শনিবার, ০২ জুলাই, ২০১৬, ০৭:২০:৪০

সেই সেনা সদস্যের বিরুদ্ধে বিভাগীয় তদন্ত

 সেই সেনা সদস্যের বিরুদ্ধে বিভাগীয় তদন্ত

ঢাকা : ঢাকার ধামরাইয়ের নওগাওহাটি চোর সন্দেহে আনিছ নামে এক যুবককে গাছের সঙ্গে বেঁধে নির্যাতনের ঘটনায় সেনাসদস্য রেজাউল করিম বাবুর বিরুদ্ধে তদন্তে নেমেছে সেনা গোয়েন্দারা।
 
শুক্রবার সকাল থেকে তদন্তকাজ শুরু করেছেন তারা।
 
যুবক নির্যাতনের ঘটনায় পুলিশ মহল ও এলাকায় ব্যাপক তোলপাড়ের সৃষ্টি হয়।  এতে সেনাবাহিনীর গোয়েন্দা ও পুলিশের টনক নড়ে।
 
ঘটনার সত্যতা যাচাইয়ের পর শুক্রবার বিকেলে সেই নির্যাতনকারী সেনা সদস্য রেজাউল করিম বাবুকে ধামরাই থানা পুলিশ আটক করলেও গভীর রাতে তাকে ছেড়ে দেয়া হয়।
 
ধামরাই থানার ডিউটি অফিসার এএসআই খন্দকার নাজমুল হুদা তাকে আটকের কথা স্বীকার করে জানায়,তাকে বিকেল থেকে গভীর রাত পর্যন্ত ডিউটি অফিসারের কক্ষে আটকে রাখা হয়।  পরে তাকে ছেড়ে দেয়া হয়।
 
এদিকে সেনা সদস্য বাবুকে আটকের খবর পেয়ে  নির্যাতনকারী অন্যরা এলাকা ছেড়ে পালিয়ে যায়। আবার গভীর রাতে তার মুক্তির খবরে ফের তারা এলাকায় ফিরে এসে মিষ্টি বিতরণ ও আনন্দ মিছিল বের করে ।
 
আটক সেনাসদস্য রেজাউল করিম বাবু ধামরাইয়ের নওগাওহাটি গ্রামের নিজাম উদ্দিনের ছেলে। ওই সেনা সদস্য টাঙ্গাইলের ঘাটাইল সেনানিবাসে কর্মরত আছেন বলে জানা গেছে।
 
এ ব্যাপারে ডিজিএফআইয়ের কর্মকর্তা মো. ইকবাল হোসেন ও মো. শাহাদাৎ হোসেন ধামরাইয়ের নওগাহাটি গ্রামে মোবাইল ফোন ও শ্যালো মেশিন চোর সন্দেহে আনিছ নামে এক যুবককে গাছের সঙ্গে বেঁধে দিনভর নির্যাতনের ঘটনায় অভিযুক্ত রেজাউল করিম বাবুর বিরুদ্ধে তদন্ত করছে।
 

উল্লেখ্য, ২৩ জুন বেলা ১০টার দিকে ধামরাইয়ের সুতিপাড়া ইউনিয়নের নওগাওহাটি গ্রামের ভ্যানচালক মো. মিঠু মিয়ার ছেলে মো. আনিছকে মোবাইল ও শ্যালো মেশিন চুরির অভিযোগে বাড়ি থেকে তুলে আনা হয়।
 
এর পর ওই গ্রামের নিজাম উদ্দিনের ছেলে সেনা সদস্য রেজাউল করিম বাবু মিয়া, হাছান আলী ছেলে ফিরোজ, সাগর আলীর ছেলে রফিক, রিজিক আলীর ছেলে বিসিবির ক্রিকেট আম্পায়ার এমএ কাইয়ুম, ইদ্রিস আলী, হাবিবুর রহমানসহ আরো ৫-৭ জন মিলে আনিছকে গাছে বেঁধে নির্যাতন করে।
 
দিনভর নির্যাতনের পর ওইদিন বিকেলে খবর পেয়ে ধামরাই থানা পুলিশ তাকে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করে।
 
এরপরই আনিছের মা দিলরুবা বেগম বাদী হয়ে ছয়জন নির্যাতনকারীর নাম উল্লেখসহ আরো ৫-৭ জনের বিরুদ্ধে ধামরাই থানায় লিখিত অভিযোগ দেন।
 
এদিকে থানায় মামলা না করার জন্য বিভিন্নভাবে হুমকি দেয়া হচ্ছে বলে শুক্রবার নির্যাতিত যুবককের মা দিলরুবা বেগম সাংবাদিকদের জানান।
২ জুলাই,২০১৬/এমটিনিউজ২৪/এমআর/এসএম

Follow করুন এমটিনিউজ২৪ গুগল নিউজ, টুইটার , ফেসবুক এবং সাবস্ক্রাইব করুন এমটিনিউজ২৪ ইউটিউব চ্যানেলে