রবিবার, ০৫ জুন, ২০১৬, ০৬:২৬:৩৯

এসপি বাবুলের সাথে মিতুর বিয়ে হয় যেভাবে

এসপি বাবুলের সাথে মিতুর বিয়ে হয় যেভাবে

নিউজ ডেস্ক : প্রায় ১৫ বছর আগের কথা।  একই জেলায় পুলিশে চাকরি করতেন এসআই আব্দুল ওয়াদুদ ও ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মোশাররফ হোসেন।  সেই সুবাদেই সহকর্মী ওয়াদুদের ছেলে বাবুল আক্তারের সঙ্গে পরিচয় ওসি মোশাররফ হোসেনের।

বাবুলের আচার-আচরণে মুগ্ধ হয়েছিলেন মোশাররফ।  সিদ্ধান্ত নেন বড় মেয়ে মাহমুদা আক্তার মিতুকে তার সাথে বিয়ে দেবেন।  এ কথা শুনে খুশি হন ওয়াদুদও।  এরপর মেয়েকে বিয়ে দেন ওসি। বিয়ের পর বিসিএস দিয়ে পুলিশে যোগদান করেন বাবুল আক্তার।

সূত্রে জানা গেছে, সদ্য পদোন্নতি পাওয়া চট্টগ্রামের এসপি বাবুল আক্তারের সঙ্গে ২০০২ সালে তৎকালীন ঝালকাঠির ওসি মোশাররফ হোসেনের মেয়ে মাহমুদা আক্তার মিতুর বিয়ে হয়।  বর্তমানে ওসি মোশাররফ হোসেন অবসরে।

পটুয়াখালীর বাউফলের কাশিপাড়ায় গ্রামের বাড়ি হলেও অবসরকালে ঢাকার খিলগাঁও মেরাদিয়া ভূঁইয়াপাড়ায় বাড়ি করেন মোশাররফ।  সেখানেই মেয়ে মিতু ও জামাই বাবুলের যাতায়াত ছিল বেশি।

দু'সন্তান ছেলে তাপু ও মেয়ে মাহিকে নিয়ে সুখেই কাটছিল মিতু-বাবুলের সংসার।  কিন্তু রোববার সকালে দুর্বৃত্তদের ছুরিকাঘাতে ও গুলিতে চট্টগ্রামে খুন হন মিতু।

পুলিশের ধারণা, পরিকল্পিত এসপি বাবুল আক্তারের স্ত্রী মাহমুদা খাতুন মিতুকে (৩২) হত্যা করেছে দুর্বৃত্তরা।  আগে থেকে মাহমুদা খাতুন মিতুর গতিবিধি নজরধারী করছিল সন্ত্রাসীরা।  হত্যাকাণ্ডের প্রাথমিক আলামত দেখে এ ধারণা করছে গোয়েন্দা কর্মকর্তারা।

ঘটনার পর রোববার দুপুরে রাজধানীর খিলগাঁওয়ের বাসা থেকে মোশাররফ হোসেন, তার স্ত্রী ও ছোট মেয়েকে নিয়ে চট্টগ্রামে চলে গেছেন।  বিকেল মেয়ের মরদেহ নিয়ে ঢাকায় ফেরার কথা রয়েছে তাদের।

মিতুর পারিবারিক সূত্রে জানা যায়, ওসি মোশাররফ ঝালকাঠিতে থাকতে এসআই ওয়াদুদের সঙ্গে সম্পর্ক তৈরি হয়।  সেই থেকে বাড়িতেও যাতায়াত ছিল তার। ওয়াদুদের ছেলে বাবুলকে দেখে মোশাররফের খুব পছন্দ হয়।  এরপর বড় মেয়ে মিতুর সঙ্গে বিয়ের কথা ভাবেন।  পারিবারিকভাবে বিয়ে হয় বাবুল ও মিতুর।

মিতুর মরদেহ আজ আনা হবে ঢাকায়।  এখানে নামাজে জানাজা শেষে গ্রামের বাড়িতে দাফন করা হবে।


উল্লেখ্য, রোববার সকাল ৭টার দিকে নগরীর জিইসি মোড়ে প্রকাশ্যে গুলি করে পুলিশ কর্মকর্তা বাবুল আক্তারের স্ত্রী মাহমুদা আক্তার মিতুকে হত্যা করে দুর্বৃত্তরা।

দুই ছেলেমেয়েকে নিয়ে ক্যান্টনমেন্ট স্কুলে যাওয়ার সময় এ ঘটনা ঘটে।  বাবুল আক্তারের পদোন্নতির পর ঢাকায় অবস্থান করলেও তার স্ত্রী ছেলেমেয়েকে নিয়ে নগরীর জিইসি এলাকার একটি ফ্ল্যাটে থাকতেন মিতু।
৫ জুন,২০১৬/এমটিনিউজ২৪/এমআর/এসএম

Follow করুন এমটিনিউজ২৪ গুগল নিউজ, টুইটার , ফেসবুক এবং সাবস্ক্রাইব করুন এমটিনিউজ২৪ ইউটিউব চ্যানেলে