শনিবার, ০২ জুলাই, ২০১৬, ০৬:৩৪:১১

দেশে ঈদ করতে এসে লাশ হলেন অবিন্তা

দেশে ঈদ করতে এসে লাশ হলেন অবিন্তা

ঢাকা : দেশে ঈদ করতে এসে লাশ হলেন অবিন্তা কবীর।  গুলশান হামলায় এলিগ্যান্ট গ্রুপের চেয়ারম্যান রুবা আহমেদের মেয়ে অবিন্তা কবীর ও তার দুই বান্ধবী মারা গেছেন।

রুবা আহমেদের পক্ষে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন এলিগ্যান্ট গ্রুপের এজিএম লিয়াকত হোসেন।  গত ২৭ জুন যুক্তরাষ্ট্র থেকে দেশে ঈদ করতে আসেন অবিন্তা।  

অভিযান শেষে লিয়াকত হোসেনকে সঙ্গে নিয়ে মা রুবা আহমেদ ঘটনাস্থলে এসে অবিন্তার মরদেহ শনাক্ত করেন।  লিয়াকত হোসেন মিডিয়াকে জানান, রেস্টুরেন্টের পাশেই অবিন্তাদের বাসা।  

শুক্রবার রাত পৌনে ৯টার দিকে দুই বান্ধবীসহ ওই রেস্টুরেন্টে যান অবিন্তা।  তাদের সঙ্গে একজন গানম্যান ছিলেন।  

এ ঘটনায় গানম্যান জিয়াউর রহমানও আহত হয়েছেন। ঘটনার পরপরই অবিন্তাকে ফোন দেওয়া হলেও তাকে ফোনে পাওয়া যায়নি।

তিনি বলেন, অভিযান সমাপ্ত ঘোষণার পর আজ শনিবার সকালে স্বজনরা আর্টিজানে গিয়ে অবিন্তার মরদেহ শনাক্ত করেন।  পরে মরদেহ সিএমএইচে নিয়ে যায় আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা।


বিকেল সাড়ে ৫টার দিকে লিয়াকত হোসেন জানান, মরদেহ বুঝে নেয়ার জন্য অবিন্তার স্বজনরা সবাই সিএমএইচে অপেক্ষা করছেন।

গুলশান হামলায় মোট নিহতের সংখ্যা ২৮ জনে দাঁড়িয়েছে।  এর মধ্যে হোলি আর্টিজান রেস্টুরেন্টে অভিযান শেষে শনিবার সকালে ২০ বিদেশির লাশ উদ্ধার করা হয়েছে এবং কমান্ডো অভিযানে নিহত হয়েছে ৬ জঙ্গি।

শুক্রবার দিবাগদ রাতে জঙ্গিদের গুলি ও বোমার আঘাতে ২ পুলিশ কর্মকর্তা নিহত হয়েছেন।  একজন সন্ত্রাসীকে আটক করা হয়েছে।  এ ঘটনায় ১৩ জনকে জীবিত উদ্ধার করা হয়।

এর মধ্যে একজন জাপানি ও ২ জন শ্রীলঙ্কান নাগরিক রয়েছেন।  আইএসপিআর এ তথ্য জানিয়েছে।

সেনাবাহিনীর মিলিটারি অপারেশন্সের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল নাঈম আশফাক চৌধুরী প্রেস ব্রিফিংয়ে জানিয়েছেন, জিম্মি সংকট অবসানে রাজধানীর গুলশানে হলি আর্টিজান বেকারিতে 'অপারেশন থান্ডারবোল্ট' পরিচালনা করা হয়।

শনিবার সকালের এ অভিযানের পর ২০টি মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়েছে।  তাদের সবাই বিদেশি এবং অভিযানের আগেই তাদের ধারালো অস্ত্র দিয়ে গলাকেটে হত্যা করা হয়।  মরদেহগুলো ময়নাতদন্তের জন্য সিএমএইচে পাঠানো হয়েছে।

তিনি জানান, অভিযানের সময় ১৩ জনকে জীবিত উদ্ধার করা হয়।  তাদের মধ্যে তিনজন বিদেশি নাগরিক।  এর মধ্যে দুজন শ্রীলঙ্কার ও একজন জাপানের নাগরিক।  তবে চূড়ান্ত অভিযানে অংশগ্রহণকারী কোনো কমান্ডো আহত হননি।

অভিযান চলাকালীন সময়ে ৬ হামলাকারী নিহত হয় এবং সন্দেহভাজন একজনকে আটক করা হয়। শুক্রবার রাতে নিহত দুই পুলিশ কর্মকর্তা, জিম্মি ও হামলাকারী মিলিয়ে নিহতের সংখ্যা ২৮ বলে জানা গেছে।

ব্রিগেডিয়ার জেনারেল নাঈম আশফাক চৌধুরী  জানান, প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশেই এ অভিযান চালানো হয়।  সেনাবাহিনীর নেতৃত্বে অভিযানে অংশ নেয় নৌবাহিনী, বিমানবাহিনী, বিজিবি, র‌্যাব, পুলিশ ও ফায়ার সার্ভিসের সদস্যরা।

সকাল ৭টা ৪০ মিনিটে অপরাশেন থান্ডারবোল্ট শুরু হয়।  ১২ থেকে ১৩ মিনিটের মধ্যেই যৌথবাহিনী দুষ্কৃতকারীদের নির্মূল করতে সক্ষম হয়।  সাড়ে ৮টায় পুরো অভিযানের সমাপ্তি ঘোষণা করা হয়।
২ জুলাই,২০১৬/এমটিনিউজ২৪/এমআর/এসএম

Follow করুন এমটিনিউজ২৪ গুগল নিউজ, টুইটার , ফেসবুক এবং সাবস্ক্রাইব করুন এমটিনিউজ২৪ ইউটিউব চ্যানেলে