বুধবার, ১৫ জুন, ২০১৬, ০১:০৭:৩৭

ঈদের পোশাকে ডিজিটাল প্রভাব

ঈদের পোশাকে ডিজিটাল প্রভাব

নিউজ ডেস্ক : গেল ঈদে ভারতীয় টিভি চ্যানেলের নায়িকাদের নামের পোশাকের বেশ কদর ছিল। ‌‘জল নূপুর’, ‘কিরণ মালা’, ‘পাখি’ আর ‘ঝিলিক’ থ্রিপিস ছিল তরুণীদের পছন্দের শীর্ষে। আবার ‘পাখি’ পোশাকের জন্য আত্মহত্যার ঘটনাও ঘটেছিল। সময়ের প্রেক্ষিতে পছন্দের তালিকারও বেশ পরিবর্তন ঘটেছে। বিজ্ঞানের উৎকর্ষতার এ যুগে তথ্য প্রযুক্তির বিস্তার ঘটেছে জন জীবনে। তাইতো ঈদ পোশাকে পড়েছে সেই ডিজিটাল প্রভাব।

তরুণীদের পছন্দের তালিকায় এসেছে ‘দেশি ফেসবুক’, ‘মেসেঞ্জার’ ও ‘থ্রিজি’ নামীয় থ্রিপিসের। ক্রেতাদের চাহিদা অনুযায়ী দোকানিরাও আমদানি করেছে এ পোশাক। মেহেরপুর ও গাংনী শহরের মার্কেকগুলো ঘুরে পাওয়া গেছে এমনি বিচিত্র তথ্য।  

পোশাক বিক্রেতারা জানান, এবার ঈদে তরুণীরা আর ভারতীয় টিভি চ্যানেলের নায়িকাদের পরিধেয় পোশাক চাইছেন না। তথ্য প্রযুক্তির ছাপ লেগেছে দৈনন্দিন জীবনে। ফেসবুক মেসেঞ্জারে তরুণ-তরুণীরা যেমন আকৃষ্ট হয়েছে তেমনি রুচিরও পরিবর্তন ঘটেছে। তরুণীদের পছন্দের তালিকায় এসেছে ‘ফেসবুক’ ‘ম্যাসেঞ্জার’ আর ‘থ্রিজি’ নকশার থ্রিপিসের।

প্রকারভেদে এ পোশাকগুলো পাওয়া যাচ্ছে এক হাজার টাকা থেকে ৫ হাজার টাকায়। হালকা কিংবা গাঢ় যে রঙই হোক না কেন দাম একই। তবে কাশ্মিরি, বাহুবলিও বিক্রি হচ্ছে। সবে রোজার শুরু তাই ক্রেতাদের সমাগম কম। রমজানের মাঝামাঝি বেচাবিক্রি বেড়ে যাবে বলেও জানান বিক্রেতারা।

শাড়ি বিক্রেতারা জানান, তরুণীদের অন্যান্য থ্রিপিসের সঙ্গে শেরওয়ানি ও ‘থ্রিজি’র দিকেও বেশ টান রয়েছে। সূতি এ পোশাকের দাম এক হাজার টাকা থেকে ৪ হাজার টাকা পর্যন্ত। মধ্যবিত্তদের কাছে এ পোশাকটি বেশ জনপ্রিয়। প্রতিদিন বেচাবিক্রি হচ্ছেও বেশি। লোন ও বুটিকের প্রতিও বেশ ঝোঁক রয়েছে ক্রেতাদের। দাম সাধ ও সাধ্যের মধ্যে। এক হাজার টাকা থেকে আড়াই হাজার টাকার মধ্যে পাওয়া যাচ্ছে পোশাকটি। তবে রোজার শুরু তাই বিক্রির চেয়ে ক্রেতাদের ভিড় বেশি। যারা মার্কেটে আসছেন তাদের অনেকেই শুধুমাত্র পছন্দ করে পরে আসবেন বলে ফিরে যাচ্ছেন।

শিশিরপাড়ার গৃহবধূ শারমীন বেগম ও তার দু’মেয়ে এসেছিলেন ঈদের কেনাকাটা করতে। মেয়েদের জন্য কিনেছেন ‘মেসেঞ্জার’ থ্রিপিস। একই কথা জানালেন বামন্দি নিশিপুর থেকে আসা কলেজ ছাত্রী সাহেদা আক্তার। ভিড়ে পোশাক তৈরি ও তৈরি পোশাক পাওয়া ঝামেলা। এজন্যই আগেভাগে কিনছেন। দামও নাগালের মধ্যে থাকায় বেশ খুশি হয়েছেন তিনি।

দোকানীদের সঙ্গে আলাপকালে জানা গেছে, রমজানের মাঝামাঝি ক্রেতাদের সমাগম হবে বেশি। যারা ঝামেলা এড়িয়ে কেনাকাটা করতে চান তারা এখনই কিনছেন। আবার অনেকেই ঘোরাঘুরি করে পছন্দের পোশাকটি দেখছেন আবার কেউ কেউ অর্ডার দিচ্ছেন পছন্দের পোশাকের।-বাংলামেইল
১৫ জুন, ২০১৬/এমটিনিউজ২৪/এসপি/এমএন

Follow করুন এমটিনিউজ২৪ গুগল নিউজ, টুইটার , ফেসবুক এবং সাবস্ক্রাইব করুন এমটিনিউজ২৪ ইউটিউব চ্যানেলে