয়া উচিত।
আবুল কাসেম ফজলুল হক বলেন, জঙ্গিবাদের সাথে অনেক কূটনৈতিক বিষয় যুক্ত আছে। তাই আমি মনে করি, বাংলাদেশের নাগরিকের উচিত হবে সরকারের কথা মেনে চলা।
তিনি বলেন, মধ্যপ্রাচ্যে তালেবান, আল কায়দাসহ যারা ধ্বংসাত্মক কর্মকাণ্ড চালাচ্ছে তারা সবাই যুক্তরাষ্ট্রের তৈরি এবং তাদের লক্ষ্য হলো ইসলাম বিরোধী কর্মকাণ্ডের অজুহাতে হত্যা করা। সমাজে আতঙ্ক সৃষ্টি করা।
সুশাসনের জন্য নাগরিক (সুজন) এর সম্পাদক ড. বদিউল আলম মজুমদার বলেন, আমাদের দেশের মৌলবাদীরা আইএসের সাথে যুক্ত হয়ে এমন কর্মকাণ্ড চালাচ্ছে। তাদের উদ্দেশ্যই হলো বাংলাদেশকে একটি উগ্রবাদী রাষ্ট্র হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করা।
এর মূল কারণ বের করে অপরাধীদের বিরুদ্ধে কার্যকরী পদক্ষেপ নেয়া বলে মনে করেন তিনি।
২৬ মে,২০১৬/এমটিনিউজ২৪/এমআর/এসএম