বৃহস্পতিবার, ০২ জুন, ২০১৬, ০২:১৫:২৫

অবশেষে বিজিএমইএ’র ১৮ তলা ভবনটি ভাঙতেই হচ্ছে

অবশেষে বিজিএমইএ’র ১৮ তলা ভবনটি ভাঙতেই হচ্ছে

নিউজ ডেস্ক : বাংলাদেশ তৈরি পোশাক প্রস্তুতকারক ও রপ্তানিকারক সমিতির (বিজিএমইএ) ১৮ তলা ভবনটি অবশেষে ভাঙতেই হচ্ছে। বিজিএমইএ হাইকোর্টের দেয়া রায়ের বিরুদ্ধে আপিল করেছিলেন। সেই আবেদন খারিজ করে দিয়েছেন সুপ্রিম কোর্ট।

প্রধান বিচারপতি এস কে সিনহার নেতৃত্বাধীন চার সদস্যের আপিল বেঞ্চ আজ বৃহস্পতিবার (২ জুন) বিজিএমইএ’র আবেদন খারিজ করে দেন। ফলে এখন আর ভবনটি ভাঙতে কোন বাধা নেই।

এই মামলায় হাইকোর্টে অ্যামিকাস কিউরি হিসেবে থাকা আইনজীবী মনজিল মোরশেদ সংবাদকর্মীদের বলেন, বিজিএমইএ লিভ টু আপিল আবেদন খারিজ হওয়ায় ভবনটি ভাঙতে এখন আর কোনো আইনগত বাধা নেই।

হাইকোর্ট ২০১১ সালে এক রায়ে জলাধার রক্ষা আইন লঙ্ঘন করে হাতিরঝিলে গড়ে তোলা বহুতল ভবনটি ভাঙার নির্দেশ দেয়। দুই বছর পর রায়ের পূর্ণাঙ্গ অনুলিপি প্রকাশের পর তার বিরুদ্ধে আপিলের আবেদন করে বিজিএমইএ কর্তৃপক্ষ। তার শুনানি নিয়ে আবেদনটি খারিজ করলেন আপিল বিভাগ। এর মধ্য দিয়ে হাইকোর্টের ওই রায় বহাল রইল।

২০১১ সালের ৩ এপ্রিল বিচারপতি এ এইচ এম শামসুদ্দিন চৌধুরীর নেতৃত্বাধীন হাইকোর্ট বেঞ্চ তার রায়ে বিজিএমইএ’র ভবন ভেঙে ফেলার নির্দেশ দেন। বিজিএমইএকে নিজস্ব অর্থায়নে ভবনটি ভাঙতে বলা হয়। ভবনটি নির্মাণের আগে ওই স্থানের ভূমি যে অবস্থায় ছিল সে অবস্থায় ফিরিয়ে আনতেও নির্দেশ দেয়া হয়।

একই বছরের ৫ এপ্রিল বিজিএমইএ’র আবেদনে সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগ হাইকোর্টের রায় ছয় মাসের জন্য স্থগিত করেন। পরবর্তী সময়ে আপিল বিভাগ স্থগিতাদেশের মেয়াদ আরো বাড়ান। এর দুই বছর পর ২০১৩ সালের ১৯ মার্চ হাইকোর্টের ৬৯ পৃষ্ঠার পূর্ণাঙ্গ রায় প্রকাশিত হয়।

হাই কোর্টের রায়ে বলা হয়, বিজিএমইএ ভবনটি হাতিরঝিল প্রকল্পে একটি ক্যান্সারের মতো। এ ধ্বংসাত্মক ভবন অচিরেই বিনষ্ট না করা হলে এটি শুধু হাতিরঝিল প্রকল্পই নয়, সমস্ত ঢাকা শহরকে সংক্রমিত করবে।

বিজিএমইএ যাদের কাছে ওই ভবনের ফ্ল্যাট বা অংশ বিক্রি করেছে, দাবি পাওয়ার এক বছরের মধ্যে তাদের টাকা ফেরত দিতেও নির্দেশ দেন আদালত। রায়ে বলা হয়, ক্রেতাদের সঙ্গে ওই চুক্তি ছিল বেআইনি। কারণ, ওই জায়গায় ভবন নির্মাণ বা কোনো অংশ কারো কাছে বিক্রির কোনো অধিকার বিজিএমইএর ছিল না।

তবে ক্রেতারা যেহেতু নিজেরাও জানত বা তাদের জানা উচিত ছিল যে, এ জমির উপর বিজিএমইএর কোনো মালিকানা নেই এবং ভবনটি বেআইনিভাবে নির্মাণ করা হয়েছে। সুতরাং তারা কোনো ইন্টারেস্ট পাওয়ার দাবিদার নয়।
২ জুন, ২০১৬/এমটিনিউজ২৪/এসপি/এমএন

Follow করুন এমটিনিউজ২৪ গুগল নিউজ, টুইটার , ফেসবুক এবং সাবস্ক্রাইব করুন এমটিনিউজ২৪ ইউটিউব চ্যানেলে