শনিবার, ০২ জুলাই, ২০১৬, ০১:১১:৫৭

গুলশান সংকট, ‘খুব কষ্টে আছি, তোমরা তাড়াতাড়ি টয়লেটে আসো’ বলার পর আর জবাব নেই

গুলশান সংকট, ‘খুব কষ্টে আছি, তোমরা তাড়াতাড়ি টয়লেটে আসো’ বলার পর আর জবাব নেই

নিউজ ডেস্ক : মামা সমীর রায় ও ভাগনে রিন্টু কীর্তনীয়া (১৬)। গুলশানের স্পেনিশ রেস্তোরাঁ হলি আর্টিজানের দুই কর্মী। শুক্রবার রাতে জঙ্গিদের হাতে জিম্মিদের মধ্যে তারাও ছিলেন। সকালে রিন্টুকে উদ্ধার করা সম্ভব হলেও সমীরের কোনও খবর পাওয়া যাচ্ছে না।
 
গোপাল ও সমীরের মধ্যে বিনিময় হওয়া এসএমএস তুলে ধরা হলো-
গোপাল: কী অবস্থায় আছেন?
সমীর: আমি ও ভাগনে ভালো আছি। ওরা লক করে দিছে দরজা বাইরে থেকে।
সমীর: র‍্যাব সব দেখতেছে, আপনাদের যাতে ক্ষতি না হয়, তাই কিছু করতেছে না।
সমীর: ছোট সুমন জানে আমাদের টয়লেট কোথায়। আমরা সেখানে। পারলে ওয়াল ভাঙ্গো।
গোপাল: ফেসবুক অন করেন। প্লিজ গিভ মি ওয়ান পিকচার।
রাত ২টা ১৫ মিনিটে গোপাল আবার এসএমএস পাঠান।
গোপাল: ওরা কি জানে আপনারা টয়লেটে?
সমীর: হ্যাঁ।
গোপাল: আপনাদের কিছু বলে কি?
সমীর: ঠিক আছি। আমাদের কাছে কিছু চায় না। আমাদের তালা মেরে রেখেছে।
গোপাল: আপনারা টয়লেটে এক সাইড হয়ে বসেন। ওরা ফায়ার করতে পারে।
সমীর: হ্যাঁ, আছি।
ভোর ৪টা ৪৮ মিনিটে গোপাল আবার এসএমএস পাঠান সমীরকে।
গোপাল: দাদা, এখন কেমন?
সমীর: এই তো।
ভোর ৫টা ২৮ মিনিটে গোপাল আবারও এসএমএস পাঠান।
গোপাল: আমরা সবাই আশীর্বাদ করি সুস্থভাবে আমাদের কাছে ফিরে আসেন।
সমীর: হ্যাঁ, ভাই।
ভোর পাঁচটা ৪৮ মিনিটে সমীর গোপালকে এসএমএস পাঠান।
সমীর: এখন হয়তো র‍্যাব ঢুকবে। তোমরা তাড়াতাড়ি টয়লেটে আসো। এখানে খুব কষ্টে আছি।
গোপাল: আমি এক মেজরকে বলেছি।
সকাল ৬টা ২২ মিনিটে গোপাল এসএমএস পাঠান। ‘প্লিজ বলেন এখন কেমন আছেন?’ তবে সমীর এর কোনো জবাব দেননি।

নিখোঁজ সমীরের বাড়ি বরিশালের আগৈলঝাড়া উপজেলার জোগাড়পাড় গ্রামে। তারা দুই ভাই, তিন বোন। তার ভাই গোপাল  তিতুমীর কলেজের বিএ'র শিক্ষার্থী এবং গুলশানের ৫০ নম্বর সড়কে একটি রেস্তোরাঁর কর্মী।
০২ জুলাই, ২০১৬/এমটিনিউজ২৪.কম/সৈকত/এমএম

Follow করুন এমটিনিউজ২৪ গুগল নিউজ, টুইটার , ফেসবুক এবং সাবস্ক্রাইব করুন এমটিনিউজ২৪ ইউটিউব চ্যানেলে