শনিবার, ০২ জুলাই, ২০১৬, ০৯:০০:৩২

গুলশান সংকট, খালেদা জিয়ার নিরাপত্তা দাবি বিএনপির

গুলশান সংকট, খালেদা জিয়ার নিরাপত্তা দাবি বিএনপির

নিউজ ডেস্ক : গুলশানে রেস্তোরাঁয় হামলা ও জিম্মি ঘটনায় উদ্বেগ প্রকাশ করেছে বিএনপি। এ পরিস্থিতিতে বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার নিরাপত্তা জোরদার করার জন্য সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে দলটি।

শুক্রবার রাতে পাঠানো বিবৃতিতে এ দাবি করা হয়। বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবীর রিজভী স্বাক্ষরিত বিবৃতিতে বলা হয়, ‘দেশ একটি গভীর সংকটকাল অতিক্রম করছে। আজকে (গতকাল) সন্ধ্যার ঘটনা সেই গভীর সংকটেরই বহি:প্রকাশ।’

বিবৃতিতে বলা হয়, ‘এই পরিস্থিতি মোকাবিলা করার জন্য দলমত নির্বিশেষে সকলকে নিয়ে উদ্যোগ গ্রহণ করার জন্য সরকারের প্রতি বিএনপি আহবান জানাচ্ছে। যেসব বিদেশীদের জিম্মি করা হয়েছে তাদেরকে নিরাপদে মুক্ত করার জন্য সরকার সর্বাত্মক প্রচেষ্টা গ্রহণ করবেন বলে বিএনপি আশা রাখে।’

বিবৃতিতে বলা হয়, ‘গুলশানের এলাকাবাসী এবং অত্র এলাকার বাসিন্দা বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার নিরাপত্তা জোরদার করার জন্য সরকারের প্রতি বিএনপি আহবান জানাচ্ছে। অত্র এলাকায় বসবাসরত বিদেশী কুটনীতিকদের জীবন ও নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে সরকার দ্রুত সময়ে কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণ করবে বলবে বিএনপি আশা রাখে।

এতে আরো বলা হয়, ‌‘আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী সাহস ও দৃঢ় প্রত্যয় সহকারে পরিস্থিতি মোকাবেলা করতে সক্ষম হবে বলেও বিএনপি দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করে। জিম্মিদের মুক্ত করতে যেসকল পুলিশ সদস্য নিহত হয়েছেন বিএনপি তাদের আত্মার মাগফিরাত কামনা এবং তাদের পরিবার ও স্বজনদের প্রতি গভীর সমবেদনা জ্ঞাপন করছে। আহতের আশু সুস্থতা কামনা করছে।’
০২ জুলাই, ২০১৬/এমটিনিউজ২৪.কম/সৈকত/এমএম

গুলশানের রেস্তোরাঁয় জিম্মি উদ্ধারে সেনা বাহিনীর কমান্ডো অভিযান চলছে। অভিযানের মধ্যে গুলশানের রেস্তোরাঁ থেকে একটাই শব্দ আসছে, বাঁচাও বাঁচাও। এখন সেখানে গোলিবর্ষণ থেমে গেছে বলে জানা যায় বাইরে এম্বুলেন্সের বহর দাড় করিয়ে রাখা হয়েছে।

শনিবার সকাল সাড়ে ৭টার পর পুলিশ, র‍্যাব, বিজিবি, সোয়াত ও নৌ-বাহিনীর কমান্ডোদের সমন্বয়ে এ অভিযান  শুরু হয়।

ঘটনাস্থলের আশপাশে থাকা সাংবাদিকরা জানান, সাড়ে ৭টার পরপর সোয়াতের একটি দল একটি অ্যাম্বুলেন্স ঘিরে ওই রেস্তোরাঁ দিকে এগোতে থাকে। এর পর পর কয়েক দিক থেকে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা সমন্বিত অভিযান শুরু করে।

এর আগে শুক্রবার মধ্য রাত থেকেই আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা প্রস্তুতিতে নিতে শুরু করেন। ভোর পাঁচটার দিকেই তাদের প্রস্তুতি শেষ হয়। পরে আশপাশে অবস্থান নেওয়া


সংবাদকর্মীদের পুলিশ নিরাপদ দূরত্বে সরিয়ে দেয়।

শনিবার সকাল ৬টার দিকে পুলিশের মহাপরিদর্শক (আইজিপি) এ কে এম শহীদুল হক ঘটনাস্থলে উপস্থিত হন। তিনি সেখানে উপস্থিত আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী সদস্যদের সঙ্গে কথা বলেন। সকাল সাতটায় সাতটি সাঁজোয়া যাসহ সেনাবাহিনীর একটি দল ওই এলাকায় অবস্থান নেয়।

এর আগে শুক্রবার রাত পৌনে নয়টার দিকে গুলশানের ৭৯ নম্বরের আর্টিজান রেস্তোরাঁয় ৮ থেকে ১০ জন যুবক অতর্কিত হামলা চালায়। এরপর তারা ওই রেস্তোরাঁয় থাকা লোকজনকে জিম্মি করে। জিম্মিদের মধ্যে অন্তত ২০ জন বিদেশি নাগরিকসহ ৩০-৩৫ জন আছেন বলে ধারণা করা হচ্ছে। এরপর থেকে পুরো চার কিলোমিটার এলাকা আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা ঘিরে রাখে।

আর্টিজান বেকারি নামের ওই রেস্তোরাঁয় জঙ্গি হামলার কিছুক্ষণ পর পুলিশের অগ্রগামী দলের দুই কর্মকর্তা জঙ্গিদের গুলি ও বোমায় নিহত হন। আহত হন অন্তত ৪০ জন পুলিশ সদস্য। নিহত দুই পুলিশ কর্মকর্তা হলেন, ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) সহকারী কমিশনার রবিউল ইসলাম ও বনানী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সালাহউদ্দিন।

গুলশানের ইউনাইটেড হাসপাতাল সূত্র জানায়, ওই হাসপাতালে মোট ৩৬ জন আহত ব্যক্তিকে নেওয়া হয়েছিল। এর মধ্যে দুজন মারা গেছেন। এখন ভর্তি আছেন ২৪ জন। বাকিদের প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে।

জঙ্গি হামলা চালিয়ে দেশি-বিদেশি নাগরিকদের জিম্মি করার ঘটনায় দায় স্বীকার করেছে মধ্যপ্রাচ্যভিত্তিক আন্তর্জাতিক জঙ্গি সংগঠন ইসলামিক স্টেট (আইএস)।

এই ধরনের অতর্কিত হামলা চালিয়ে মানুষজনকে জিম্মি করার ঘটনা বাংলাদেশে এটাই প্রথম। সর্বশেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত জিম্মিদের অবস্থা সম্পর্কে নিশ্চিত কিছু জানা যায়নি।

- See more at: http://bn.mtnews24.com/jatio/89665/------#sthash.KoupZXeg.dpuf

Follow করুন এমটিনিউজ২৪ গুগল নিউজ, টুইটার , ফেসবুক এবং সাবস্ক্রাইব করুন এমটিনিউজ২৪ ইউটিউব চ্যানেলে