শনিবার, ০২ জুলাই, ২০১৬, ০৯:০৪:৪৮

কমান্ডো অভিযানে ৫ হামলাকারী নিহত

কমান্ডো অভিযানে ৫ হামলাকারী নিহত

নিউজ ডেস্ক : রাজধানীর গুলশানে হলি আর্টিজান বেকারিতে জিম্মিকারীদের বিরুদ্ধে বিশেষ অভিযান শুরু করেছে যৌথ বাহিনী। অভিযানে পাঁচজন হামলাকারীর নিহত হবার খবর নিশ্চিত করেছে গোয়েন্দা সূত্র। রেস্টুরেন্টে আটকা পড়া জিম্মিদের উদ্ধারে সকাল ৭টা ৪৫ মিনিটে অভিযান শুরু করে যৌথবাহিনী। অভিযানে জিম্মিদের উদ্ধার করা হয়েছে কি না তা নিশ্চিতভাবে জানা যায়নি।

জিম্মিদের উদ্ধারে বিশেষ বাহিনী (স্পেশাল উইপন্স এন্ড টেকটিকস) সোয়াটের সঙ্গে ভোর ৪টার পর থেকেই পুলিশ, র‌্যাব, বিজিবি, নৌ-বাহিনী কমান্ডো সীল এবং সেনাবাহিনীর কমান্ডোদের সমন্বয়ে এ অভিযানের প্রস্তুতি শুরু করে। শনিবার সকাল সাড়ে ৭টার পর পুলিশ, র‍্যাব, বিজিবি, সোয়াত ও নৌ-বাহিনীর কমান্ডোদের সমন্বয়ে এ অভিযান  শুরু হয়।

গুলশানের রেস্তোরাঁয় জিম্মি উদ্ধারে সেনা বাহিনীর কমান্ডো অভিযান চলছে। অভিযানের মধ্যে গুলশানের রেস্তোরাঁ থেকে একটাই শব্দ আসছে, বাঁচাও বাঁচাও। এখন সেখানে গোলিবর্ষণ থেমে গেছে বলে জানা যায় বাইরে এম্বুলেন্সের বহর দাড় করিয়ে রাখা হয়েছে।

ঘটনাস্থলের আশপাশে থাকা সাংবাদিকরা জানান, সাড়ে ৭টার পরপর সোয়াতের একটি দল একটি অ্যাম্বুলেন্স ঘিরে ওই রেস্তোরাঁ দিকে এগোতে থাকে। এর পর পর কয়েক দিক থেকে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা সমন্বিত অভিযান শুরু করে।

এর আগে শুক্রবার মধ্য রাত থেকেই আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা প্রস্তুতিতে নিতে শুরু করেন। ভোর পাঁচটার দিকেই তাদের প্রস্তুতি শেষ হয়। পরে আশপাশে অবস্থান নেওয়া সংবাদকর্মীদের পুলিশ নিরাপদ দূরত্বে সরিয়ে দেয়।

শনিবার সকাল ৬টার দিকে পুলিশের মহাপরিদর্শক (আইজিপি) এ কে এম শহীদুল হক ঘটনাস্থলে উপস্থিত হন। তিনি সেখানে উপস্থিত আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী সদস্যদের সঙ্গে কথা বলেন। সকাল সাতটায় সাতটি সাঁজোয়া যাসহ সেনাবাহিনীর একটি দল ওই এলাকায় অবস্থান নেয়।

এর আগে শুক্রবার রাত পৌনে নয়টার দিকে গুলশানের ৭৯ নম্বরের আর্টিজান রেস্তোরাঁয় ৮ থেকে ১০ জন যুবক অতর্কিত হামলা চালায়। এরপর তারা ওই রেস্তোরাঁয় থাকা লোকজনকে জিম্মি করে। জিম্মিদের মধ্যে অন্তত ২০ জন বিদেশি নাগরিকসহ ৩০-৩৫ জন আছেন বলে ধারণা করা হচ্ছে। এরপর থেকে পুরো চার কিলোমিটার এলাকা আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা ঘিরে রাখে।

আর্টিজান বেকারি নামের ওই রেস্তোরাঁয় জঙ্গি হামলার কিছুক্ষণ পর পুলিশের অগ্রগামী দলের দুই কর্মকর্তা জঙ্গিদের গুলি ও বোমায় নিহত হন। আহত হন অন্তত ৪০ জন পুলিশ সদস্য। নিহত দুই পুলিশ কর্মকর্তা হলেন, ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) সহকারী কমিশনার রবিউল ইসলাম ও বনানী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সালাহউদ্দিন।

গুলশানের ইউনাইটেড হাসপাতাল সূত্র জানায়, ওই হাসপাতালে মোট ৩৬ জন আহত ব্যক্তিকে নেওয়া হয়েছিল। এর মধ্যে দুজন মারা গেছেন। এখন ভর্তি আছেন ২৪ জন। বাকিদের প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে।

জঙ্গি হামলা চালিয়ে দেশি-বিদেশি নাগরিকদের জিম্মি করার ঘটনায় দায় স্বীকার করেছে মধ্যপ্রাচ্যভিত্তিক আন্তর্জাতিক জঙ্গি সংগঠন ইসলামিক স্টেট (আইএস)।

এই ধরনের অতর্কিত হামলা চালিয়ে মানুষজনকে জিম্মি করার ঘটনা বাংলাদেশে এটাই প্রথম। সর্বশেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত জিম্মিদের অবস্থা সম্পর্কে নিশ্চিত কিছু জানা যায়নি।
০২ জুলাই, ২০১৬/এমটিনিউজ২৪.কম/সৈকত/এমএম

Follow করুন এমটিনিউজ২৪ গুগল নিউজ, টুইটার , ফেসবুক এবং সাবস্ক্রাইব করুন এমটিনিউজ২৪ ইউটিউব চ্যানেলে