মঙ্গলবার, ২১ জুন, ২০১৬, ১১:০৫:২৮

রোজার পর খালেদার পরিকল্পনা

রোজার পর খালেদার পরিকল্পনা

নিউজ ডেস্ক : চলমান রাজনৈতিক পরিস্থিতিতে রমজানে আমন্ত্রণ পাওয়া প্রায় প্রতিটি ইফতার মাহফিলে অংশগ্রহণ করছেন বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া।  ইফতার মাহফিলে যোগ দিয়ে দলকে চাঙ্গা রাখছেন তিনি।  রোজার পর একগুচ্ছ পরিকল্পনা নিয়ে মাঠে নামার চিন্তা-ভাবনা করছেন বেগম জিয়া।

দলটির রাজনৈতিক পরিকল্পনার মধ্যে প্রাধান্য পাচ্ছে বিভিন্ন ইস্যুতে সরকারের প্রকৃত চেহারা জনগণের সামনে তুলে ধরা।  সাংগঠনিক পরিকল্পনা গ্রহণের মূল উদ্দেশ্য হচ্ছে দল গুছিয়ে দুর্বলতা কাটিয়ে ওঠা।

তবে রোজার মধ্যে বিএনপির পূর্ণাঙ্গ কমিটি ঘোষণার তেমন কোনো সম্ভাবনা নেই।  দলীয় সূত্রে জানা গেছে, দলের চেয়ারপারসনের পরামর্শক্রমে সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান তারেক রহমান পূর্ণাঙ্গ কমিটি গঠনের কাজ করছেন।  কমিটি গঠনের ৮০ ভাগ কাজ শেষ।  বাকি ২০ ভাগ কাজ শেষ করে ঈদের পর মাসখানেকের মধ্যে চূড়ান্ত ঘোষণা আসতে পারে।

বিএনপি সূত্রে জানা গেছে, কর্মসূচি প্রণয়নের ক্ষেত্রে বেগম জিয়া অনেক বেশি সাবধানী।  গেল দু’টি আন্দোলনের ফলাফল এবং এর প্রভাব বিশ্লেষণ করে সিদ্ধান্ত নেবেন খালেদা জিয়া।  

আকস্মিক কর্মসূচি দিয়ে কোনো মহলকে সুবিধা করে দিতে কিংবা প্রতিকূল পরিস্থিতির মুখে পড়তে চান না তিনি।  সিনিয়র নেতারা মনে করছেন, ক্ষমতাসীনদের নানামুখী ব্যর্থতার কারণে অস্থিতিশীল পরিস্থিতির মধ্য দিয়ে যাচ্ছে দেশ।  

দেশে-বিদেশে সরকারের অবস্থাও বেগতিক।  সরকার প্রকৃত অবস্থা আড়াল করতে নানা ইস্যু নিয়ে বিরোধী দলকে কোণঠাসা করে রাখতে চায়।  বিরোধী নেতাকর্মীদের ওপর দমন-পীড়ন চালিয়ে যাচ্ছে।

এ অবস্থায় নতুন করে সহিংস কোনো কর্মসূচির প্রয়োজন নেই বলেই মনে করেন নেত্রী।  তবে কর্মসূচির অংশ হিসেবেই ঈদের পর বেশকিছু পরিকল্পনা বাস্তবায়নের চিন্তা-ভাবনা করছেন তিনি।

প্রথমত, জনসম্পৃক্ত ইস্যুতে ঢাকার বাইরে একাধিক সমাবেশ হতে পারে।  সেসব সমাবেশে অংশ নিয়ে বিএনপি চেয়ারপারসন সরকারের ব্যর্থতাগুলো তুলে ধরবেন এবং বিপুল লোকসমাগমের মধ্যদিয়ে নেতাকর্মীদের উদ্দীপ্ত করবেন।  

দ্বিতীয়ত, দলের সিনিয়র নেতাদের সমন্বয়ে গঠিত একটি থিংঙ্ক ট্যাঙ্ক ইস্যুভিত্তিক একাধিক গুরুত্বপূর্ণ প্রতিবেদন তৈরির কাজে হাত দিয়েছে।  এর মধ্যে কিছু প্রতিবেদনের প্রেক্ষিত আন্তর্জাতিক, কিছুতে রয়েছে চলমান ঘটনার প্রকৃত বিবরণ।  সদ্যসমাপ্ত সহিংসতাপূর্ণ ইউপি নির্বাচন নিয়েও প্রতিবেদন তৈরি করা হচ্ছে।

ঈদের পর এসব রিপোর্ট প্রকাশ করা হবে।  সুষ্ঠু, অবাধ ও নিরপেক্ষ নতুন জাতীয় নির্বাচনের ভীত তৈরি করতে কূটনৈতিক পর্যায়েও এসব প্রতিবেদন পৌঁছানোর কথা।  ঈদের পর আন্দোলনে কিংবা সরকারের দমন-পীড়নে ক্ষতিগ্রস্তদের পাশে দাঁড়াতে বিশেষ উদ্যোগও নেয়া হতে পারে।

জানা গেছে, চলমান পরিস্থিতিকে চ্যালেঞ্জ হিসেবে নিয়েই এগোতে চান বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া।  জোট ও দলের নেতাকর্মীদের দমন-পীড়নের মুখে টিকে থাকার পরামর্শও দিচ্ছেন।

জানা গেছে, বিএনপির এখন মূল লক্ষ্য, যে করেই হোক পরবর্তী জাতীয় নির্বাচন নিরপেক্ষ ও সুষ্ঠু করা। একটি নিরপেক্ষ নির্বাচনই কেবল তাদের বর্তমান প্রতিকূল পরিস্থিতি থেকে উত্তরণ ঘটাতে পারে।  সে লক্ষ্যেই খুব হিসাব-নিকাশ করেই এগোতে চান ২০ দলীয় জোট নেত্রী।
২১ জুন,২০১৬/এমটিনিউজ২৪/এমআর/এসএম

Follow করুন এমটিনিউজ২৪ গুগল নিউজ, টুইটার , ফেসবুক এবং সাবস্ক্রাইব করুন এমটিনিউজ২৪ ইউটিউব চ্যানেলে