শনিবার, ০২ জুলাই, ২০১৬, ০৮:০৫:০২

গুলশানে হলি আর্টিজানে হামলার পেছনে কে, আইএস না অন্য কেউ?

গুলশানে হলি আর্টিজানে হামলার পেছনে কে, আইএস না অন্য কেউ?

ঢাকা : বাংলাদেশে বেশকিছু সন্ত্রাসী হামলার ঘটনায় দায় স্বীকার করেছে মধ্যপ্রাচ্যভিত্তিক জঙ্গি সংগঠন ইসলামিক স্টেট (আইএস)।  তবে সরকার বরাবরই তা অস্বীকার করে আসছে।

বাংলাদেশ সরকারের দাবি, দেশে কোনো সন্ত্রাসী সংগঠনের অস্তিত্ব নেই।  বিরোধী রাজনৈতিক শক্তি এসব হামলার ঘটনা ঘটিয়ে দেশকে অশান্ত করছে। আইএসের ওপর দায় চাপিয়ে দিচ্ছে বলেও বারবার দাবি করে আসছে সরকার।

সর্বশেষ শুক্রবার রাতে গুলশানের কূটনৈতিক পাড়ার মতো একটি নিরাপত্তা জোনে হলি আর্টিজানে হামলার ঘটনা ঘটে।  এ ঘটনায় ২৮ জন নিহত হন।  অন্য ঘটনার মতো এরও দায় স্বীকার করেছে বলে জানিয়েছে সংগঠনটিকে পর্যবেক্ষণ করা ওয়েব সাইট ‘সাইট ইন্টেলিজেন্স’।

তবে মার্কিন স্টেট ডিপার্টমেন্ট জানিয়েছে, বিষয়টি এখনো নিশ্চিত না।  ঘটনাটি পরীক্ষা করে দেখছে মার্কিন গোয়েন্দারা।

এ ধরনের হামলার ঘটনা বাংলাদেশে এটাই প্রথম। এর আগের হামলাগুলোতে মানুষ হত্যা করা হয়েছে এককভাবে।  তবে এবার একসঙ্গে হত্যা করা হলো এত লোককে, যার মধ্যে ২ জন পুলিশ কর্মকর্তাও রয়েছে।  নিহত হয়েছে ৬ সন্ত্রাসীও।  এ বিষয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, আমরা সন্ত্রাসীদের বাংলাদেশে চাই না।

সরকার এসব ক্ষেত্রে আন্তর্জাতিক সন্ত্রাসীগোষ্ঠির জড়িত থাকার কথা অস্বীকার করলেও বিশ্লেষকরা মনে করছেন, বাংলাদেশ সন্ত্রাসবাদের একটি লক্ষ্যে পরিণত হয়েছে।

শুক্রবার রাতে হামলার ঘণ্টা কয়েক পরই দায় স্বীকার করে আইএস।  সন্ত্রাসী সংগঠনটির মুখপাত্র হিসেবে পরিচিত আমাক (Amaq) এর বরাত দিয়ে এমন তথ্যই জানায় বিতর্কিত মার্কিন ওয়েবসাইট সাইট ইন্টেলিজেন্স।  

এমনকি ২০ জনকে হত্যার কথাও উল্লেখ করা হয়। শনিবার সকালে যৌথবাহিনীর অভিযানে ঠিক ২০ জনের মৃতদেহই উদ্ধারের কথা জানানো হয়।

এক মার্কিন কর্মকর্তা আগের ঘটনাগুলোর ওপর ভিত্তি করে সিএনএনকে জানিয়েছেন, এসব হামলার পেছনে আইএসের চেয়ে আল কায়দার জড়িত থাকার সম্ভাব্যতা বেশি।  আল কায়দার ভারতীয় শাখা ‘একিউআইএসের ঢাকায় উপস্থিতি গত কয়েক মাসে আইএসের চেয়ে বেশি।  এ পর্যন্ত তাদের সবগুলো হামলাই ঢাকাতে হয়েছে।

বিশ্বের অনেক দেশের মতোই বাংলাদেশে উগ্রবাদ মাথাচাড়া দিয়ে উঠতে পারেনি।  তবে গত দু'বছর ধরে এখানে বেশকিছু ব্লগার, লেখক, বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক এবং ধর্মীয় সংখ্যালঘু খুন হয়েছেন।

এসব খুনের ঘটনায় আইএস জড়িত কি-না তা নিয়ে ব্যাপক বিতর্কের সৃষ্টি হয়েছে।  সরকারেরও সমালোচনা হয়েছে ব্যাপক।  সমালোচনার মুখে গত মাসে জঙ্গি-বিরোধী অভিযান পরিচালনা করে সরকার।

এ অভিযানও বিতর্কিত হয়েছে।  এতে যাদের গ্রেপ্তার করা হয়েছে তাদের বেশির ভাগই সাধারণ অপরাধী। অনেকে নিরপরাধ।  তারা কেউই জঙ্গিবাদ বা চরমপন্থার সঙ্গে সম্পৃক্ত নয় বলে দাবি করে আসছে বিরোধী দল বিএনপি।
২ জুলাই,২০১৬/এমটিনিউজ২৪/এমআর/এসএম

Follow করুন এমটিনিউজ২৪ গুগল নিউজ, টুইটার , ফেসবুক এবং সাবস্ক্রাইব করুন এমটিনিউজ২৪ ইউটিউব চ্যানেলে