শনিবার, ০২ জুলাই, ২০১৬, ১১:৩২:৩৫

গুলশানে জিম্মি উদ্ধার অভিযান শেষ, রেস্তোরাঁ ঘিরে আছে সেনারা

গুলশানে জিম্মি উদ্ধার অভিযান শেষ, রেস্তোরাঁ ঘিরে আছে সেনারা

নিউজ ডেস্ক : শ্বাসরুদ্ধকর পরিস্থিতির পর অবশেষে গুলশানের হলি আর্টিজান রেস্তোরাঁয় জিম্মি উদ্ধারে অভিযান শেষ হয়েছে। কমান্ডো অভিযানে জিম্মি উদ্ধারে অভিযান শেষ হয়। রেস্তোরাঁটি এখন সেনাসদস্যরা ঘিরে রেখেছেন।

অভিযান শেষে সকাল ৯টা ৩২ মিনিটে পুলিশের মহাপরিদর্শক (আইজিপি) এ কে এম শহীদুল হক ঘটনাস্থল ত্যাগ করার সময় তার গাড়ির সামনে গিয়ে দাঁড়ান এক ভারতীয় দম্পতি। তারা আইজিপির কাছে জিম্মি হয়ে থাকা তার মেয়ের খবর জানতে চান।

ওই ভারতীয় দম্পতি আইজিপিকে প্রশ্ন করেন কতজন উদ্ধার হয়েছে, তাদের কার কী অবস্থা। জবাবে আইজিপি বলেন, এ বিষয়ে পরে জানানো হবে। এ পর্যন্ত আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী মোট ১৮ জনকে জীবিত উদ্ধার করেছে। বাকিদের বিষয়ে এখনই কিছু বলা যাচ্ছে না।

অভিযান শেষে ওই রেস্তোরাঁ থেকে বেরিয়ে আসা একজন কর্মকর্তা জানিয়েছেন, ভেতরে পাঁচ-ছয়জনকে বসিয়ে রাখা হয়েছে। সাদা পোশাক পরা ওরা সম্ভবত ওই রেস্তোরাঁর কর্মী। তিনি রেস্তোরাঁর ভেতরে কয়েকজনকে রক্তাক্ত অবস্থায় পড়ে থাকতে দেখেছেন।

জিম্মি উদ্ধারে আজ শনিবার সকাল সাড়ে সাতটার পরপর সেনাবাহিনী, সোয়াত, পুলিশ, র‍্যাব, বিজিবির সমন্বয়ে অভিযান শুরু হয়। অভিযান শুরুর পর মুহুর্মুহু গুলির শব্দ শোনা যায়। ৪৫ মিনিটের মাথায় সকাল ৮টা ১৬ মিনিটে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর কর্মকর্তারা জানান, পরিস্থিতি তাঁদের নিয়ন্ত্রণে। অভিযানের সময় সেখানে সেনাবাহিনীর প্রধান, নৌবাহিনীর প্রধানও উপস্থিত ছিলেন।

সকাল সাড়ে আটটার দিকে অভিযানে থাকা আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর একজন কর্মকর্তা জানিয়েছেন, ভেতরে পাঁচজন মারা গেছেন। ১৩ জনকে জীবিত উদ্ধার করা হয়েছে। এদের মধ্যে দুজন বিদেশি নাগরিক রয়েছেন। জীবিত উদ্ধার হওয়াদের সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে চিকিৎ​সার জন্য নেওয়া হয়েছে। নিহত ও উদ্ধার করা ব্যক্তিদের পরিচয় তাৎক্ষণিকভাবে জানাতে পারেননি তিনি।

উল্লেখ্য, শুক্রবার রাত পৌনে নয়টার দিকে গুলশানের ৭৯ নম্বরের আর্টিজান রেস্তোরাঁয় ৮ থেকে ১০ জন যুবক অতর্কিত হামলা চালায়। এরপর তারা ওই রেস্তোরাঁয় থাকা লোকজনকে জিম্মি করে। জিম্মিদের মধ্যে অন্তত ২০ জন বিদেশি নাগরিকসহ ৩০-৩৫ জন আছেন বলে ধারণা করা হচ্ছে। এরপর থেকে পুরো চার কিলোমিটার এলাকা আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা ঘিরে রাখেন।

ওই রেস্তোরাঁয় জঙ্গি হামলার কিছুক্ষণ পর পুলিশের অগ্রগামী দলের দুই কর্মকর্তা জঙ্গিদের গুলি ও বোমায় নিহত হন। আহত হন অন্তত ৪০ জন পুলিশ সদস্য। নিহত দুই পুলিশ কর্মকর্তা হলেন ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) সহকারী কমিশনার রবিউল ইসলাম ও বনানী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সালাহউদ্দিন।
২ জুলাই, ২০১৬/এমটিনিউজ২৪/এসপি/এমএন

Follow করুন এমটিনিউজ২৪ গুগল নিউজ, টুইটার , ফেসবুক এবং সাবস্ক্রাইব করুন এমটিনিউজ২৪ ইউটিউব চ্যানেলে