শুক্রবার, ১৭ জুন, ২০১৬, ০৬:৪৭:৪২

বরফে রেখে ওজন বাড়িয়ে কৌশলে গরুর মাংস বিক্রি!

বরফে রেখে ওজন বাড়িয়ে কৌশলে গরুর মাংস বিক্রি!

ঢাকা : বরফ-ভর্তি কর্কশিটের বক্সে গরুর মাংস রেখে ওজন বাড়িয়ে অভিনব কৌশলে বিক্রি করছে ব্যবসায়ীরা।  নগদে জবাই করা মাংসের সাথে মিশিয়ে সেই মাংস ক্রেতাদের কাছে বিক্রি করছেন।

রাজধানীর বিভিন্ন হাট-বাজারে দেদার বিক্রি করলেও আজ হাতিরপুল কাঁচাবাজারে এমন ঘটনা ধরা পড়েছে র‍্যাবের ভ্রাম্যমাণ আদালতের অভিযানে।

দাম বেশি রাখার কারণে একই বাজারের আটজন মুরগি ও চারজন মাছ ব্যবসায়ীকে জরিমানা করা হয়েছে।  সব মিলিয়ে ১৬ জন মাংস ও মাছ ব্যবসায়ীর কাছ থেকে ১ লাখ ১৩ হাজার টাকা জরিমানা আদায় করেছেন ভ্রাম্যমাণ আদালতের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট সারওয়ার আলম।

আজ শুক্রবার সকাল সাড়ে নয়টার দিকে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের বাজার কর্মকর্তা মনিরুজ্জামানকে সঙ্গে নিয়ে হাতিরপুলের কাঁচাবাজারে এ অভিযান চালানো হয়।  প্রায় আড়াই ঘণ্টার অভিযানে জব্দ করা হয়েছে ১০০ কেজি গরুর মাংস।

ভ্রাম্যমাণ আদালতের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট সারওয়ার আলম সাংবাদিকদের বলেন, এ বাজারের তিন ব্যবসায়ী বরফ-ভর্তি কর্কশিটের বক্সের ভেতর গরুর মাংস রাখতেন।  বরফে রাখা হলে মাংস শক্ত হয় ও ওজন বাড়ে।   

তিনি বলেন, এভাবে চার-পাঁচ দিন মাংস রেখে দেয়া হতো।  সেই মাংস আবার সদ্য জবাই করা গরুর মাংসের সঙ্গে মিশিয়ে বিক্রি করতেন।  এভাবে সিটি করপোরেশনের নির্ধারিত মূল্য ৪২০ টাকায় বিক্রি করে বেশি লাভ করতেন তারা।

তবে বরফে না রাখলেও সিটি করপোরেশনের নির্ধারিত মূল্যের চেয়ে ৩০ টাকা বেশি রেখে ৬০০ টাকায় প্রতি কেজি খাসির মাংস বিক্রি করছিলেন হাতিরপুল বাজারের এক ব্যবসায়ী।

অন্যদিকে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের তালিকার চেয়ে ১২৫ টাকা বেশি মূল্যে ৫০০ টাকা প্রতি কেজি দেশি মুরগি, পাকিস্তানি কক জাতের মুরগি ২৬০ টাকার বদলে ৩০০ টাকায় বিক্রি করছিলেন বাজারের আট ব্যবসায়ী।

রুই মাছের মূল্য প্রতিকেজি ৩০০ টাকা হলেও হাতিরপুল বাজারে বিক্রি হতো ৫৫০ টাকায়।  এ জন্য এ বাজারের চার মাছ ব্যবসায়ীকে জরিমানা করা হয়েছে।
১৭ জুন, ২০১৬/এমটিনিউজ২৪/এমআর/এসএম

Follow করুন এমটিনিউজ২৪ গুগল নিউজ, টুইটার , ফেসবুক এবং সাবস্ক্রাইব করুন এমটিনিউজ২৪ ইউটিউব চ্যানেলে