নিউজ ডেস্ক : কোরবানির বর্জ্য দ্রুত অপসারণে ঢাকা উত্তর ও দক্ষিণ সিটি করপোরেশন এলাকায় মোট ১৭ হাজার পরিচ্ছন্নকর্মী অব্যাহতভাবে কাজ করে যাচ্ছে। এরমধ্য ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনে ১০ হাজার এবং উত্তর সিটি করপোরেশনে ৭ হাজার পরিচ্ছন্ন কর্মী বর্জ্য অপসারণে নিয়োজিত রয়েছে।
ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের মেয়র সাঈদ খোকন আজ শুক্রবার দুপুর দুই টায় ধোলাইখাল সাদেক হোসেন খোকা খেলার মাঠে এবং উত্তর সিটি করপোরেশনের মেয়র আনিসুল হক একই সময়ে উত্তরা ১৫ ও ১৬ নম্বর সেক্টরের মধ্যবর্তী সেতুসংলগ্ন গরুর হাট থেকে এই পরিচ্ছন্নতা অভিযানের উদ্বোধন করেন।
ডিএনসিসি ও ডিএসসিসি’র বর্জ্য ব্যবস্থাপনা কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, উভয় সিটি করপোরেশনে সাড়ে ৮ হাজার নিয়মিত পরিচ্ছন্নকর্মী রয়েছে। এর মধ্যে ডিএসসিসিতে ৫ হাজার ২০০ ও ডিএনসিসিতে ৩ হাজার ৩০০ নিয়োমিত কর্মী নগরীর পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতার কাজ করেন।
কোরবানীর ঈদ উপলক্ষে পশুর বর্জ্য দ্রুত অপসারনে নিয়মিত কর্মীদের পাশাপাশি দৈনিক মজুরি ভিত্তিতে আরো সাড়ে ৮ হাজার অতিরিক্ত পরিচ্ছন্নকর্মী নিয়োগ দেয়া হয়েছে। এর মধ্যে ডিএসসিসিতে প্রায় ৫ হাজার এবং বাকি প্রায় সাড়ে ৩ হাজার ডিএনসিসি এলাকায় পরিচ্ছন্নতার কাজ করছেন।
উত্তর ও দক্ষিণ সিটি করপোরেশন কোরবানির বর্জ্য অপসারণে ৪৮ ঘণ্টার টার্গেট নিয়ে মাঠে নেমেছে। এই সময়ের মধ্যে রাজধানীর ১৬টি অস্থায়ী পশুর হাটসহ নগরজুড়ে ঈদ উপলক্ষে জবাইকৃত পশুর রক্ত, নাড়িভুঁড়ি ও অন্যান্য সব বর্জ্য অপসারণ করার হবে।
ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের (ডিএনসিসি) প্রধান বর্জ্য ব্যবস্থপনা কর্মকর্তা ক্যাপ্টেন বিপন কুমার সাহা বাসস’কে জানান, এবার কোরবানির বর্জ্য অপসারণে তাদের টার্গেট ৪৮ ঘণ্টা। গতবার ২৪ ঘণ্টায় নগরী থেকে পশুর বর্জ্য অপসারণ করা সম্ভব হয়েছিল। এবার ৩০ ঘণ্টার মধ্যে পরিচ্ছন্নতার অভিযান শেষ হবে বলে তিনি আশাবাদী।
তিনি জানান, এই পরিচ্ছন্নতা কাজে এবার ডিএনসিসি ২৫টি ডাম্পার, ৬টি পে লোডার, ২টি টায়ার ডোজার, ৪টি পানির গাড়ি, ২টি প্রাইম মুভার, ২টি ট্রেইলর, শতাধিক খোলা ট্রাকসহ অন্যান্য অধুনিক যন্ত্রপাতি ব্যবহার করে বর্জ্য অপসারণের কাজ চলছে। এছাড়া দুই হাজার ছোট ছোট ভ্যান গাড়ি বর্জ্য অপসারণের কাজে ব্যবহার করা হচ্ছে।
ডিএসসিসি’র প্রধান বর্জ্য ব্যবস্থাপনা কর্মকর্তা ক্যাপ্টেন রকিব উদ্দিন জানান, তাদের নিয়মিত পরিচ্ছন্নকর্মীর সংখ্যা ৫ হাজার ২০০ জন। কোরবানি উপলক্ষে তিন দিনের জন্য দৈনিক মজুরি ভিত্তিতে আরো প্রায় ৫ হাজার নিয়োগ করা হয়েছে।
মোট ১০ হাজার পরিচ্ছন্নকর্মী দুপুর থেকে মাঠে নেমে পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতার কাজ শুরু করছেন জানিয়ে তিনি বলেন, এবারও দুই ডজনের বেশি ডাম্পার, ৬টি এক্সকাভেটর, ৫টি বুলডোজার ও ২টি টায়ার ডোজার, চেইন ডোজার, ৫টি পে-লোডার, প্রাইম মুভার, ৫টি পানির গাড়িসহ বিভিন্ন বড় যন্ত্রপাতি ব্যবহার করে কোরবানির বর্জ্য অপসারণ করা হচ্ছে।
এছাড়া দ্রুত বর্জ্য অপসারণের জন্য ১৩৫টি খোলা ট্রাক, নিয়মিত ৩২৫টি কন্টেইনারসহ আরো অতিরিক্ত ২২টি কন্টেইনার, ৭৩টি কন্টেইনার ক্যারিয়ার, ১৭টি কম্পেক্টর ব্যবহার করা হচ্ছে বলে রকিব উদ্দিন জানান।
এছাড়া কোরবানির রক্ত, বর্জ্য ও অন্যান্য আবর্জনা মাধ্যমে যাতে পরিবেশকে দূষণ না হয়ে সেজন্য দুই সিটি করপোরেশনের প্রতিটি ওয়ার্ডে জীবাণুনাশক ওষুধ মিশ্রিত পানি ও ব্লিচিং পাউডার ছিটিয়ে দেয়ার ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে।
২৬ সেপ্টেম্বর ২০১৫/এমটিনিউজ২৪/এসএস/এসবি