শুক্রবার, ০৩ জুন, ২০১৬, ০১:২৬:৫১

না.গঞ্জে এবার স্কুলের প্রধান শিক্ষককে জুতাপেটা

না.গঞ্জে এবার স্কুলের প্রধান শিক্ষককে জুতাপেটা

নিউজ ডেস্ক : কিছুদিন আগে এমপি সেলিম ওসমান কতৃক শিক্ষক শ্যামল কান্তি ভক্তকে কান ধরে উঠবস করানোর ঘটনার রেশ কাটতে না কাটতে এবার নারায়ণগঞ্জে আরেক স্কুলের প্রধান শিক্ষককে জুতাপেটা করার অভিযোগ উঠেছে এক ইউপির নারী সদস্যর বিরুদ্ধে।

কাউন্সিলর বিউটি আক্তার কুট্টির দুই নাতীকে সম্পূর্ণ বিনা বেতনে পড়ালেখা সুযোগ না দেওয়ার কারণে রূপগঞ্জ উপজেলার কায়েতপাড়া ইউনিয়নের চনপাড়া পুনর্বাসন কেন্দ্রের ‘আল আমীন মডেল একাডেমীর’ প্রধান শিক্ষক ফারুক আহমেদকে এই কাউন্সিলর জুতা পেটা করেন বলে খবর প্রকাশ হয়।

অভিযুক্ত বিউটি আক্তার কুট্টি কায়েতপাড়া ইউয়িনের ৭, ৮ ও ৯নং ওয়ার্ডে সংরক্ষতি নারী আসনে সম্প্রতি অনুষ্ঠিত ইউনিয়ন পরিষদের বিনা প্রতিদ্বন্ধিতায় মেম্বার নির্বাচিত হয়েছেন।

এদিকে কাউন্সিলর বিউটির শাস্তির দাবিতে শিক্ষার্থী ও শিক্ষকরা বৃহস্পতিবার (২ জুন) দুপুরে নারায়ণগঞ্জ শহরের চাষাঢ়া নারায়নগঞ্জ প্রেসক্লাবের সামনে মানববন্ধন করেছেন। এতে অংশ নেন ভুক্তভোগী প্রধান শিক্ষক ফারুক আহমেদসহ স্কুলের অন্য শিক্ষক ও শিক্ষার্থীরা।

অপরদিকে এ ঘটনা ধামাচাপ দিতে এবং এ নিয়ে সংবাদ না করার জন্য রুপগঞ্জ উপজেলা জাতীয় পার্টির সাধারণ সম্পাদক এম এ হাসান সংবাদিকদের অনুরোধ করেন। এছাড়াও অভিযুক্ত বিউটি আক্তার কুট্টিকে আত্মীয় সম্পর্কে বোন হিসাবে দাবি করেন তিনি। তাছাড়া শিক্ষক ফারুক আহমেদের সঙ্গে বিউটির বাকবিতন্ডার ঘটনা স্বীকার করলেও লাঞ্ছনার বিষয় অস্বীকার করেন তিনি। এসময় তিনি শিক্ষককে জামায়াতে ইসলামের কর্মী দাবি করেন।

ভুক্তভোগী প্রধান শিক্ষক ফারুক আহমেদের স্বাক্ষরিত অভিযোগ পত্রে জানা যায়, ‘গত ২৯ মে সকাল সাড়ে ১০টায় কায়েতপাড়া ইউপি সদস্য ৭, ৮ ও ৯ নং ওয়ার্ডের মহিলা মেম্বার বিউটি আক্তার কুট্টি তাহার দুই নাতনীকে সম্পূর্ণ বিনা বেতনে পড়ালেখার জন্য প্রধান শিক্ষককে চাপ প্রয়োগ করে। যার প্রেক্ষিতে প্রধান শিক্ষক বিদ্যালয়ের সভাপতির অনুরোধে বিদ্যালয়ের বেতন মওকুফ করিয়ে দিলেও বিউটি আক্তার কুট্টি সন্তুষ্ট না হয়ে কোচিং সহ সম্পূর্ন বিনা বেতনে পড়াতে চাপ প্রয়োগ করে। তার প্রেক্ষিতে প্রধান শিক্ষক ৫ম শ্রেনীর কোচিং ফি মওকুফ না করলে তাঁকে গালাগাল ও জুতাপেটা করে। তারপর স্কুলের দুই সহকারী শিক্ষিকা তাকে জোর করে রুমের বাহিরে নিয়ে যায়। খবর পেয়ে তার (বিউটির) বড় ভাই, মেয়ে জামাই ও তার বাহিনী সহ ২০ থেকে ২৫ জন লোক এসে রুমের আসবাব পত্র ও বই পত্র ফেলে দেয় এবং প্রধান শিক্ষককে দেখে নেওয়ার হুমকি দিয়ে চলে যায়।’
 
এদিকে অভিযুক্ত বিউটি আক্তার কুট্টি জুতাপেটার অভিযোগ সম্পূর্ণ মিথ্যা দাবি করে বলেন, ‘ওই শিক্ষক একজন জামায়াতে ইসলামের কর্মী। তিনি অবৈধভাবে স্কুলে নিয়োগ পাওয়ার পর থেকে ১২০ টাকার স্কুলের বেতন ১৬০ টাকা করেছেন এবং ৫ম শ্রেণীর ২৫০ টাকার বেতন ৫০০ টাকা করেছেন। এনিয়ে স্থানীয় কয়েকজন অভিভাবক অভিযোগ করলে তার প্রেক্ষিতে স্কুলের প্রধান শিক্ষককে অনুরোধ করি।
৩ জুন, ২০১৬/এমটিনিউজ২৪/এসপি/এমএন

Follow করুন এমটিনিউজ২৪ গুগল নিউজ, টুইটার , ফেসবুক এবং সাবস্ক্রাইব করুন এমটিনিউজ২৪ ইউটিউব চ্যানেলে