শুক্রবার, ১৭ জুন, ২০১৬, ১১:৩১:০৪

তারেকের রায় যে কোনো দিন

তারেকের রায় যে কোনো দিন

নিউজ ডেস্ক : বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার ছেলে ও দলের সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান তারেক রহমান ও ব্যবসায়ী গিয়াসউদ্দিন আল মামুনের বিরুদ্ধে এক মামলায় যে কোন দিন রায় দেয়া হবে। হাইকোর্টে দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) দায়ের করা অর্থ পাচার মামলাটি রায়ের অপেক্ষায় রাখা হল।

নিম্ন আদালতে তারেকের খালাসের রায়ের বিরুদ্ধে হাইকোর্টে রাষ্ট্রপক্ষের আপিল ও দণ্ড থেকে খালাস চেয়ে আসামি মামুনের করা আপিলের শুনানি গতকাল শেষ হয়েছে। শুনানি শেষে যে কোনো দিন এ মামলার রায় ঘোষণা করা হবে মর্মে তা অপেক্ষমাণ (সিএভি) রাখেন বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহীম ও বিচারপতি আমির হোসেনের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ।

২০১৩ সালে ১৭ই নভেম্বর ঢাকার তৃতীয় বিশেষ জজ আদালতের বিচারক মো. মোতাহার হোসেন এ মামলার রায় ঘোষণা করেন। রায়ে তারেককে বেকসুর খালাস ও তার বন্ধু মামুনকে সাত বছরের কারাদণ্ড ও ৪০ কোটি টাকা অর্থদণ্ড দেন আদালত। তারেকের খালাসের রায়ের বিরুদ্ধে দুদক ২০১৩ সালের ৫ই ডিসেম্বর আপিলের আবেদন করে।

শুনানি শেষে ২০১৪ সালের ১৯শে জানুয়ারি দুদকের আপিল গ্রহণ করে তারেক রহমানকে আত্মসমর্পণ করতে নির্দেশ দেন হাইকোর্ট। সাজার রায়ের বিরুদ্ধে গিয়াসউদ্দিন আল মামুনের করা আপিলও শুনানির জন্য কার্যতালিকায় আসে। এরপর ৪ঠা মে আপিলের ওপর শুনানি শুরু হয়ে গতকাল তা শেষ হয়।

মামুনের পক্ষে শুনানিতে অংশ নেন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী এ জে মোহাম্মদ আলী ও ব্যারিস্টার কায়সার কামাল। দুদকের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী খুরশীদ আলম খান। রাষ্ট্রপক্ষে শুনানি করেন অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম, সঙ্গে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল শেখ এ কে এম মনিরুজ্জামান কবির ও সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল শহীদুল ইসলাম খান।

দুদকের আইনজীবী খুরশীদ আলম খান বলেন, মানি লন্ডারিংয়ের এই মামলায় নিম্ন আদালতে তারেক রহমানের খালাসের রায়ের বিরুদ্ধে আমরা হাইকোর্টে আপিল করেছিলাম। অন্যদিকে গিয়াসউদ্দিন আল মামুন তার সাজার বিরুদ্ধে আপিল করেছিলেন। ১৪ কার্যদিবসে শুনানি শেষে আদালত মামলার রায় সিএভি রেখেছেন। যে কোনদিন এ মামলার রায় ঘোষণা হতে পারে।
 
মামলার বিবরণে জানা যায়, টঙ্গীতে প্রস্তাবিত ৮০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎকেন্দ্র  স্থাপনের কাজ নির্মাণ কনস্ট্রাকশনস নামের একটি ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানকে পাইয়ে দেয়ার আশ্বাস দিয়ে ২০ কোটি ৪১ লাখ ২৫ হাজার টাকা ঘুষ নেন তারেকের বন্ধু গিয়াসউদ্দিন আল মামুন।

অভিযোগপত্রে উল্লেখ করা হয়, ২০০৩ থেকে ২০০৭ সালের মধ্যে বাংলাদেশ থেকে বিভিন্ন পন্থায় ওই টাকা সিঙ্গাপুরের সিটি ব্যাংকে মামুনের হিসেবে পাচার করা হয়। এর মধ্যে ৩ কোটি ৭৮ লাখ টাকা তারেক রহমান খরচ করেন। এ অভিযোগে ২০০৯ সালের ২৬শে অক্টোবর রাজধানীর ক্যান্টনমেন্ট থানায় মামলা করে দুদক।

অভিযোগ গঠনের পর ২০১১ সালের ৬ই জুলাই তারেক ও মামুনের বিচার শুরু হয়। তবে, প্রায় আট বছর ধরে যুক্তরাজ্যে থাকায় মামলার পুরো প্রক্রিয়াতেই অনুপস্থিত ছিলেন তারেক রহমান। গিয়াসউদ্দিন আল মামুন মামলার শুরু থেকেই কারাগারে রয়েছেন।
১৭ জুন, ২০১৬/এমটিনিউজ২৪.কম/সৈকত/এমএম

Follow করুন এমটিনিউজ২৪ গুগল নিউজ, টুইটার , ফেসবুক এবং সাবস্ক্রাইব করুন এমটিনিউজ২৪ ইউটিউব চ্যানেলে