মঙ্গলবার, ২৮ জুন, ২০১৬, ০৬:৪৩:৪২

মিতু হত্যায় আটক ৩জনই সাকা চৌধুরীর ক্যাডার : হাছান মাহমুদ

 মিতু হত্যায় আটক ৩জনই সাকা চৌধুরীর ক্যাডার : হাছান মাহমুদ

ঢাকা : পুলিশ সুপার বাবুল আক্তারের স্ত্রী মাহমুদা খানম মিতু হত্যাকাণ্ডে গ্রেপ্তারকৃতদের বিষয়ে আওয়ামী লীগের প্রচার সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, আইনশৃঙ্খলা বাহিনী ওয়াসিম, আনোয়ার ও রাশেদ নামে যে তিনজনকে গ্রেপ্তার করেছে তারা যুদ্ধাপরাধের দায়ে মৃত্যুদণ্ডে দণ্ডিত বিএনপি নেতা সালাউদ্দিন কাদের (সাকা) চৌধুরীর দুর্ধর্ষ ক্যাডার।

তিনি বলেন, বিএনপির এই তিন সন্ত্রাসী ২০১২ সালে চট্টগ্রাম উত্তর জেলা ছাত্রলীগের ত্রাণ ও সমাজকল্যাণ বিষয়ক সম্পাদক রাশেদ মিয়া হত্যাকাণ্ডেরও চার্জশিটভুক্ত আসামি।

২৮ জুন মঙ্গলবার সকালে জাতীয় প্রেসক্লাবে বঙ্গবন্ধু একাডেমি আয়োজিত এক আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন।

বিএনপির চেয়ারপারসনকে জঙ্গি নেত্রী আখ্যা দিয়ে হাছান মাহমুদ বলেন, বেগম খালেদা জিয়া জঙ্গিদের পাশে বসিয়ে জঙ্গিবিরোধী বক্তব্য দেন।  খালেদা জিয়ার প্রচ্ছন্ন ছায়ায় এবং বিএনপি নেতাদের অর্থায়নে এসব হত্যাকাণ্ড পরিচালিত হচ্ছে।

তিনি বলেন, জামায়াত-শিবিরের যেসব ক্যাডার আগে মানুষের হাত-পায়ের রগ কাটতো তারাই এখন জঙ্গিগোষ্ঠীর নামে গুপ্তহত্যা চালাচ্ছে।  যেসব জঙ্গিগোষ্ঠী গুপ্তহত্যা চালাচ্ছে তাদের খালেদা জিয়া আঁচলের তলে আশ্রয় দিয়েছেন।

‌‘সরকারের উচিত ব্রিটেনের উদাহরণ অনুসরণ করা’- খালেদা জিয়ার এমন বক্তব্যের কড়া সমালোচনা করে হাছান মাহমুদ বলেন, ক্ষমতায় যাওয়ার জন্য বিএনপি যেভাবে নিরীহ মানুষ হত্যা করেছিল, ব্রিটেন বা অন্য কোনো উন্নত দেশ হলে তিনি এতদিনে রাজনীতি করার অধিকার হারাতেন।

তিনি বলেন, প্রতিদিন ইফতারের আগে খালেদা জিয়া মিথ্যাচার করে রমজানের পবিত্রতা নষ্ট করছেন। মিথ্যা বলায় বিএনপি নেত্রী অতীতের সব রেকর্ড ভঙ্গ করেছেন।

হাছান মাহমুদ বলেন, পত্রিকায় দেখলাম বিএনপি নেত্রী নাকি দলের নেতাদের উপরে বিরক্ত। প্রকৃতপক্ষে বিএনপি নেতারা খালেদা জিয়ার উপরে আরো বেশি বিরক্ত।  

তিনি বলেন, চার মাস হয়ে গেছে, সম্মেলনের পর বিএনপি এখনো কেন্দ্রীয় কমিটি পূর্ণাঙ্গ করতে পারেনি।  যে নেত্রীর ওপর দলের নেতারা আস্থা রাখতে পারছে না, তার ওপর জনগণ কীভাবে আস্থা রাখবে?

সংগঠনের উপদেষ্টা এমদাদুল হক সেলিমের সভাপতিত্বে অন্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন মহানগর আওয়ামী লীগ নেতা জিএম আতিক, হারুন চৌধুরী, অরুণ সরকার রানা প্রমুখ।

প্রসঙ্গত, গত ৫ জুন নগরীর জিইসির মোড় এলাকায় ছেলেকে স্কুল বাসে তুলে দিতে গিয়ে দুর্বৃত্তদের ছুরিকাঘাত ও গুলিতে খুন হন পুলিশ সুপার বাবুল আক্তারের স্ত্রী মাহমুদা খানম মিতু।

এ ঘটনার পরদিন পাঁচলাইশ থানায় বাবুল আক্তার বাদী হয়ে একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন।  এ ঘটনায় আটক করা হয়েছে বেশ কয়েকজনকে।
২৮জুন,২০১৬/এমটিনিউজ২৪/এমআর/এসএম

Follow করুন এমটিনিউজ২৪ গুগল নিউজ, টুইটার , ফেসবুক এবং সাবস্ক্রাইব করুন এমটিনিউজ২৪ ইউটিউব চ্যানেলে