বুধবার, ২৯ জুন, ২০১৬, ১২:৫৭:৫৬

বাবুল আক্তার কি নজরদারিতে?

বাবুল আক্তার কি নজরদারিতে?

কাদির কল্লোল : বাংলাদেশে এক আলোচিত পুলিশ কর্মকর্তার স্ত্রীকে হত্যার ঘটনায় মঙ্গলবার আরও দু’জন সন্দেহভাজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। চট্টগ্রামে পুলিশ কর্মকর্তা বাবুল আক্তারের স্ত্রী মাহমুদা আক্তারকে হত্যার ঘটনায় এ নিয়ে মোট চারজনকে গ্রেফতার করা হলো, যাদের পুলিশ পেশাদার খুনি বলে বর্ণনা করছে।

তবে নিজের স্ত্রী খুন হওয়ার এই ঘটনায় বাবুল আক্তারকে কেন জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছিল, তার কোন স্পষ্ট ব্যাখ্যা এখনো পুলিশের তরফ থেকে দেয়া হয়নি।

স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান বলেছেন, গ্রেফতার হওয়া সন্দেহভাজনদের মুখোমুখি করতেই বাবুল আক্তারকে সেদিন পুলিশ নিয়ে গিয়েছিল।

মঙ্গলবার আরও যে দু’জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে, তাদের একজনের নাম এহতেশামুল হক ভোলা এবং অন্যজনের নাম মনির হোসেন। চট্টগ্রামের বাকলিয়া এলাকা থেকে গ্রেফতারের সময় তাদের কাছ থেকে দু’টি আগ্নেয়াস্ত্র উদ্ধার করার কথাও পুলিশ জানিয়েছে।

প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদের বরাত দিয়ে পুলিশ আরও বলেছে, এই দু’জন হত্যাকাণ্ডে ব্যবহৃত অস্ত্র সরবরাহ করেছিল। চট্টগ্রাম পুলিশের অতিরিক্ত কমিশনার দেবদাস ভট্টাচার্য বলেছেন, আগে গ্রেফতারকৃত দু’জন সরাসরি হত্যাকাণ্ডে জড়িত এবং এখন যাদের গ্রেফতার করা হলো তারা হত্যাকাণ্ডে ব্যবহৃত অস্ত্র সরবরাহ করেছিলো। যদিও হত্যার পর পরই জঙ্গিরা জড়িত কিনা, সেটাকে অগ্রাধিকার দিয়ে তদন্ত শুরু করার কথা চট্টগ্রামের পুলিশ বলেছিল।

এখন পুলিশ বলছে, হত্যাকাণ্ডে জড়িতরা পেশাদার খুনি, গ্রেফতারকৃতদের প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে এটা তারা নিশ্চিত হয়েছেন।

তবে সেখানে হত্যার পরিকল্পনাকারী কে বা এর পিছনে কে আছে, কেন এই হত্যাকাণ্ড- এসব নিয়ে প্রশ্ন উঠছে। চট্টগ্রাম পুলিশের কর্মকর্তা দেবদাস ভট্টাচার্য এ মূহুর্তে পরিষ্কার করে কিছু বলেননি।

স্ত্রী হত্যাকাণ্ডের মামলার বাদী পুলিশ কর্মকর্তা বাবুল ‌আক্তারকে গত শুক্রবার মধ্যরাতে গোয়েন্দা পুলিশের দপ্তরে ডেকে নিয়ে প্রায় পনেরো ঘণ্টা সময় ধরে জিজ্ঞাসাবাদের পর নানান প্রশ্ন উঠেছে। বাবুল আক্তারকে উচ্চ পদস্থ তিনজন পুলিশ কর্মকর্তা জিজ্ঞাসাবাদ করেছিলেন।

তাদের মধ্যে ছিলেন চট্টগ্রামের পুলিশ কমিশনার। হত্যাকাণ্ড চট্টগ্রামে ঘটায় সেখানকার পুলিশ তদন্ত করছে। এনিয়ে পুলিশের পক্ষ থেকে কোন স্পষ্ট বক্তব্য না দেওয়ায় সংবাদ মাধ্যমে নানা ধরনের খবরও প্রকাশ হচ্ছে।

স্ত্রীর হত্যাকাণ্ডের পর থেকে বাবুল ‌আক্তার দুই শিশু সন্তানকে নিয়ে ঢাকায় শ্বশুরবাড়িতে রয়েছেন। সেখানেও পুলিশি পাহাড়া নিয়ে তার আত্মীয় স্বজনরা সন্দেহ প্রকাশ করেছিলেন যে, তাকে নজরদারিতে রাখা হয়েছে কিনা।

এসব বিষয় নিয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নে স্বরাষ্ট্র আসাদুজ্জামান খান বলেছেন, ‘নজরদারিতে আছে বলে আমরা কখনও বলিনি। বাবুল আক্তার সন্দেহভাজন হত্যাকারীদের চিনেন কিনা, সেটা জানার জন্য তাকে হত্যাকারীদের মুখোমুখি করা হয়েছিল।”

স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আরও বলেছেন, “হত্যার রহস্য জানার ব্যাপারে কথাবার্তা হয়েছে। এখানে বাবুল আক্তারকে দায়ী করা বা তিনি জড়িত কিনা, এ ধরণের প্রসঙ্গ এখনও আসেনি।”

বিভিন্ন প্রশ্ন এবং পরিস্থিতি নিয়ে পুলিশ এখনও আনুষ্ঠানিক কোন বক্তব্য দেয়নি। ঢাকায় পুলিশের ঊর্ধ্বতন একাধিক কর্মকর্তার সাথে যোগাযোগ করা হলে তারাও কিছু বলতে রাজি হননি। -বিবিসি বাংলা

২৯ জুন ২০১৬/এমটি নিউজ২৪/এসবি/এসএস

Follow করুন এমটিনিউজ২৪ গুগল নিউজ, টুইটার , ফেসবুক এবং সাবস্ক্রাইব করুন এমটিনিউজ২৪ ইউটিউব চ্যানেলে