শুক্রবার, ২৫ সেপ্টেম্বর, ২০১৫, ১০:০১:০৬

মিনার দুর্ঘটনায় বাংলাদেশি হাজি রয়েছেন যারা

মিনার দুর্ঘটনায় বাংলাদেশি হাজি রয়েছেন যারা

নিউজ ডেস্ক: সৌদি আরবের মিনায় পদদলিত হয়ে নিহত ও আহত দুই তালিকায় বাংলাদেশি হাজিরা রয়েছেন। তবে সৌদি সরকারের পক্ষ থেকে এখনো বাংলাদেশ দূতাবাসকে এই তালিকা হস্তান্তর করা হয়নি।

সৌদি আরবে বাংলাদেশের হজ কর্মকর্তা মো. আসাদুজ্জামান জানিয়েছেন। তিনি বলেন, নিহত ও আহতদের সংখ্যা বাড়ছে। এ জন্য সৌদি কর্তৃপক্ষ তালিকা চূড়ান্ত করেনি। তাই পূর্ণাঙ্গ তালিকা বাংলাদেশ পায়নি। তবে নিহত হাজীদের মধ্যে রয়েছেন এক বাংলাদেশি নারী ফিরোজা খানম (৬০)। 

অনলাইন ডেইলি স্টার এ খবর দিয়েছে। ওদিকে বিভিন্ন মিডিয়ায় বলা হচ্ছে, মিনার ওই ঘটনায় নিহত হয়েছেন বাংলাদেশি আরও তিন হাজী। তারা হলেন- ফেনির তাহেরা বেগম, তার ভাই নূর নবী ও সুনামগঞ্জের জুলিয়া হুদা। 

নিহত ফিরোজা খানমের বাড়ি জামালপুর সদর উপজেলার হাসচাঁন্দুয়া গ্রামে। তার ছেলে খোন্দকার মাজহারুল ইসলাম ফোন করে মিনায় বাংলাদেশ হজ ক্যাম্পকে এ বিষয়টি অবহিত করেছেন। তিনি বলেছেন, নিহত অন্য লাশের সঙ্গে তার মৃতদেহও সৌদি কর্তৃপক্ষ নিয়ে গেছে।

আসাদুজ্জামান বলেন, সৌদি কর্তৃপক্ষের তরফ থেকে এখনও আমরা নিহতের পরিচয় সম্পর্কে কিছু জানতে পারি নি। বাংলাদেশ দূতাবাসের কর্মকর্তারা নিহত বা আহতদের মধ্যে কোন বাংলাদেশী আছেন কিনা তা জানার চেষ্টা করছেন। এ জন্য বাংলাদেশী দোভাষী পাঠানো হয়েছে মিনার বিভিন্ন হাসপাতালে। সহযোগিতার জন্য পাঠানো হয়েছে বাংলাদেশী মেডিকেল টিম। ঢাকায় পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা বলেছেন, তারা এখনও সৌদি আরব কর্তৃপক্ষের তরফ থেকে নিহতদের সনাক্ত করার বিষয়ে খবরের জন্য অপেক্ষা করছেন। তবে সব নিহত হাজীকে সনাক্ত করতে কমপক্ষে ৪৮ ঘন্টা লাগতে পারে। পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের পশ্চিম এশিয়া শাখার মহাপরিচালক নাজমুল ইসলাম বলেছেন, নিহত হাজীদের সনাক্ত করতে কমপক্ষে তিন দিন সময় লাগতে পারে। সৌদি আরবে বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত গোলাম মসীহ বলেন, কিছু বাংলাদেশী পদদলিত হয়ে আহত হয়েছেন এমন অনিশ্চিত রিপোর্ট পাওয়া গেছে। নিহতের সংখ্যা যখন ১০৭ তখন তিনি এ মন্তব্য করেন। তিনি তখন বলেন, আহতদের মিনায় রাষ্ট্র পরিচালিত হাসপাতালগুলোতে চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে।

২৫ সেপ্টেম্বর,২০১৫/এমটি নিউজ২৪/আল-আমিন/এএস

Follow করুন এমটিনিউজ২৪ গুগল নিউজ, টুইটার , ফেসবুক এবং সাবস্ক্রাইব করুন এমটিনিউজ২৪ ইউটিউব চ্যানেলে