বৃহস্পতিবার, ৩০ জুন, ২০১৬, ০৬:০৭:৫০

স্বরাষ্ট্রমন্ত্রণালয়ে রুদ্ধদার বৈঠক, গ্রেপ্তার হতে পারেন এসপি বাবুল আক্তার!

স্বরাষ্ট্রমন্ত্রণালয়ে রুদ্ধদার বৈঠক, গ্রেপ্তার হতে পারেন এসপি বাবুল আক্তার!

বিপ্লব বিশ্বাস : পুলিশ সুপার বাবুল আক্তার  পদত্যাগপত্রে স্বাক্ষর করলেও তা এখনো গ্রহণ করেনি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ।  তবে যেকোনো সময়ে তা গ্রহণ করে পর্যাপ্ত তথ্যের ভিত্তিতে তাকে গ্রেপ্তার করা হতে পারে।

কেননা চট্টগ্রামে পুলিশের কাছে যে তথ্য রয়েছে তাতে প্রমাণ হয়েছে তার স্ত্রী হত্যায় বাবুল আক্তার জড়িত।  তার পরিকল্পনায় মিতুকে হত্যা করা হয়।

জানা গেছে, সরকারের ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের অনুমতির অপেক্ষায় বৃহস্পতিবার দুপুরে সচিবালয়ে রুদ্ধদার বৈঠকে বসছেন পুলিশ ও গোয়েন্দা সংস্থার ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা।  

সেখানে উপস্থিত হওয়ার কথা রয়েছে সরকারের বেশ কয়েকজন গুরুত্বপূর্ণ কর্তাব্যক্তির।  ওই বৈঠকেই সিন্ধান্ত হতে পারে এসপি বাবুলের গ্রেপ্তারের বিষয়ে।

তবে পুলিশ কর্মকর্তাদের একটি অংশ মনে করে, বাবুল যদি অপরাধী হন তাহলে প্রচলিত আইনে তার সাজা হওয়া উচিত।  আরেকটি অংশ মনে করে, বর্তমান পরিস্থিতিতে বাবুল সন্দেহের ঊর্ধ্বে নন। বাহিনীর ভাবমূর্তি রক্ষায় তার সরে যাওয়া উচিত।

বাবুল আক্তারের শ্বশুর সাবেক পুলিশ পরিদর্শক  মোশাররফ হোসেন এখনো মনে করেন, বাবুল স্ত্রী হত্যায় জড়িত থাকতে পারেন না।  

বাবুলের পদত্যাগের বিষয়ে প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেন, গত শনিবার বাসায় আসার পর থকে বাবুল এ বিষয় নিয়ে কোনো কথা বলেননি।  বাবুল বাসায় ফেরার পর গত রোববার থেকে তার বাসার সামনে পুলিশের নিরাপত্তাও সরিয়ে নেয়া হয়েছে।

গত শুক্রবার রাতে ডিবি কার্যালয়ে নেয়ার পর তিনজন ডিআইজি পদমর্যাদার কর্মকর্তা বাবুলকে ১৫ ঘণ্টা জিজ্ঞাসাবাদ করেন।  সে সময়ই তার পদত্যাগপত্রে সই নেয়া হয়।  

তবে পদত্যাগপত্রটি এখনো আনুষ্ঠানিকভাবে পুলিশ সদর দপ্তরে জমা পড়েনি।  জিজ্ঞাসাবাদের সময় মাহমুদা হত্যায় বাবুলের জড়িত থাকার বিষয়ে তথ্য-প্রমাণ তাদের হাতে রয়েছে দাবি করে তিন ডিআইজি বাবুলকে দুটি বিকল্প দেন।

বাবুলকে বলা হয়, তাকে বাহিনী থেকে সরে যেতে হবে, নইলে তাকে মিতু হত্যা মামলায় আসামি হতে হবে।  বাবুল বাহিনী থেকে সরে যাওয়ার বিষয়ে সম্মতি দেন।

বাবুলের ঘনিষ্ঠ একাধিক কর্মকর্তা  বলেন, কর্মকর্তাদের চাপের মুখে বাবুল বাহিনী থেকে সরে যাওয়ার সিদ্ধান্ত  জানান।  এ ছাড়া তার আর কিছু করার ছিল না।  কেননা পুলিশের মতো বাহিনীতে ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের সিদ্ধান্তই চূড়ান্ত।

ওই কর্মকর্তাদের একজন বলেন, আমরা স্যারদের বলেছি, কোনো মাঝামাঝি পন্থা থাকতে পারে না। মাহমুদা হত্যার সুষ্ঠু তদন্ত হতে হবে।  বাবুল যদি এতে জড়িত হন, তাহলে অন্য আর দশজন অপরাধীর যা হয়, তারও তাই হবে।  আর তা না হলে তিনি সসম্মানে পুলিশ বাহিনীতে থাকবেন।  মামলার তদন্ত প্রক্রিয়াও স্বচ্ছ হওয়া উচিত।  সূত্র : আমাদের সময়
৩০ জুন,২০১৬/এমটিনিউজ২৪/এমআর/এসএম

Follow করুন এমটিনিউজ২৪ গুগল নিউজ, টুইটার , ফেসবুক এবং সাবস্ক্রাইব করুন এমটিনিউজ২৪ ইউটিউব চ্যানেলে