বৃহস্পতিবার, ১৬ জুন, ২০১৬, ০৫:৫২:৫০

সৈয়দ আশরাফের বক্তব্যে বিব্রত প্রধানমন্ত্রী

 সৈয়দ আশরাফের বক্তব্যে বিব্রত প্রধানমন্ত্রী

ঢাকা : জাসদ ও তথ্যমন্ত্রী হাসানুল হক ইনুকে জড়িয়ে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও জনপ্রশাসনমন্ত্রী সৈয়দ আশরাফুল ইসলামের বক্তব্যে বিব্রত হয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।  

এ নিয়ে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে কথা বলেছেন একজন সিনিয়র মন্ত্রী ও দলের সভাপতিমণ্ডলীর প্রভাবশালী সদস্যসহ কয়েকজন নীতিনির্ধারক নেতা।

কয়েকজন গণমাধ্যমকে জানিয়েছেন, জাসদকে জড়িয়ে সৈয়দ আশরাফুল ইসলামের বক্তব্যে প্রধানমন্ত্রী হতাশা ব্যক্ত করেছেন।  অবশ্য এ নিয়ে সৈয়দ আশরাফুল ইসলামের সঙ্গে প্রধানমন্ত্রীর কোনো কথা হয়নি।

গত মঙ্গলবার প্রধানমন্ত্রীর সরকারি বাসভবন গণভবনে আওয়ামী লীগের পার্লামেন্টারি বোর্ডের বৈঠকের পরিবেশ ছিল অন্য রকম।  এ কথা   জানিয়েছেন বোর্ডের চারজন সদস্য।

বৈঠকে সৈয়দ আশরাফ উপস্থিত থাকলেও তার কাছে কিছুই জানতে চাননি প্রধানমন্ত্রী।  তবে বৈঠকের আগে সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছিলেন, এ মুহূর্তে এমন বক্তব্য দেয়া ঠিক হয়নি।  শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন প্রথম সরকারে জাসদ নেতা আ স ম আবদুর রব মন্ত্রী ছিলেন।  এখন মন্ত্রিসভায় আছেন হাসানুল হক ইনু।  তাই বক্তব্য দেয়ার আগে ভাবতে হবে- কে, কখন, কোথায়, কী বক্তব্য দিচ্ছেন।

জবাবে সৈয়দ আশরাফুল ইসলাম বলেন, স্বাধীনতা-পরবর্তী ছাত্রলীগের ইতিহাস নিয়ে বর্তমান নেতাদের ধারণাগত ভ্রান্তি রয়েছে বলেই তিনি জাসদ প্রসঙ্গে কথা বলেছেন।  তিনি ইতিহাসের সত্যটাই বলেছেন।

আওয়ামী লীগের কয়েক নেতা বলেছেন, প্রধানমন্ত্রী দলের নেতাদের জানিয়েছেন, ১৯৯৬ সালে ঐক্যের প্রয়োজনে জাসদ নেতা আ স ম আবদুর রব এবং জাতীয় পার্টির (জেপি) নেতা আনোয়ার হোসেন মঞ্জু আওয়ামী লীগ সরকারের মন্ত্রী ছিলেন।  

এখন জঙ্গি তৎপরতা ও গুপ্তহত্যার প্রেক্ষাপটে আরো ঐক্য জরুরি।  এ অবস্থায় ১৪ দলীয় জোটের শরিকদের নিয়ে মন্তব্য করার আগে সতর্ক থাকতে হবে।

এর আগে দলের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য শেখ ফজলুল করিম সেলিম ও যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুব-উল আলম হানিফ জাসদের সমালোচনা করেছিলেন।  তখনও প্রধানমন্ত্রী বিরক্তি প্রকাশ করেছিলেন।  

নেতারা বলেছেন, আওয়ামী লীগের নেতৃত্বাধীন ১৪ দলীয় জোটের ঐক্য আরো সুদৃঢ় করার তাগিদ থাকলেও জোটের শরিক দল এবং শীর্ষ নেতাকে জড়িয়ে বক্তব্য দেয়ায় কিছুটা হলেও বিরূপ প্রভাব পড়েছে।

এ রকম আলোচনার মধ্যেই সৈয়দ আশরাফুল ইসলাম গতকাল লন্ডন সফরে গেছেন।  ইউরোপীয় ইউনিয়নে যুক্তরাজ্যের থাকা না থাকা নিয়ে আগামী ২৩ জুন অনুষ্ঠেয় গণভোট পর্যবেক্ষণ করবেন তিনি।

আজ বৃহস্পতিবার লন্ডনে বাংলাদেশ হাইকমিশনে দক্ষিণ এশিয়া ডায়াসপোরা সম্মেলনে যোগ দেবেন তিনি।  আগামী ২৭ জুন দেশে ফেরার কথা রয়েছে তার।
১৬ জুন,২০১৬/এমটিনিউজ২৪/এমআর/এসএম

Follow করুন এমটিনিউজ২৪ গুগল নিউজ, টুইটার , ফেসবুক এবং সাবস্ক্রাইব করুন এমটিনিউজ২৪ ইউটিউব চ্যানেলে