ঢাকা : উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা জাহিদুল ইসলামকে মারধরের ঘটনার মামলায় আত্মসমর্পণ ছাড়া কোনো উপায় নেই চট্টগ্রামের বাঁশখালীর সাংসদ মোস্তাফিজুর রহমান চৌধুরীর।
আজ আগাম জামিন আবেদন খারিজ করেছেন হাইকোর্ট। একইসঙ্গে আদালত ২০ জুনের মধ্যে বিচারিক আদালতে তাকে আত্মসমর্পণ করার নির্দেশ দিয়েছেন।
রোববার বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিম ও বিচারপতি মো. আমির হোসেনের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্টের দ্বৈত বেঞ্চ এ আদেশ দেন।
আদালতে সাংসদ মোস্তাফিজুর রহমান চৌধুরীর আগাম জামিন আবেদনের পক্ষে শুনানি করেন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী আবদুল বাসেত মজুমদার।
রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল শেখ এ কে এম মনিরুজ্জামান কবির।
শেখ এ কে এম মনিরুজ্জামান কবির বলেন, মারধরের মামলায় আগাম জামিন চেয়ে আদালতে আবেদন করেন সাংসদ মোস্তাফিজুর রহমান চৌধুরী। বিকেলে ওই আবেদনের ওপর শুনানি হয়।
আদালত তার জামিন আবেদন নাকচ করেছেন। তাকে ২০ জুনের মধ্যে নিম্ন আদালতে আত্মসমর্পণের নির্দেশ দেন হাইকোর্ট।
মারধরের অভিযোগে ৩ জুন সাংসদ মোস্তাফিজুর রহমান চৌধুরীসহ তিনজনের বিরুদ্ধে মামলা করেন উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা জাহিদুল ইসলাম।
মামলার অন্য দুই আসামি হলেন সাংসদ মোস্তাফিজুর রহমান চৌধুরীর ব্যক্তিগত সচিব তাজুল ইসলাম ও উপজেলা ওলামা লীগের নেতা মাওলানা আখতার।
সরকারি কর্মকর্তাকে মারধর ও সরকারি কাজে বাধা সৃষ্টিসহ কয়েকটি অভিযোগে মামলা করা হয়।
বাঁশখালীর সাংসদ মোস্তাফিজুর রহমান চৌধুরীর বিরুদ্ধে অভিযোগ, পছন্দমতো নির্বাচন কর্মকর্তা নিয়োগ না দেয়ায় বাঁশখালী উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা জাহিদুল ইসলামকে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার (ইউএনও) কার্যালয়ে ডেকে নেন তিনি।
তখন ইউএনও তার কার্যালয়ে ছিলেন না। পরে ওই কার্যালয়ের দরজা বন্ধ করে সাংসদ উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তাকে মারধর করেন। ওইদিন বিকেলে নির্বাচন কমিশনের (ইসি) বৈঠকে সাংসদের বিরুদ্ধে মামলা করার সিদ্ধান্ত হয়।
১২ জুন,২০১৬/এমটিনিউজ২৪/এমআর/এসএম