শনিবার, ০২ জুলাই, ২০১৬, ০৬:১৮:০৬

গুলশানে জঙ্গি হামলা, শেখ হাসিনাকে জাপানের প্রধানমন্ত্রীর ফোন

গুলশানে জঙ্গি হামলা, শেখ হাসিনাকে জাপানের প্রধানমন্ত্রীর ফোন

নিউজ ডেস্ক : জাপানের ডেপুটি চিফ কেবিনেট সেক্রেটারি কইচি হাগিউদা জানিয়েছেন, এরই মধ্যে জাপানের প্রধানমন্ত্রী শিনজো আবে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে টেলিফোনে কথা বলেছেন।  প্রধানমন্ত্রী আবেকে জানিয়েছেন, তিন বিদেশিসহ ১৩ জনকে উদ্ধার করা হয়েছে।

শনিবার রাজধানী ঢাকার গুলশানে হলি আর্টিজান রেস্টুরেন্টে কমান্ডো অভিযান শেষে অন্তত একজন জাপানি নাগরিককে উদ্ধার করা হয়েছে।  জাপান সরকারের হিসেবে অনুযায়ী, ওই রেস্টুরেন্টে ৮ জন জাপানি নাগরিক থাকার কথা।  কিন্তু এখন পর্যন্ত বাকি ৭ জনের হদিস পাওয়া যায়নি।

জাপানের ডেপুটি চিফ কেবিনেট সেক্রেটারি কইচি হাগিউদার বক্তব্যকে উদ্ধৃত করে জাপান টাইমস খবরটি নিশ্চিত করেছে।

জাপান টাইমসের খবরে বলা হয়, আর্টিজান রেস্টুরেন্টে জিম্মি হওয়া ৮ জাপানি জাইকার একটি নির্মাণ প্রকল্পে কাজ করছিলেন।

শনিবার জীবিত উদ্ধার হওয়া জাপানি নাগরিককে গুলিবিদ্ধ অবস্থায় হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে বলে জানান হাগিউদা।  তার অবস্থা স্থিতিশীল রয়েছে।

জাপান টাইমস জানায়, জাইকা কর্তৃপক্ষ এর আগে ৮ নাগরিক নিখোঁজ থাকার তথ্য দিয়েছিল।

গুলশান হামলায় মোট নিহতের সংখ্যা ২৮ জনে দাঁড়িয়েছে।  এর মধ্যে হোলি আর্টিজান রেস্টুরেন্টে অভিযান শেষে শনিবার সকালে ২০ বিদেশির লাশ উদ্ধার করা হয়েছে এবং কমান্ডো অভিযানে নিহত হয়েছে ৬ জঙ্গি।

শুক্রবার দিবাগদ রাতে জঙ্গিদের গুলি ও বোমার আঘাতে ২ পুলিশ কর্মকর্তা নিহত হয়েছেন।  একজন সন্ত্রাসীকে আটক করা হয়েছে।  এ ঘটনায় ১৩ জনকে জীবিত উদ্ধার করা হয়।

এর মধ্যে একজন জাপানি ও ২ জন শ্রীলঙ্কান নাগরিক রয়েছেন।  আইএসপিআর এ তথ্য জানিয়েছে।

সেনাবাহিনীর মিলিটারি অপারেশন্সের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল নাঈম আশফাক চৌধুরী প্রেস ব্রিফিংয়ে জানিয়েছেন, জিম্মি সংকট অবসানে রাজধানীর গুলশানে হলি আর্টিজান বেকারিতে 'অপারেশন থান্ডারবোল্ট' পরিচালনা করা হয়।

শনিবার সকালের এ অভিযানের পর ২০টি মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়েছে।  তাদের সবাই বিদেশি এবং অভিযানের আগেই তাদের ধারালো অস্ত্র দিয়ে গলাকেটে হত্যা করা হয়।  মরদেহগুলো ময়নাতদন্তের জন্য সিএমএইচে পাঠানো হয়েছে।

তিনি জানান, অভিযানের সময় ১৩ জনকে জীবিত উদ্ধার করা হয়।  তাদের মধ্যে তিনজন বিদেশি নাগরিক।  এর মধ্যে দুজন শ্রীলঙ্কার ও একজন জাপানের নাগরিক।  তবে চূড়ান্ত অভিযানে অংশগ্রহণকারী কোনো কমান্ডো আহত হননি।

অভিযান চলাকালীন সময়ে ৬ হামলাকারী নিহত হয় এবং সন্দেহভাজন একজনকে আটক করা হয়। শুক্রবার রাতে নিহত দুই পুলিশ কর্মকর্তা, জিম্মি ও হামলাকারী মিলিয়ে নিহতের সংখ্যা ২৮ বলে জানা গেছে।

ব্রিগেডিয়ার জেনারেল নাঈম আশফাক চৌধুরী  জানান, প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশেই এ অভিযান চালানো হয়।  সেনাবাহিনীর নেতৃত্বে অভিযানে অংশ নেয় নৌবাহিনী, বিমানবাহিনী, বিজিবি, র‌্যাব, পুলিশ ও ফায়ার সার্ভিসের সদস্যরা।

সকাল ৭টা ৪০ মিনিটে অপরাশেন থান্ডারবোল্ট শুরু হয়।  ১২ থেকে ১৩ মিনিটের মধ্যেই যৌথবাহিনী দুষ্কৃতকারীদের নির্মূল করতে সক্ষম হয়।  সাড়ে ৮টায় পুরো অভিযানের সমাপ্তি ঘোষণা করা হয়।
২ জুলাই,২০১৬/এমটিনিউজ২৪/এমআর/এসএম

Follow করুন এমটিনিউজ২৪ গুগল নিউজ, টুইটার , ফেসবুক এবং সাবস্ক্রাইব করুন এমটিনিউজ২৪ ইউটিউব চ্যানেলে