জাতীয় ডেস্ক: ঢাকা-চট্টগ্রাম ও ঢাকা-ময়মনসিংহ চার লেন সড়কের উদ্বোধনের ইঙ্গিত দিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, ঈদের আগেই সুখবর পাবেন। দক্ষিণাঞ্চলের দিকে কেউ তাকায় না। কিন্তু আমরা পুরো দক্ষিণাঞ্চলকে উন্নত যোগাযোগের আওতায় এনেছি। সেদিকে অনেক ব্রিজ-সেতু করে সড়ক যোগাযোগ ব্যবস্থা উন্নত করেছি।
আজ (রবিবার) সকালে রাজধানীর বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে দেশের প্রথম মেট্রোরেলের ভূমি উন্নয়ন কাজ ও বাস র্যাপিড ট্রানজিট (বিআরটি) নির্মাণ কাজের উদ্বোধন অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, ‘আমরা কেবল দেশীয় যোগাযোগ ব্যবস্থার দিকে তাকিয়ে নেই। আঞ্চলিক যোগাযোগেও গুরুত্ব দিয়েছি।’
শেখ হাসিনা বলেন, ঢাকায় অতিরিক্ত মানুষের বসবাস। কিন্তু রাস্তাঘাটের অভাব। আবার গাড়িও ব্যবহার হচ্ছে বেশি। এ জন্য সাধারণ মানুষ যারা বাসে উঠেন, তাদের জন্য ঢাকা শহরে যোগাযোগ ব্যবস্থা আরও উন্নত আরও সহজ করা আমাদের লক্ষ্য।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, সে জন্য বিভিন্ন উন্নয়নমূলক কাজ করছি। পুরো ঢাকা ঘিরে সব পথই থাকবে। সে ব্যবস্থা হাতে নেওয়া হয়েছে। সম্ভাব্যতা যাচাই হয়ে গেছে। কাজও শুরু হবে।’
মেট্রোরেল প্রকল্পের বিস্তারিত তুলে ধরে তিনি বলেন, মেট্রোরেলের ১৬টি স্টেশন থাকবে। সব ইলেক্ট্রনিক সিস্টেম হবে। ট্রেনে ওঠানামা দ্রুত হবে। কারও জন্য অপেক্ষা করা যাবে না।
বাংলাদেশ-ভুটান-ভারত-নেপাল মিলে সড়ক যোগাযোগ চুক্তি হয়েছে।
ম্যাস র্যাপিড ট্রানজিট (এমআরটি) লাইন-৬ প্রকল্পের আওতায় বাস্তবায়নাধীন উত্তরা থেকে মতিঝিল পর্যন্ত এ মেট্রোরেলের দৈর্ঘ্য হবে ২০ দশমিক ১ কিলোমিটার।
উত্তরা থেকে শুরু হয়ে পল্লবী-রোকেয়া সরণীর পশ্চিম পাশ দিয়ে খামারবাড়ী-ফার্মগেট-হোটেল সোনারগাঁও-শাহবাগ- টিএসসি-দোয়েল চত্বর-তোপখানা রোড হয়ে বাংলাদেশ ব্যাংক পর্যন্ত যাবে।
মেট্রোরেল চালু হলে ঘণ্টায় উভয়দিক থেকে ৬০ হাজার যাত্রী পরিবহন করা যাবে।
বাস্তবায়নাধীন বিআরটিএ লাইন দিয়ে গাজীপুর থেকে এয়ারপোর্ট সড়কে ঘণ্টায় ২৫ হাজার যাত্রী পরিবহন সম্ভব হবে।
২৬ জুন,২০১৬/এমটিনিউজ২৪/এআর